শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া দশ দিনব্যাপী মোটর শোতে এক্সচেঞ্জ নামের ওই স্বয়ংক্রিয় গাড়িটির ধারণা তুলে ধরেছে সুইস গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিনস্পিড।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিনস্পিডের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ফ্রাঙ্ক রিন্ডার্খনেখশট, “চালকবিহীন এ স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে ভ্রমণের সময় আমাকে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না, কিন্তু আমি আমার সময়টাও অর্থবোধকভাবে ব্যবহার করতে পারবো। ”
“এরপর প্রশ্ন আসে আমি কি কাজ করতে পছন্দ করবো, ঘুমাতে, পড়তে কিংবা একটি ট্রেনে চাপলে বা প্লেনে চড়লে যা করি তাই করবো কিনা?”
তবে কেউ যদি ইচ্ছা করে, তবে এক্সচেঞ্জ কারে তার ড্রাইভিং করারও সুযোগ থাকছে।
এই প্রযুক্তিতে, গাড়ির আসন ২০ রকমভাবে ঘুরিয়ে বা উপর-নিচ করে বসার সুযোগ থাকছে। কেউ চাইলে এমনকি আসন পুরোপুরি উল্টোদিকেও ঘুরে বসতে পারবেন।
ফ্রাঙ্ক রিন্ডার্খনেখশট বলেন, “কেন কেউ এ ধরনের কাজ করবে বলে তুমি প্রশ্ন করতে পার। এর উত্তর হচ্ছে, যাতে তারা আরামে ঘুমাতে পারে অথবা গাড়ি চলন্ত অবস্থাতেই এর ভিতরে ৩২ ইঞ্চি স্ক্রিনের টেলিভিশনে সিনেমা দেখতে পারে। ”
উচ্চ প্রযুক্তির মধ্যে কেবল বিনোদনের ব্যবস্থাই নয়, এক্সচেঞ্জ কারে থাকছে আধুনিক তথ্য-যোগাযোগের যন্ত্র ট্যাবলেট, সুইস বিখ্যাত ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কার্ল এফ বুশেরার হাতঘড়ি, যা একটি স্বচ্ছ গ্লোবের মধ্যে বসানো রয়েছে।
এক্সচেঞ্জ মডেলের প্রাইভেট কারের বিলাসবহুল কেবিনটি একটি বিমানের প্রাইভেট কেবিনের মতোই চিন্তা করা হয়েছে। মূলত এটির কাঠামো ইতোমধ্যেই প্রচলিত টেসলা মডেল এস গাড়ির নকশাকে অনুকরণ করে তৈরি করা হয়েছে।
যদিও এই ধারণা বলছে, স্বয়ংক্রিয় গাড়ির যুগ বেশি দূরে নয়, তারপরও মনে রাখতে হবে এটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।