------
শিশু শ্রমিকের বিভিন্ন অধিকার ও লংঘন: অধিকার লংঘিত হলে তার প্রতিকার
- হাসান ইকবাল,
ইন-চার্জ, শিশু বিষয়ক স্পন্সরশীপ বিভাগ, ফুনডাসিয়ন ইন্টারভিডা
বাংলাদেশে কতজন শিশু শিশুশ্রমে নিয়োজিত তার সঠিক পরিসংখ্যান আমার কাছে নেই। এটি এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যা শিশুর সব ধরনের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।
Child labor is work that harms children or keeps them from attending sschool. An estimated 158 million children aged 5-14 are engaged in child labour - one in six children in the world. Millions of children are engaged in hazardous situations or conditions, such as working in mines, working with chemicals and pesticides in agriculture or working with dangerous machinery. (UNICEF). They are everywhere but invisible, toiling as domestic servants in homes, labouring behind the walls of workshops, hidden from view in plantations.
শিশু অধিকার বাস্তবায়নে "ফুনডাসিয়ন ইন্টারভিডা" শিশু শ্রমে নিয়োজিত শিশুদের জন্যও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফাউন্ডেশন ইন্টারভিডার জন্ম ২৪ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৪ সালে, স্পেনের বার্সেলনাতে। এটি একটি উন্নয়নে সাহায্যকারী আন্তজার্তিক প্রতিষ্ঠান।
এই প্রতিষ্ঠান্টির উদ্দেশ্য দরিদ্র, সুবিধাবন্চিত মানুষে জীবন মানের ঊন্নয়ন, যাতে করে তারা সম্মানজনক জীবনের অধিকারী হয়ে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারে। সংস্থাটি ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ইন্টারভিডার কর্ম এলাকায় শিশু শ্রমে নিয়োজিত শিশুদের নিয়ে documentary প্রদর্শিত "The children of coal" হয় স্পেনের বার্সেলনাতে।
Click This Link
Intervida's talk was based on an exhibition of 30 photographs depicting child laborers in Bangladesh. Attendees learned about the harsh conditions in which some 3 million child laborers in this Asian country live, and as tends to occur in these talks, the event took the form of a discussion and participants talked about the situation of child laborers around the world, inequalities, poverty and, above all, one of the worst forms of child labor exploitation: work in the mines.
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের শিশু শ্রমের উপর ৩৩ টি ছবিও প্রদর্শিত হয়।
শিশু শ্রমিকদের বিভিন্ন অধিকার ও লংঘন: এই সমস্ত অধিকার লংঘিত হলে তার প্রতিকার বিষয়ক কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য নিচে তুলে ধরছি-
১।
নিষিদ্ধ কাজ না করার অধিকার
২। বয়সের প্রত্যায়ন পত্র পাওয়ার অধিকার
৩। ৫ ঘন্টার বেশি কাজ না করার অধিকার
৪। কাজের ঘন্টার নোটিশ পাওয়ার অধিকার
বন্ধকী চুক্তি না করার অধিকার:
বন্ধকী চুক্তি হচ্ছে এমন একটি চুক্তি, যে চুক্তির মাধ্যমে কোন শিশুর বাবা বা মা অথবা অভিভাবক কোন অর্থ বা সুবিধা পেয়ে বা পাওয়ার আশায় উক্ত শিশুকে শ্রমে কোনো নিয়োজিত করে বা কোনো চাকুরিতে তাকে নিয়োগের অনুমতি দেয়। তবে শর্ত হল যদি
শিশুর জন্য ক্ষতিকর না হয়;
শিশুকে উপযুক্ত মজুরী পরিশোধ করা হয়;
এর বাহিরে অন্য কোন সুবিধা গ্রহন করা না হয় এবং
এক সপ্তাহের বেশী নয় এমন সময়ের নোটিশে চাকরীচ্যূত করা গেলে
এরূপ সম্পাদিত কোন চুক্তি বন্ধকী চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে না ৷
নিষিদ্ধ কাজ না করার অধিকার:
আইন এবং কনভেনশন দ্বারা যে সমস্ত পেশায় শিশুদের নিয়োগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেমস্ত পেশায় কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাবে না।
১৯৩৮ সালের শিশু শ্রমিক নিয়োগ আইনে কোন কোন পেশায় শিশুদের নিয়োগ করা যাবে এ ব্যাপারে কোন কিছু বলা নেই কিন্তু কিছু পেশার কথা বলা হয়েছে যেখানে শিশু শ্রমিককে নিয়োগ দেয়া যাবে না৷
১৯৩৮ সালের শিশু শ্রমিক নিয়োগ আইনের ৩ (১) ধারা অনুযায়ী যে শিশুর বয়স পনের বছর পূর্ণ হয়নি তাদেরকে দিয়ে রেলযোগে যাত্রী, মালপত্র বা ডাক পরিবহন সংক্রান্ত কাজ এবং কোন বন্দরের সীমানার মধ্যে মাল উঠানো-নামানো সংক্রান্ত কাজ করানো যাবে না৷
৩ (২) ধারায় বলা হয়েছে যে, যে সমস্ত শিশুর ১৫ বছর বয়স পূর্ণ হয়েছে কিন্তু ১৭ বছর পূর্ণ হয়নি তাদেরকে নিম্নোক্ত শর্তে উপরোল্লোখিত কোন কাজ অর্থাত্ ৩ (১) ধারার বর্ণিত কোন কাজ করান যাবে না৷
শর্তসমূহ
(১) ১২ ঘন্টা অবসর পাবে
(২) রাত ১০ টা থেকে সকাল ৭ টার মধ্যে উক্ত কাজ করানো যাবে না৷
তবে কোন শিশু শ্রমিক যদি এমন কোন অবস্থা বা শর্ত সাপেক্ষে শিক্ষানবীস বা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে কোন নিযুক্ত থাকলে অর্থাত্ তাকে এই অবস্থায় কাজ করার অনুমতি দিলে এই ধারার বিধান কার্যকরী হবে না৷
৩ (৩) এ বলা হয়েছে যাদের বয়স ১২ বছর পূর্ণ হয়নি তারা এই আইনে যে তফসিল দেয়া আছে সেই তফসিলের কোন কাজ যদি করে, এমন কোন কারখানায় তাদেরকে নিয়োগ দেয়া যাবে না বা কাজ করান যাবে না৷
প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে
১৯৬৫ সালের দোকান ও প্রতিষ্ঠানের ২২ ধারায় বলা হয়েছে যে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে কাজ করার জন্য নিয়োগ দেয়া যাবে না৷
এছাড়া কোন শিশুকে নিন্মোক্ত ধরনের কাজে নিয়োগ করা যাবে না৷
১. বিড়ি তৈরী
২. কার্পেট বুনন
৩. ব্যাগে সিমেন্ট ভর্তিকরণসহ সিমেন্ট উত্পাদন
৪. কাপড় ছাপা, রং করা ও বুনন
৫. দিয়াশলাই, বিস্ফোরক দ্রব্য আতসবাজি উত্পাদন
৬. অভ্র কাটা ও ভাঙ্গা
৭. গালা প্রস্ততকরণ
৮. সাবান প্রস্ততকরন
৯. চামড়া প্রস্ততকরণ
১০. পশম পরিচ্ছন্নকরণ
বয়সের প্রত্যায়ন পত্র পাওয়ার অধিকার:
কাজ করার ক্ষেত্রে কোন শ্রমিকের অধিকার রয়েছে বয়সের প্রত্যায়ন পত্র পাওয়ার অধিকার ৷
প্রত্যায়ন পত্র কিভাবে দিতে হবে সে সম্পর্কে ১৯৫৫ সালের শিশুদের নিয়োগ বিধিমালার ৫ ধারায় বলা আছে৷
১৯৫৫ সালের শিশুদের নিয়োগ বিধিমালার ৫ ধারায় বলা হয়েছে যে, ৪ ধারা অনুযায়ী বয়সের প্রত্যায়ন গত্র দিতে হবে৷
প্রত্যায়ন পত্র হবে "ক" ফরম অনুযায়ী।
ফরম - ক
প্রত্যায়নপত্রের ফরম
[বিধি-৫]
আমি এত দ্বারা প্রত্যায়ন করিতেছি যে ----------------------------------------------------------(নাম) -------------------------------------------পিতা --------------------------------------ধর্ম/সমপ্রদায় ------------------ঠিকানা --------------------------------------------------------ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা করেছি এবং পরীক্ষায় দেথা গেল যে , তার বয়স পনের বছর পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু সতের বছর পূর্ণ হয়নি ৷
তার দর্শনীয় চিহ্নগুলো হচ্ছে ------------------------------------------------------------বৃদ্ধাঙ্গুলীর ছাপ---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পোর্ট হেলথ অফিসার/সহকারী পোর্ট হেলথ অফিসার
মেডিক্যাল অফিসার (রেলওয়ে)
সহকারী সার্জন (রেলওয়ে)
সাব এ্যসিষ্ট্যান্ট সার্জন (রেলওয়ে) ৷
৫ ঘন্টার বেশি কাজ না করার অধিকার:
কোন শিশুকে দিয়ে একটি কারখানায় পাঁচ ঘন্টার বেশি কাজ করানো যাবে না৷ একটি শিশু কারখানায় কতক্ষণ কাজ করবে, কোন সময় তাকে দিয়ে কাজ করান যাবে না এবং কিভাবে সে কাজ করবে সে ব্যপারে ১৯৬৫ সালের কারখানা আইনের ৭০ ধারায় বলা হয়েছে৷ এই আইন অনুযায়ী
কোন শিশুকে দিয়ে পাঁচ ঘন্টার বেশি কাজ করান যাবে না;
সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ভোর ৭ টা এই সময়ের মধ্যে কোন শিশুকে দিয়ে কাজ করান যাবে না;
কারখানায় শিশুদের কাজ করানোর ক্ষেত্রে দুইটি শিফটের ব্যবস্থা থাকবে;
কোন শিফটের সময় সীমা কোন ভাবেই সাড়ে সাত ঘন্টার বেশী হবে না;
দুইটি রীলে কাজ করতে পারবে না, তাকে দিয়ে একটি মাত্র রীলে কাজ করাতে হবে;
ত্রিশ দিনের মধ্যে একবারের বেশি রীলে বদলানো যাবে না, যদি বদলাতে হয় তবে অবশ্যই পরিদর্শকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে৷
একজন শিশু শ্রমিক যেদিন একটি কারখানায় কাজ করবে সেদিন সে আর অন্য কোন কারখানায় কাজ করতে পারবে না৷
কাজের ঘন্টার নোটিশ পাওয়ার অধিকার :
কাজ করার ক্ষেত্রে কাজের ঘন্টার নোটিশ পায়ার অধিকার রয়েছে প্রতিটি শ্রমিকের৷ প্রতিটি শ্রমিকের মতই একজন শিশু শ্রমিকরেও অধিকার রয়েছে কাজের ঘন্টার নোটিস পাওয়ার৷ শিশুদের কাজের ঘন্টার নোটিশ সম্পর্কে ১৯৬৫ সালের কারখানা আইনের ৭১ ধারায় বলা হয়েছে-
১০৯ ধারার বিধান মোতাবেক নোটিশ প্রদান করতে হবে অর্থাত্
-নোটিশ বাংলায় লিখে কারখানায় প্রকাশ্য জায়গায় অথবা
-প্রবেশ পথের কাছে অথবা
-সুবিধামত অন্য কোন জায়গায় রাখতে হবে এবং
-পরিস্কার ও যাতে বোঝা যায় এমন অবস্থায় রক্ষনাবেক্ষণ করতে হবে৷
শিশু শ্রমিকদের কোন অধিকার লংঘিত তার প্রতিকার:
যদি কোন শিশু শ্রমিকের অধিকার লংঘিত হয় তবে সে শিশুর উপযুক্ত প্রতিকার পাওয়ারও অধিকার থাকবে। অধিকার লংঘিত হলে আদালতের মাধ্যমে প্রতিকার পেতে পারে৷ ১৯৩৮ সালের শিশু নিয়োগ আইনের অধীনে যদি কোন অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে আইনের আশ্রয় নেয়ার পদ্ধতি ৫ ধারায় বলা হয়েছে৷ ৫ ধারা অনুযায়ী
পরিদর্শক বা তার অনুমতি ছাড়া মামলা করা যাবে না৷
নির্ধারিত মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত বয়স সম্পর্কিত প্রত্যায়ন পত্র সংশ্লিষ্ট শিশুর বয়সের চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হবে৷
কোন আদালতে মামলা করতে হবে ?
১৯৩৮ সালের শিশু নিয়োগ আইনের কোন বিধান দ্বারা যদি কোন ব্যক্তির অধিকার লংঘিত হয় বা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবে৷ এক্ষেত্রে
প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্টেটের অধ:স্তন কোন আদালত বিচার করতে পারবে না অর্থাত্
তাকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্টেটের আদালতেই মামলা দায়ের করতে হবে ৷
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।