আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীণ ব্যাংকের তহবিল নয়ছয় হয়নি :নরওয়ে



নোরাড বলেছে, গ্রামীণ ব্যাংকের তহবিল তসরম্নফের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে চুক্তি ভেঙ্গে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে তহবিল স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পরিবেশিত খবরে একথা বলা হয়। গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯৮০ ও '৯০-এর দশকে দেয়া সহযোগিতা বিষয়ে মঙ্গলবার নরওয়ে সরকারকে প্রতিবেদন দেয় নোরাড। নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ে প্রচারিত এক প্রামাণ্যচিত্রে মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের বিরম্নদ্ধে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে তহবিল স্থানানত্মরের অভিযোগ ওঠার পর এ প্রতিবেদন দিল নোরাড।

প্রামাণ্যচিত্রে প্রশ্ন তোলা হয়, নরওয়ের সাহায্য সংস্থা নোরাডের অর্থ কোথায় গেল। প্রামাণ্যচিত্রটি প্রচারের পর নোরাডকে প্রতিবেদন দিতে বলেন নরওয়ের পরিবেশ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী এরিক সোলেইম। নোরাডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, '১৯৯৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণে মোট ৬০ কোটি ৮৫ লাখ নরওয়েজিয়ান ক্রোনার স্থানান্তর করে। এতে নরওয়ের সহায়তার পরিমাণ প্রায় ১৭ কোটি নরওয়েজিয়ান ক্রোনার। 'গৃহঋণ হিসেবে ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংককে দেয়া অর্থ নরওয়েকে না জানিয়ে বা অনুমতি না নিয়ে গ্রামীণ কল্যাণে স্থানানত্মর করার বিষয়টি আবিষ্কার করে ক্ষুব্ধ হয় ঢাকায় নরওয়ে দূতাবাস।

' কর বিষয়ক কারণে ওই স্থানানত্মর হয় বলে দাবি করেন ইউনূস। কিন্তু তা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়নি। নরওয়ে দূতাবাসের মতে ওই স্থানানত্মর চুক্তি অনুযায়ী হয়নি এবং দূতাবাস বিষয়টি গ্রামীণ ব্যাংককে জানায়। আলোচনার পর গ্রামীণ কল্যাণ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকে ১৭ কোটি নরওয়েজিয়ান ক্রোনার ফেরত দেয়ার সিদ্ধানত্ম হয় ১৯৯৮ সালের মে মাসে। নরওয়ের পরিবেশ ও আনত্মর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী এরিক সোলেইম বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরওয়ের দেয়া তহবিল কোন অনভিপ্রেত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়নি, কিংবা এ ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংক কোন দুর্নীতি বা তহবিল তসরম্নফে জড়িত হয়নি।

তখনকার সরকারের মেয়াদে ১৯৯৮ সালের মে মাসে ওই অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার চুক্তির মাধ্যমে বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে। বিবিসি পরিবেশিত এক খবরে বলা হয় : বাংলাদেশের ড. মোঃ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের বিরম্নদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে নরওয়ের আনত্মর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী এরিক সোহান বলছেন ব্যাংকের তরফে দুনর্ীতির কোন প্রমাণ তাঁরা পাননি। নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক আশি এবং নব্বইয়ের দশকে দাতাদের সহায়তার লাখ লাখ ডলার অন্য খাতে সরিয়ে নিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে নরওয়ের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা নোরাড তা তদনত্ম করে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সেই অর্থের পুরোটা আবার গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছিল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.