ইয়োহান ক্রুইফের কথা উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। একে তো তাঁর মতো ফুটবল-মস্তিষ্ক ইতিহাসে খুব একটা আসেনি। তার ওপর যুক্তিটাও অকাট্য—এক জাহাজের দুজন ক্যাপ্টেন থাকতে পারে না। তবে নেইমার আর লিওনেল মেসির মধ্যে ক্ষমতার লাগাম নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার সুযোগ নেই বলেই মনে করেন সতীর্থরা। নেইমারকে শুরুতেই এই বার্তা তাই দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বার্সেলোনায় মেসিই চালক, নেইমার তাঁর সহকারী।
২১ বছর বয়সী নেইমার বার্সায় আসার পর থেকে মেসির সঙ্গে তাঁর জুটিটার ভবিষ্যত্ নিয়ে কম কথা বলা বা লেখা হয়নি। তবে দুজনের সঙ্গেই খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বার্সার ব্রাজিলিয়ান ফুলব্যাক দানি আলভেজ বলছেন, ‘মেসি আর নেইমারের সম্পর্ক কেমন হবে এ নিয়ে ভেবে ভেবে লোকেরা হয়রান হয়ে যাচ্ছে। তবে দুজনই মানুষ হিসেবে দুর্দান্ত। তাই তাঁদের মধ্যে কোনো সমস্যাই হবে না। ’
অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পুয়োল-জাভি যাঁর কাছেই থাকুক, মাঠের আসল নেতৃত্ব মেসির হাতেই।
এই নেতৃত্ব মেসিরই থাকবে বলে মনে করেন আলভেজ, ‘মেসি যা স্বীকৃতি এবং সম্মান পেয়ে থাকে সেটা সে যোগ্যতা দিয়েই আদায় করে নিয়েছে। কঠোর পরিশ্রম করেই সে একজন অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এই ছেলেটা কিন্তু চার-চারটা ব্যালন ডি’অর জিতেছে। এর আগে রোনালদিনহোই নিয়ন্ত্রণ করত বার্সার খেলা, এখন যেটা মেসি করে। ফলে কেউ দলে নাম লিখিয়েই নেতৃত্ব প্রত্যাশা করতে পারে না।
কারণ দলে এর মধ্যেই এক নম্বর একজন আছে। ’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।