জামাত-শিবির দূরে গিয়া মর! স্কুল লাইফের ঘটনাগুলো মনে পড়ছে। আমার স্কুল লাইফের বন্ধুদের কারও সাথেই এখন কোন যোগাযোগ নেই। আমার স্কুল লাইফ, কত মজাই না করেছি! আজব! তখনকার দিনগুলি মনে পড়লেই বারবার শুধু কাদিয়ে দিচ্ছে।
আজ আমার স্কুল জীবনের কিছু ঘটনা শেয়ার করতে চাচ্ছি। একটু ১৮+ মনে হলেও এই ঘটনাগুলো আমার সাথে যখন ঘটেছে আমি তখন ১৮- ই ছিলাম।
আসলে টিনএজ লাইফের ঘটনা। বিব্রত করে, হাসায় আবার ভয় পাইয়েও দেয়।
নিষিদ্ধ বেলুনঃ
আমি যখন পড়তাম তখন স্কুলের বাউন্ডারীর নিচে বড় বড় গ্যাপ ছিল, বাউন্ডারী দেয়ালও নিচু ছিল। স্কুল অনেক বড় ছিল বিধায় ভবঘুরে আর যাদের থাকার জায়গা নেই, তারা আমাদের স্কুলে রাত কাটাতো। আর তাদের ভেতর হয়তো অনেক যৌনকর্মীও থাকতো ।
কারন সকালে স্কুলের মাঠে, টয়লেটে আর পেছন দিকে প্রচুর কনডম পড়ে থাকতো । গর্ব (!) করে বলা যায়, শহরের সবচেয়ে বেশী ইউজড কনডম আমাদের স্কুলে পাওয়া যেত । আমি তখন সিক্স/সেভেনে পড়ি, কনডম সম্পর্কে কোন ধারনা নেই । ছোটখাট শরীরের হওয়ার কারনে পিটি লাইনে সামনের দিকে দাড়াতে হতো। পিটিতে "আরামে দাড়াও-সাবধান" এক্সারসাইজ করাতো।
আরামে দাড়িয়ে কোন আরাম পেতাম না, তবুও পিটি বলে কথা । একদিন ঐভাবে আরামে দাড়িয়েছি, আর দেখি জুতার সাথে বেলুনের মত কি যেন লেগে আছে মাটির সাথে পা ঘষেও ছাড়াতে পারিনা, লাফালাফি করেও ছাড়াতে পারিনা, নাইন/টেনের বড় ভাইয়েরা গলা ফাটিয়ে হাসা শুরু করলো।
আরেকদিন ক্রিকেট খেলছি, ফিল্ডিং করছি এমন সময় আবার সেই আশ্চর্য বস্তুর দেখা পেলাম । তখনও বুঝতামনা ঐটা কি। একদিন আমাদের ক্লাসের ইচড়ে পাকা এক ছেলে একটা কনডম কাঠিতে ঝুলিয়ে এনে আমাদের ফার্ষ্ট বয়কে ভয় দেখাচ্ছিলো, "পড়ায়া দিই? পড়ায়া দিই?" ও তখন চিৎকার করে বলছিলো," না! না! ঐটায় জীবানু আছে!"
সেইদিন আমার কনডম সম্পর্কে জ্ঞানের অভিষেক।
বন্ধুদের কাছ থেকে উক্ত বিষয়ে প্রচুর জ্ঞানার্জন করলাম।
একদিন আমরা বন্ধুরা কনডম শুমারী করেছিলাম, আমার দায়িত্ব পড়েছিল পেছনের দিকে, আমি ২০০ পর্যন্ত গুনে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম । স্কুল নাতো যেন কনডমের বাগান; হিরো, প্যানথার, রাজা কত বাহারি ফুল সেই বাগানে ফুটে আছে!
নিষিদ্ধ ধোয়াঃ স্কুলের ছেলেদের জন্য সিগারেট খাওয়া গর্হিত কাজ । আর এই নিষেধাজ্ঞাই সিগারেটের দিকে আমাদের আকৃষ্ট করতো । আমি সিগারেট খেতে পারতাম না, কাশি আসতো, তাই পালমাল মেনথল নামের এক সিগারেট টানতাম , ঠান্ডা ঠান্ডা ধোয়া ছিল (বেনসন স্যুইচ এর মতো)।
একদিন আমাদের মাওলানা স্যার টয়লেট থেকে এক ছাত্রকে হাতে নাতে ধরলেন । সিগারেট খাওয়ার পেছনে ছেলের যুক্তি, "স্যার টয়লেটে যেই দূর্গন্ধ, সিগারেট না খেলে বমি করে দিতাম" ।
ঐদিনের পরথেকে আমাদের স্কুলের কোন টয়লেটই নোংরা থাকতো না, সুইপার দিনে দুইবার তুত দিয়ে পরিস্কার করতো।
বন্ধুরা কয়েকজন মিলে একটা সিগারেট খেতাম। না! না!, ছবির মত করে না কিন্তু প্রথম টান কে দিবে সেটা নিয়ে লটারী করা হতো।
একবার আমাদের এক বন্ধু গবেষনা করতে গিয়ে আহত হলো । কোথাও পালমাল মেনথল না পেয়ে নিজেই বুদ্ধি খাটিয়ে কর্পুর কিনে আনলো , সিগারেট ফিল্টারে কর্পূর ঢেলে তার উপর গোল্ডলিফ লাগিয়ে ধুমছে টান । ফলাফল সোজা হাসপাতাল ।
সে মেনথলের শাব্দিক অর্থ ধরেই কর্পূর কিনেছিল।
স্কুল জীবনটা আর ফিরে আসবে না, স্মৃতি হয়েই থাকবে।
ভুলবনা কখনো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।