টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় হিন্দু অধু্যষিত ফলদা ইউনিয়নের ফলদা গ্রামে মন্দির পোড়ানোর ঘটনার প্রধান আসামী আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতাকে গ্রেফতার না করায় ও নিরাপত্তাজনিত কারণে নির্বাচন বর্জন করেছে সহস্রাধিক হিন্দু ভোটার।
তারা নির্বাচনে ভোট দান থেকে বিরত থাকবেন। এবিষয়ে ২৫০জন সংখ্যালঘু ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ আজ বিকেলে টাঙ্গাইল রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো.আনিছুর রহমান মিঞা ও ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার মো.হেলালুজ্জামান সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্মরণ দত্ত।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ফলদা গ্রামে মন্দির পোড়ানোর ঘটনার প্রধান আসামী উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা। এছাড়াও নির্বাচনের দিন হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তাজনিত কারনে সহস্রাধিক ভোটার নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন।
নির্বাচনে তারা ভোটদানে বিরত থাকবেন। এছাড়াও সংখ্যালঘু ভোটাররা আগামী ১০ই জানুয়ারি পেৌষ সংক্রান্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। ২৫০ জন লোকের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ টাঙ্গাইল রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো.আনিছুর রহমান মিঞা ও ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার মো.হেলালুজ্জামান সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্মরণ দত্ত।
এব্যাপারে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্মরণ দত্ত বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আসামীকে গেফতার করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সংখ্যালঘুরা ভোটদানসহ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে বিরত থাকবো।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার মো.হেলালুজ্জামান সরকার জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি।
ভূঞাপুর থানার ওসিকে এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।