আমরা যা ভেবেছিলাম তা-ই হলো। নরসিংদী ট্রেন দুর্ঘটনায় চালককেই দায়ী করা হলো। কারন যে চালক মারা গেছে তার উপর দোষ চাপানোই তো সবচেয়ে সহজ বুদ্ধি। আর বর্তমান অথর্ব যোগাযোগ মন্ত্রীর কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না। যোগাযোগ মন্ত্রী একথা জানেন না যে বাংলাদেশের মানুষেরা এখন অনেক ইনফর্মেশান রাখে।
আমি ট্রেন লাইনের কিছু টেকনিক্যাল দিক ব্যাখ্যা করছি আর তাতেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে যোগাযোগ মন্ত্রী গাজার নেশায় আসক্ত অবস্থায় বিবৃতি দিয়েছেন।
মটর গাড়ির চালক যেমন দিক পরিবর্তনের জন্য স্টিয়ারিং ব্যবহার করেন তেমনি ট্রেন চালক কিন্তু ইচ্ছে করলেই স্টিয়ারিং ব্যবহার করে ট্রেনের দিক পরিবর্তন করতে পারেন না অর্থাৎ শুধুমাত্র স্টিয়ারিং ব্যবহার করে একটি ট্রেন এক লাইন থেকে অন্য লাইনে যেতে পারে না। যে জায়গা থেকে ট্রেন লাইনটি আলাদা হয়ে অন্য লাইনে ঢুকতে শুরু করে ঠিক সেই জায়গায় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ট্রেন লাইনের জাংশন পয়েন্টকে সম্পুর্ন বিপরীত দিকে সরিয়ে দিতে হয়। এই কাজটি করেন ঐ জাংশন পয়েন্টের নিকটবর্তী স্টেশানের ঐ কাজের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। সুতরাং ঐ জাংশন পয়েন্টেটিই নির্ধারন করে কোন একটি ট্রেন কোন্ লাইনে ঢুকবে।
ট্রেন চালক ইচ্ছে করলেই স্টিয়ারিং ব্যবহার করে এক লাইন থেকে অন্য লাইনে যেতে পারেন না ।
সুতরাং এখানে ক্ষতিয়ে দেখার বিষয় হচ্ছে ঐ জাংশন পয়েন্টেটি ঠিক সময় ঠিক পজিশানে ছিল কিনা বা কোন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ঐ সময়ে জাংশন পয়েন্টেটি সড়তে পেরেছিল কিনা বা কোন ধরনের স্যাবোটাজ হয়েছে কিনা।
স্বভাবতই দায় যেহেতু সরকারের ঘাড়েই আসে সেহেতু জনগন তাদের কাছ থেকে অনেক দ্বায়িত্বপূর্ন বক্তব্য আশা করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।