আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূঞাপুরে মাসুদ বাহিনী ও ওসি’র হাত থেকে বাঁচতে চাই



টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ বাহিনী ও ভুয়াপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনের অত্যাচারÑনির্য়াতনের হাত থেকে রেহাই পেতে সাংবাদিক সন্মেলন করেছে স্থানীয় লোকজন। ভূঞাপুরের নানা শ্রেনী পেশার লোকজন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে লিখিত বক্তব্যে নানা হয়রানী ও নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করেন, বালু ঘাট দখল কে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে ভূয়াপুর উপজেলা। স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ তার বাহিনী দিয়ে একের পর এক বালু ঘাট দখল করে নিচেছ। এতে প্রায়ই হামলা মামলার শিকার হতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে।

মিথ্যে মামলার আসামী হয়ে অনেকে আজ ঘর ছাড়া। গত ২৫ নভেম্বর ভূঞাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের উপস্থিতিতে মাসুদের সন্ত্রাসী বাহিনী পলশিয়া বালুর ঘাট দখল করে নেয়। গত কয়েকদিনে পর পর ৫ টি বালু ঘাট দখল করেছে মাসুদ বাহিনী। ঘাট দখলের সময় ভাংচুর ও শ্রমিকদের উপর হামলায় আহত ৬ শ্রমিককে হাসপালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জনৈক নুর আলম বাদী হয়ে ২৪ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি ।

আসামীদের ওসির সাথে বেশীর ভাগ সময় ঘুরতে দেখা যায় বলে অভিযোগ উঠে সাংবাদিক সম্মেলনে। অথচ আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদের লোকজন বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মিথ্যে মামলা করলে ৬ জন নিরিহ শ্রমিককে গ্রেফতার করে রিম্যান্ডে নিয়ে চরম নির্যাতন চালানো হয়। শান্তি বজায় রাখতে বালু ঘাটে আদালত ১৪৪ ধারা জারিও ফল হচ্ছেনা। আদালতের আদেশ অমান্য করে ওসির সহযোগীতায় মাসুদ বাহিনী জোর পূর্বক শত শত ট্রাক বালু বিক্রি করছে। ১৪৪ ধারা বিষয়ে ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, পুলিশ হচ্ছে বলির পাঠা।

যখন যে সরকার আসে সে সরকারের হয়েই ব্যবহৃত হয়। বালু মহালও যখন যে সরকার আসে তখন সে সরকারের লোক জনই নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বচ্চো চেষ্টা করে থাকি। সব কিছুই এমপি সাহেবের (খন্দকার আসাদুজ্জামানের) নির্দেশে হচ্ছে। আমাদের করার কিছু থাকে না।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ভুঞাপুর উপজেলার ছয়টি বালু ঘাট থেকে দীর্ঘ দুই বছর যাবত ভূঞাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন প্রতি বালু ঘাট থেকে সপ্তাহে বিশ হাজার টাকা চাদা নেয়। পুলিশ সুপারের নামেও মাসে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। তার অপকর্মের প্রধান সহযোগী হলেন ভূঞাপুর থানার ওসি। ভূয়াপুরে সকল নিয়োগ, টেন্ডার, কাবিখা র কাজ মাসুদ বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে।

চাঁদা নেওয়ার ব্যাপারে ইসমাইল হোসেন জানান, কারো স্বার্থে আঘাত পড়লেই পুলিশকে জড়িয়ে বিভিন্ন কথা বলা হয়ে থাকে। এগুলো মেনে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। এসব কিছুর ব্যাপারে স্থানীয় এমপি নিরব থাকায় দিন দিন রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।