যাত্রা শুরু হয়েছিল জরুরি অবস্থায়, এখনো পথেই আছি
জরুরি অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে নির্যাতন প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিল এক দুঃসাহসী আন্দোলনের। সেই আন্দোলনের দিনগুলোর স্মৃতি তর্পণের এ আয়োজন। ধারবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে প্রতিরোধের বক্তব্য-দাবি সম্মলিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য, খবর ও ছবি।
নির্যাতন প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলন
সংবাদ সম্মেলন ৯ ফেব্র“য়ারি ২০০৮
সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ,
বিপ্লবী অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। নির্যাতন প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিকদের কারামুক্তির জন্য গত জানুয়ারি মাস জুড়ে সংঘটিত অহিংস ছাত্র-শিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে।
এই সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেতনার সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার আলোকে জ্ঞান চর্চা ও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের নীতিতে বিশ্বাস করে। সহিংসতা, দমন, নিপীড়ন ও কাউকে উচ্ছেদ করার নিুরুচির সাংস্কৃতিক চর্চা শিা প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-শিক ও অভিভাবক মহলে শুধু হতাশারই জন্ম দেয়। এর ফলে প্রাতিষ্ঠানিকতা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গণ বিরোধী শক্তির প্রভাবশালী হয়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়, যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। কিন্তু নানান প্রোপট ও চক্রান্তের অভিঘাতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ আজ যেভাবে সামগ্রিক সঙ্কটে নিপতিত, অনুরূপভাবেই দেশের উচ্চ শিা প্রতিষ্ঠান, শিার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলো মুখোমুখি হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার। নিয়মতান্ত্রিক, যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক অহিংস লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় সকল সমস্যার সমাধান করেই সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে বারবার পেছনের দিকে ফিরে যাচ্ছি আমরা।
সাংবাদিকক বন্ধুরা,
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট গত কয়েক দিনের অস্থিরতা, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কটের কিছু দিক ও সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্রের পথে পরিচালিত হয়ে লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পবিত্র মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিকভাবে প্রগতির দিকে এগিয়ে নিতে আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে কিছু কথা তুলে ধরতে চাই। প্রথমেই আমরা আসবো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দের চলমান বিসিএসসহ সকল সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের প্রসঙ্গে। শিার্থীরা কোটা পদ্ধতির অযৌক্তিক বিন্যাস সৃষ্ট বৈষম্যের শিকার হয়ে আজ কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিলের দাবি করছেন। যা দীর্ঘদিনের অযৌক্তিকতা ও সিদ্ধান্তহীনতার বিরুদ্ধে একটি সংুব্ধ প্রতিক্রিয়া মাত্র।
এই প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, অনগ্রসর আদিবাসী, প্রতিবন্দি ও অনুন্নত জেলার নাগরিক ও তাদের সন্তানদের প্রতি কোন বিদ্বেষ বা অসম্মান প্রদর্শন নয়। প্রকৃত প্রস্তাবে আমরা মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিার্থীবৃন্দ ও সকল নাগরিকই তাদের আন্তরিকভাবে সম্মান করেন, ভালোবাসেন এবং তাদের জন্য রাষ্ট্রের কিছু করণীয় থাকলে তাকেও নিঃশর্ত সম্মান করেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে কারও মধ্যেই কোন বিপরীত মত নেই।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে গিয়ে তাদের সন্তানদের শতকরা ৩০ ভাগ, নারীদের ১০ ভাগ, আদিবাসীদের ৫ ভাগ ও অনগ্রসর জেলার নাগরিকরদের ১০ ভাগ তথা মোট ৫৫ ভাগ আসন বিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে সংরণ করতে গিয়ে একটি জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। যার ফলে সরকারি চাকরি েেত্র লাখো লাখো মেধাবী চাকরি প্রার্থী শিার্থী মোট ৪৫ ভাগ আসন ছাড়া আর প্রতিদ্বন্ধিতা করা সুযোগ পাচ্ছে না।
যে কোন দল-মত সমর্থনকারী শিার্থীকেই এমন ব্যবস্থা সংব্ধ করে তোলে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা খতিয়ে দেখে জানা গেছে, বিসিএস পরীায় মুক্তিযুদ্ধ কোটার ৩০ ভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ ভাগ, আদিবাসীদের কোটা ৫ ভাগের মধ্যে ১ ভাগ পূরণ হচ্ছে। এই ৩৫ ভাগ কোটার বাকি আসনে নিয়োগ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তও নেই সরকারি চাকরিদাতা কর্তৃপরে। অন্যদিকে নারীদের প্রতি বৈষম্য থাকা সত্ত্বেও বিগত তিনটি গণতান্ত্রিক সরকার বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও চারদলীয় জোট সরকার নারী শিার প্রতি ব্যাপক গুরাত্বারোপ করায় নারী শিার্থীরা উচ্চ শিায় পুরুষ শিার্থীদের সমান অবস্থান গ্রহণ করতে সম হয়েছেন। এমনকি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল ও শিা গ্রহণ হারে তারা পুরুষ শিার্থীদের পেছনে ফেলে দেয়ার মতো সাফল্য এরই মধ্যে অর্জন করেছেন।
পাশাপাশি বিগত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রায় সকল জেলার শিার্থীদের মধ্যে উচ্চ শিা গ্রহণের সন্তোষজনক হার অর্জিত হয়েছে। আর অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দেশের কোন জেলার নাগরিকদের মধ্যেই আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িকতা নেই। বাস্তব এমন পরিস্থিতি বিরাজমান থাকায় কোটা পদ্ধতি নিয়ে একটি গণ অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা মনে করি মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, আদিবাসী, প্রতিবন্দি, নারী ও অনগ্রসর জেলার নাগরিকদের জন্য এখনও সরকারি চাকরিতে আসন সংরণের আবশ্যকতা রয়েছে। এই আবশ্যকতা অবশ্য মেধাবীদের বঞ্চিত করার কোন প্রয়াসলব্ধ নয় বরং সম্মান প্রদর্শন ও অনগ্রসর নাগরিকদের সুযোগ করে দেয়ার দায়বদ্ধতার যৌক্তিকতা থেকে।
সাংবাদিক বন্ধুরা,
বাস্তব অবস্থা আপনাদের মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে স্পষ্টতঃ বলতে চাই, কোটা পদ্ধতির শতকরা হার অযৌক্তিভাবে বিন্যস্ত কোন ধরণের সুযোগ নাই। একই সাথে কোটা পদ্ধতি বাতিল করার মতো কোন সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা যাবে না। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি অবশ্যই যৌক্তিকভাবে যুগোপযোগী করতে হবে, কোটার হার আরও কমাতে হবে। এ নিয়ে শিাঙ্গণে দ্বন্ধ-বিবাদ ও সংঘর্ষও করা যাবে না। শিার্থীদের যৌক্তিকভাবেই কোটা পদ্ধতি যুগোপযোগী করার দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রিয় সংবাদকর্মী বৃন্দ,
আমরা আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিার্থীদের কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা মেধাবী শিার্থী, তাই যুক্তি ও প্রজ্ঞার সমন্বয়ে বাস্তবতার আলোকে আপনাদের দাবিকে পুনর্মূল্যায়ন করুন। দাবির পুনর্মূল্যায়নের েেত্র নির্যাতন প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলন আপনাদের সংলাপের প্রস্তাব দিচ্ছে। পাশাপাশি কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিার্থীদের সাথে দ্বন্ধে লিপ্তদেরকেও আমরা আহ্বান জানাবো, আপনারাও বিবাদ ভুলে যান। পারষ্পরিক আস্থা, সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার মনোভাব প্রদর্শন করুন। অযথা সংঘর্ষ, মারধর ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করবেন না।
সাংবাদিকবৃন্দ,
নির্যাতন প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলন গত ২৪ জানুয়ারি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলো, শিাঙ্গণে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বহাল রাখতে এবং সকল ছাত্র ও ছাত্র নেতৃবৃন্দকে যে কোন ধরণের হয়রাণি বন্ধ করতে। ছাত্রদের মাঝে কোন সমস্যা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে তার প্রতিকার করতে। কিন্তু সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয় ও সংঘর্ষ বাধলে তার কোন যৌক্তিক সমাধান করা হয়নি। বরং এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মারামারির ঘটনায় চাদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় ঘটনাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ও যাদের আসামী করা হয়েছে তা শিার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার অনুকূল নয়। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতাহীন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক, দুই যুগ্ম সম্পাদক, কবি জসিম উদ্দিন হলের সভাপতিসহ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ ও নির্যাতন প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন কর্মীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা মনে করি এ ঘটনায় হল পর্যায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তার তদন্ত প্রতিবেদন সাপেে প্রকৃত দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ শাস্তি প্রদান করতে পারে। কিন্তু এ ঘটনাকে পুঁজি করে কোন ছাত্রকে বা ছাত্র নেতাকে পুলিশি হয়রাণি করা যাবে না। তাদের শিা জীবন ও রাজনৈতিক জীবন যেন কোনভাবেই ব্যাহত না হয় এ ব্যাপারে সকলকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে এবং সাঁজানো মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে এর আশু সমাধান দাবি করছি।
সাংবাদিকবৃন্দ,
বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানে বর্ণিত নাগরিক অধিকার রায় আদালতের এখতিয়ার নিয়ে বর্তমানে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, নির্যাতন প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীদের একটি প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন বিধায় এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট মনোভাব ব্যক্ত করতে চায়। আমরা মনে করি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো, নাগরিকবৃন্দ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে বর্তমানে একটি নির্বাচিত সরকার মতায় থাকতো। ফলে গত বছরের ১১ জানুয়ারি জারিকৃত জরুরি অবস্থাও বহাল থাকতো না। কিন্তু না আছে নির্বাচিত সরকার, না তুলে নেয়া হচ্ছে জরুরি অবস্থা।
বরং জরুরি বিধিমালায় সুস্পষ্ট সংবিধান লঙ্ঘন করায় অভিযুক্ত নাগরিকের জামিন লাভের সাংবিধানিক অধিকার দীর্ঘ ১২ মাস ধরেই অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত নাগরিকদের মানবাধিকার হরণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে মহামান্য হাইকোর্ট নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়নের বিজ্ঞোচিত রায় প্রদান করেছেন। কিন্তু সরকারপ তড়িঘড়ি করে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। আইনজীবীরা সরকারের ভূমিকায় শঙ্কিত হয়ে বলতে শুরু করেছেন আপিল বিভাগ থেকে সরকার নিজস্ব ইচ্ছার পে সিদ্ধান্ত আদায় করবে।
আইনজীবীদের এই অভিযোগকে আমরা অত্যন্ত বিবেচ্য গণ্য করি। আমরা বলতে চাই, এ ধরণের ঘটনা ঘটলে তা হবে বিচার বিভাগের উপর সরকারের স্পষ্টতঃ হস্তপে। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিচার বিভাগকে প্রভাবমুক্ত রাখতে কোন ধরণের হস্তপে বন্ধ করার।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা,
সর্বশেষ আমরা বলতে চাই, দীর্ঘ মেয়াদের জরুরি অবস্থা বাংলাদেশের রাজনৈতিক-আর্থ-সামাজিক ভিত্তি অত্যন্ত নাজুক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জনগণ অত্যন্ত কষ্ট করে জীবন যাপন করছে। কৃষক-শ্রমিক-গার্মেন্টস কর্মী-হকারসহ খেটে খাওয়া মানুষ আর প্রাণ ধারণ করতে পারছে না। এ এক অসহনীয় পরিস্থিতি। দেশবাসী এই অবস্থার উত্তরণ চায়। নাগরিকরা তাদের সংবিধান সম্মত স্থগিত অধিকার ফেরত চায়।
দেশের গণতান্ত্রিক সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবীরা ও বিদেশীরা এ ব্যাপারে এরই মধ্যে মতামত জানিয়েছেন। আমরাও চাই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হোক। তা ২১ ফেব্র“য়ারি থেকেই করা হোক। বাংলাদেশকে উন্নত-প্রগতিশীল-শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে নাগরিকদের সুযোগ দেয়া হোক।
আমাদের দাবি:
১. বিসিএসসহ সকল সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি যৌক্তিকভাবে যুগোপযোগী করতে হবে।
২. শিাঙ্গণে সন্ত্রাস ও ছাত্র নেতৃবৃন্দকে হয়রাণি বন্ধ করতে হবে।
৩. বিচার বিভাগকে প্রভাবমুক্ত রাখতে সরকারি হস্তপে বন্ধ করতে হবে।
৪. জরুরি অবস্থা তুলে নিয়ে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
জয় হোক জনগণের, জয় হোক গণতন্ত্রের।
ধন্যবাদ
খোমেনী ইহ্সান
আহ্বায়ক, নির্যাতন প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।