আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বন্ধু কার্টুনিস্ট আরিফ



সেই ১৯৯৫, ৯৬ সালের কথা তখন আমরা শাহজাদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের (এখন স্কুলটি মডেল) ৬ষঠ শ্রেনীর ছাত্র আরফি অবশ্য আমাদের এক বছরের সিনিয়র ছিল । স্কুলে আরিফের সাথে আমার তেমন পরিচয় ছিল না । মাখা মাখি হয়েছিল কলেজে এসে ডিগ্রী প্রথম বর্ষে ২০০৩ সালে। ও ছিল আর্টসের আর আমি বাণিজ্য বিভাগের। ইংরেজী ক্লাস এক সাথে হওয়ায় আমাদের পরিচয় হয় ।

ও ইংরেজি স্যারকে মাঝে মাঝে সুন্দর সুন্দর নিজের আঁকা ছবি উপহার দিত স্যার ওকে খুব উৎসাহ দিতেন , ইংরেজী ক্লাসে আমার ইংরেজী উচচ্চারণ আকর্ষনীয় হওয়ায় ( আমি বলি না আরিফরা বলত) আরিফের সাথে আমাদের কর্মাসের কয়েকটা ছেলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে । সেই থেকে আরিফ আমরা বন্ধু । ও খুব ভাল ছবি আঁকতো এবং কার্টুনু গুলো হতো অত্যান্ত আকর্ষনীয় কার্টুন গুলোতে অবশ্যই একটা জাতীয় থিম থাকত । অন্য বন্ধুরা অনেক হাসাহাসি করত (অবশ্য ওরা বুঝে হাসত কি, না বুঝে হাসত আমি জানিনা) কিন্তু আমি কার্টুন গুলো খুব মনযোগ দিয়ে দেখতাম এবং ওকে খুব এ্যাপ্রিসিয়েট করতাম । বলতাম আরিফ তুমি এ গুলো পত্রিকায় দাও না কেন ? অবশ্যই তোমারটা ছাপাবে ওরা ।

একদিন প্রথম আলোতে ওর কার্টুন (ও তখনও শহরে আসে নাই) দেখে বাড়ি থেকে ওকে ফোন করলাম - দেখছ আরিফ তোমার কার্টুন ওরা ছাপিয়েছে । পরের দিন ও অবশ্য প্রকাশিত কপি কলেজে নিয়ে আসত । ও যখন টি আই বি তে দূনীতির উপর কার্টুন প্রতিযোগীতায় ছবি পাঠায় ওর সব আকাঁ কার্টুন আমাকে নিরিবিলি দেখিয়ে নেয় । আমি ছবি গুলো্ এবং থিম দেখেই ওকে বলেছিলাম দেখো আরিফ তোমার ছবি পুরুস্কৃত হবে । তখন ওকে কৌতুক করে বলেছিলাম তুমি যখন পুরস্কার আনতে যাবে তোমার পোষাক কেমন হবে তা আমি ঠিক করে দেবো ।

যাই হোক, ও শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিযোগীতায় পৃরুস্কৃত হয়েছিল । অনেক চড়াই উৎরাই পার করে ও আজ এখানে , আমরা বন্ধুরা নিজেদের প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছি আর আরিফ সংগ্রাম করছে পুরো পৃথিবীকে প্রতিষ্ঠা করতে । আরিফ এগিয়ে যাও আমরা তোমার সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো ..এ কামনাই রইল ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.