আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার দিকপাল কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক। তিনি গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় নন্দিত।
রবীন্দ্রনাথ মোট তেরোটি উপন্যাস রচনা করেন: বৌ-ঠাকুরাণীর হাট, রাজর্ষি, চোখের বালি, নৌকাডুবি, প্রজাপতির নির্বন্ধ, গোরা, ঘরে-বাইরে, চতুরঙ্গ,যোগাযোগ, শেষের কবিতা, দুই বোন, মালঞ্চ ও চার অধ্যায়।
রবীন্দ্রনাথের রচনা হিসেবে তাঁর উপন্যাসগুলি কম প্রশংসা অর্জন করলেও এগুলি অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলি অবশ্য মননশীল সমাজের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
এই চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সত্যজিৎ রায়ের ঘরে বাইরে ও ঋতুপর্ণ ঘোষের চোখের বালি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাবীকে বে শি পছন্দ করতেন । বাংলার সাথে মিশে আছেন যে মানুষটি। সেই মানুষটির নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রকৃতিকে যিনি নিজের সাথি করে নিয়েছিলেন।
বাংলার প্রকৃতিকে যিনি মানুষের অন্তরে জীবন দান করেছিলেন। মানুষকে শুনিয়েছিলেন প্রকৃতিক ভিতরে বাজতে থাকা মিউজিক। সে মিউজিকে মাতাল হয়ে ওঠে সকলে। সেই রবীন্দ্রনাথ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ হাজার-লাখো মানুষের অন্তরে লালিত হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাবীকে বে শি পছন্দ করতেন ।
একারনে আমার ছেলেবেলাগ্্রন্থে
বারবার ভাবীর কথা বে শি বে শি বলেছেন । কাদম্বরী আত্মহত্যা করেচিল, তাও রবির বিয়ের পরে । কাদম্বরী আত্মহত্যা করার পর রবি ঠাকুর গেয়েছিলেন, "মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে"।
কাদম্বরী আত্মহত্যা করার আগে রবির ঘরে এসে মুচকি হেসে চলে গিয়েছিলেন, গানটির প্রথম অন্তরায় সে ঘটনার বর্ণনা আছে, "তুমি সে কি হেসে গেলে, আঁখি কোণে, আমি বসে বসে ভাবি, নিয়ে কম্পিত হৃদয়খানি.........। "
সে সময় বউদি কাদম্বরী কিছু একটা বলতে চেয়ে থেমে গিয়েছিলেন, শুধু হাসি দিয়ে চলে গেলেন।
রবি ঐ না বলা কথাটা শোনার জন্য আক্ষেপ করেছেন এই গানটার শেষ অন্তরায়, "বারেক তোমায় শুধাবারে চাই, বিদায়কালে কী বল নাই, সে কী রয়ে গেল গো, সিক্ত যুঁথির গন্ধ বেদনে...। "রবি ঠাকুর গেয়েছিলেন-
যে ছিল আমার স্বপ্নচারিণী
তারে বুঝিতে পারিনি
দিন চলে গেছে খুজিতে খুজিতে। ।
শুভখনে কাছে ডাকিলে,
লজ্জায় আমার ঢাকিলে গো, তোমারে সহজে পেরেছি বুঝিতে। ।
কে মোরে ফিরাবে অনাদরে,
কে মোরে ডাকিবে কাছে,
কাহার প্রেমের বেদনায় আমার মুল্য আছে,
এ নিরন্তর সংশয়ে হায় পারি নে যুঝিতে…
আমি তোমারেই শুধু পেরেছি বুঝিতে।
কাব্যরসের জন্য পর্যাপ্ত রসের প্রয়োজন হয়। তিনি ভাবীদের কাছ থেকে রস ধার করতেন আর কবিতায় রস ঝরাতেন। প্রেম জ্ঞান আহরনের জন্য, নিজের কচি অভিজ্ঞতাকে শাণিত করার জন্য তিনি ভাবিদের শরনাপন্ন হতেন।
দয়া করে কেউ ভাব্বেন না আমি গাঁজাখুরি গল্প ফেঁদেছি।
অনেক বছর আগে পড়েছি বলে এখন ইতিহাসটার তথ্যসুত্র দিতে পারলাম না। দুঃখিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।