রাত পোহাবার কত দেরী পান্জেরী! এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে সেতারা হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে। তুমি মাস্তুলে আমি দাড় টানি ভুলে অসীম কুয়াশা জাগে শূণ্যতা ঘেরি রাত পোহাবার কত দেরী পান্জেরী! মাকে একদিন লাথি মেরেছিলাম । বউ মায়ের নামে নালিশ করেছিলো ,তাই । তারপর একটা ছোট ফোড়া হলো পায়ে । মনে করলাম সেরে যাবে ।
কিন্তু সেটা আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলো । একসময় পচঁন ধরলো পায়ে । ডাক্তার দেখালাম । পা কেটে ফেললো কিন্তু পচঁন থামলো না । এভাবে আস্তে আস্তে উরু পর্যন্ত কেটে ফেললো ।
টাকা পয়সা জায়গা জমি ততদিনে শেষ ,আমি পথের ফকির । তখন আমার হুশ ফিরলো । একদিন মায়ের কাছে গেলাম । পা ধরে কাঁদতে কাঁদতে ক্ষমা চাইলাম । মা হাত বুলিয়ে দিলো মাথায় ।
পরদিন থেকে ঘা শুকোতে শুরু করলো । তারপর একসময় ঘা ভালো হয়ে গেলো । -বলছিলেন ট্রলারের চালক । চুপ করে শুনছিলাম আমরা দুজন ।
বাস থেকে নেমে ট্রলারের খোঁজ করছিলাম ।
একজন চালক বসে বসেই ডাকলেন ,যে ভাড়া ন্যায্য সেটা দিবেন । উঠে পড়লাম । চালক বসে থেকেই আরেক চালককে অনুরোধ করলেন ট্রলারের বাঁধন খুলে দিতে । আমার হাজব্যান্ড জানতে চাইলেন ,আপনি খুলতে পারেন না ?
-পারি । তবে একটা পা নেইতো তাই কষ্ট হয় ।
-কেনো আপনার পায়ের কি হয়েছে ?
জবাবে চালক বললেন উপরের কাহিনী !
ট্রলারটা চলছিল নদীর বুক চিরে । আমি দেখছিলাম নদীর ঢেউয়ের খেলা । কোনো কথা বলার ছিলো না । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।