ভূমিকাসহ ১ম পর্ব
৩.
ফারুক ভাইকে ফোন করে দিয়েছি। এখন কি যে করি। রিফাতের মুখে পানির ঝাপটা দেয়া যায়। দিব নাকি। কিছু বুঝতে পারছি না।
ধুস্, মাথাটাই গেছে। মনে হয় বদ্ধ পাগল হয়ে গেছি। (এতক্ষণে বুঝলি)। বাইরে গাড়ির শব্দ শুনলাম মনে হল। যাক বাবা, ফারুক ভাই এসে গেছে।
পাজিটা তো আমার কোন কথাই বিশ্বাস করতে চায় না। (কে করতে চায় )
গাড়ি থেকে নেমেই দৌড়ে এসে ফারুক ভাই আমাকে বলল,
-"আরমিনের কোন খোঁজ পাওয়া গেছে?"
-"না, এখনও না। "
-"রিফাতের অবস্থা এখন কেমন?"
-"এখনও জ্ঞান ফেরেনি। কিন্তু, বড়আপার কী হবে?"
-"তুই টর্চ নিয়ে আমার সাথে বাগানে আয় তো। "
-"এখন বাগানে গিয়ে কী হবে?"
-"ক্লু খুঁজতে হবে রে গাধী।
" ( )
আমাকে বলে গাধী, নিজেই তো একটা গাধা, নইলে ক্লু খুঁজতে বাগানে যায়, বড় আপার রুমে আগে যাবে না। (আইছে তোপসে )। যাক গে, আমি আর উচ্চবাচ্য না করে টর্চ নিয়ে বাগানে নেমে গেলাম। নেই, কোথাও নেই। রাত হয়ে গেছে তখন।
চারদিক অন্ধকার। আমি বললাম,
-"আর একটু খুঁজে দেখলে হয় না?"
-"কেন, ঘরে ফিরবার জন্য মন টানছে বুঝি, নাকি অন্ধকারে ভূতের ভয় লাগছে। "
আমি চোখ পাকিয়ে একটা বকা দিতে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ আমার চোখ গেল বাগানের এক কোণে।
-"ফারুক ভাই, ঐ যে ওখানে কি যেন একটা। " (গোয়েন্দা দেখল না আর উনি খুব দেখল )
ফারুক ভাই সেদিকে টর্চ ফেলতেই দেখা গেল বড় আপা গুটি সুটি মেরে বসে আছে।
বলে উঠল,
-"হেঁ হেঁ। দেখে ফেলেছিস, না। " (কোন একটা সিনেমার ডায়লগ চুরি হইছে এইখানে)
বলে কি রে, আমরা নাকি ওকে দেখে ফেলেছি। যেন দেখে ফেলে কত বড় একটা অন্যায় করেছি। বড় আপা দিব্যি গট গট করে আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে চলল।
আমরা দুজন মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে তার পেছন পেছন হাঁটতে থাকলাম। ঘরে ঢুকেই সে বলল,
-"রিফাত কোথায়? ওর বাড়িটা বেশি জোরে লাগেনি তো। "
-"তুমিই তাহলে বাড়ি দিয়েছিলে। দেখেছ ফারুক ভাই, এক নম্বরের মহিলা গুন্ডা। "
-"শাটআপ।
আমাকে মহিলা গুন্ডা বললে তুই হবি মহিলা ফলোয়ার। "
-"তোমাকে আমি আবার ফলো করলাম কখন। হতচ্ছাড়ী, মিথ্যে বলার আর জায়গা পাও না, মিথ্যাবাদিনী! তোমাকে আমি-"
ফারুক ভাই থামিয়ে দিল-
-"আহ্! এসব কী? দুই বোনে মিলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছে। চল, দেখি রিফাতের অবস্থা এখন কেমন। "
আমি হাত নাড়তে নাড়তে বললাম,
-"ওর কাছে যাওয়া লাগবে না, ও ঠিক হয়ে যাবে।
"
-"পাগল নাকি, মাথায় বাড়ি খেলে কেউ ঠিক থাকে?"
বড় আপা চেঁচিয়ে উঠল,
-"মাথায় বাড়ি খেল কখন?"
-"আহারে! বাড়ি মেরে এখন বলছিস বাড়ি খেল কখন। "
-"আরে আরে, আমি তো ওর ঘাড়ে বাড়ি দিয়েছি। "
-"তাহলে মুনিয়া যে টেলিফোনে বলল, রিফাতের মাথায় কে যেন বাড়ি দিয়েছে। "
-"কী রে তুই কি তাই বলেছিস?"
এবার আমার মুখ কাঁচুমাচু হয়ে গেল।
-"ইয়ে, মানে, বলেছি বোধ হয়, মনে নেই।
"
-"তবে রে, আমার নামে এই অপবাদ!"
ফারুক ভাই আবারো থামিয়ে দেয়, "আহ, তোরা থামবি?"
আমি তেড়ে উঠলাম,
-"থামব কেন? ও কেন আমাদের এত কষ্ট দিল?"
-"অ্যাই অ্যাই কষ্ট দিলাম কখন, অ্যাঁ?"
-"অ্যাঁ অ্যাঁ করো না, যত্তসব। "
-"যত্তসব কী রে? আমাকে ছাড়া তো তোরা চিৎ হয়ে পড়ে থাকিস। "
-"অ্যাই মিথ্যে কথা বলবে না। চিৎ হয়ে কখন পড়ে থাকলাম। আমিই তো ফারুক ভাইকে ফোন করে ডেকে আনলাম।
" (উল্টিয়েছেন )
-"থাক থাক। আর বাহাদুরী ফলাতে হবে না। তোর কত সাহস তা আমি ভালো করেই জানি। "
-"হ্যাঁ হ্যাঁ। তুমি তো জানবই।
আমি কি জানি না তুমি কত বড় বীরপুরুষ। ধ্যুৎ ছাই কী বলি, বীর মহিলা, বীরাঙ্গনা সখিনা। "
-"অবশ্যই আমি বীর মহিলা। নইলে অমন অন্ধকারে দেয়ালের কোণে বসে থাকতে পারবি তুই?"
-"দেখ, বে-বে-বেশি বাজে কথা ব-বলবে না। "
বড় আপার সাথে পেরে উঠছিলাম না, তাই কথাটা তোতলিয়ে গেল।
-"তা তুই যদি এত সাহসী, তাহলে আমার সাথে কথা বলতে গিয়ে তোতলিয়ে উঠলি কেন রে?"
-"কারণ তুমি গুন্ডা, মহিলা গুন্ডা। তোমাকে দেখে ভয় পাব না তো কি?"
-"দ্যাখ, তুই আবার আমাকে গুন্ডা বলছিস। "
-"গুন্ডাকে গুন্ডা বলবল না তো কি সাধুবাবা বলব?"
ফারুক ভাই এতক্ষণ মাথায় হাত দিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে ছিল। এখন বলল, "আচ্ছা, তোরা দুজন কী শুরু করেছিস বল তো। " আমি বললাম,
-"দেখ না, বড়আপা খালি কেমন করে।
আমার কী দোষ?"
-"আচ্ছা তোর কোন দোষ নেই। সব দোষ তোর বড় আপার। এখন তুই-"
ফারুক ভাই কথা শেষ করতে পারল না। বড় আপা চেঁচিয়ে উঠল,
-"কী? কী বললে? সব দোষ আমার?"
-"ভুল হয়েছে বাপু ভুল হয়েছে। তোদের দুজনের কোন দোষ নেই, সব দোষ আমার।
হল তো এবার?"
-"হ্যাঁ, এইবার হয়েছে। "
-"আচ্ছা, এখন তাহলে আমি যাই, একদম রেস্ট হয়নি আজ। "
-"ইইইইইস! বললেই হল আর কি। আজ রাতে না খাইয়ে ছাড়ছি নাকি তোমাকে। "
-"সে কি, খেয়ে যেতে হবে?"
-"অবশ্যই।
" আমরা সমস্বরে বললাম।
এর মধ্যে রিফাতের জ্ঞান ফিরে এসেছে। ও এসে বলে,
-"কী ব্যাপার। আরে ফারুক ভাই, তুমি কখন এসেছ, আমার সাথে যে এখনও দেখা করনি, এটা কিরকম হল? আমি আর তোমার সাথে কথা বলব না। "
-"আরে এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে রাগ করছিস কেন? দুই বোনে মিলে যে রকম যুদ্ধ করছিল, আমার তো একদম মাথা ধরিয়ে দিয়েছে।
তোর ঘাড়ের ব্যথা এখন কিরকম?"
-"এখনও অল্প অল্প ব্যথা করছে। আচ্ছা আমার ঘাড়ে কে বাড়ি দিয়েছিল, তুমি?"
-"আরে না, আমি না। একটা গুন্ডা। ইয়া বড় তার গোঁফ। চোখ দুটি গোল গোল তার ঝাকড়াগুলো মাথা।
" আবৃতি করে বলল ফারুক ভাই। (মিথ্যাবাদী গোয়েন্দা )।
রিফাত বলল,
-"তাই বুঝি? ইস, ভাগ্যিস মাথায় লাগেনি। তাহলে তো একেবারে মরেই যেতাম। গুন্ডাটাকে তুমি ধরেছ?"
-"অ্যাঁ, ইয়ে, মানে, হ্যাঁ হ্যাঁ ধরেছি না তাহলে? তুই আমাকে কী মনে করিস? একেবারে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছি।
"
-"এত আগে আগে পাঠালে কেন? আমি বুঝি দেখব না? আমার বুঝি গুন্ডা দেখার শখ নেই। যাও তোমার সাথে আমি আর কথা বলব না। "
-"তোদের যে কী একটা বাজে স্বভাব। কথায় কথায় রাগারাগি আর ঝগড়া। এরকম করলে আর কখনও আমি তোদের বাসায় আসব না।
" (গোয়েন্দা সাহেব গোস্বা করেছেন )।
আমি তখন সান্ত্বনা দিই,
-"আচ্ছা ঠিক আছে, আজ রাতে আর কোন ঝগড়া হবে না। "
-"শুধু আজ কেন? আজীবন পর্যন্ত, কথা দে। "
-"সরি ফারুক ভাই। এত বড় কথা দেয়া যায় না।
"
ফারুক ভাই কিছুক্ষণ কটমট করে তাকিয়ে থাকল, তবে কিছুই বলল না। কারণ ও ভালো করেই জানে, কথা দিলেও আমরা ঝগড়া করবই, মাস্ট এন্ড মাস্ট। (ওরে আমার ইংরেজী )
খাওয়া শেষে ফারুক ভাই বিদায় নিয়ে চলে গেল। রিফাত আমাকে বলল,
-"আপুনি, তুমি গুন্ডাটাকে দেখেছ?"
-"দেখিনি আবার, এখনও তো দেখতে পাচ্ছি। " তারপর বড় আপাকে দেখিয়ে বললাম, "তুইও তো দেখতে পাচ্ছিস গুন্ডাটাকে।
"
বড় আপা বলল,
-"মুনিয়া, তুই আবার বলছিস। "
-"হ্যাঁ বলছি। মিথ্যা বলছি নাকি?"
-"দ্যাখ, ভালো হবে না বলছি। "
-"ভালো হবে কি না হবে, সে আমিই ভালো জানি। "
রিফাত বলে উঠল, "তার মানে বড় আপাই আমার ঘাড়ে বাড়ি দিয়েছে? বড় আপা আমাকে-"
আমি বাঁধা দিই,
-"বড় আপা না, বল মহিলা গুন্ডা।
"
-"দ্যাখ, ফারুক ভাইকে কথা দিয়েছি বলে, নইলে যে আজ তোর কী হত। "
বলে বড় আপা শুতে চলে গেল।
রিফাত চোখ দুটো গোল আলুর সাইজ করে বলল,
-"এই জন্যেই তুমি বড়আপার সাঠে ঝগড়া করছিলে? উহ্ কি সাংঘাতিক! আমার ঘাড়ে এত জোরে বাড়ি দিতে পারল? এতটুকু একটা ছেলেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করল?"
-"এতটুকু কি রে? তুই এখন বড় হয়েছিস, ক্লাস ফোরে পড়িস" - বড়আপা বেডরুম থেকে চেঁচিয়ে ওঠে।
রিফাতও কম যায় না। আরও জোরে চেঁচায়, "ক্লাস ফোরে পড়লেই বুঝি ঘাড়ে বাড়ি দিতে হবে, অ্যাঁ?" আবারও ঝগড়া বাঁধতে যাচ্ছিল।
আমি থামিয়ে দিলাম, "থাক থাক। আজ রাতে আর না। "
৪.
রাতে ভালো ঘুম হয়েছে। যেদিন বেশি করে ঝগড়া করি, সেদিন আমার ভালো ঘুম হয়। কাল অনেক ঝগড়া করেছি তো, তাই ঘুম ভালো হয়েছে।
আমার ঘুম তো ভালো হল, কিন্তু রিফাতের চোখ দেখছি লাল, ঘুমোয়নি বোধ হয় ভালো করে। নাস্তা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলাম,
-"কি রে, রাতে ঘুমোস নি?"
-"নাহ। "
-"কেন রে, ভূতের ভয়ে?"
-"আরে না, ঐ মহিলা গুন্ডার ভয়ে। "
-"তাই বুঝি। "
বড় আপা এখনও খেতে আসেনি।
মনে হয় ঘুমুচ্ছে। ঝগড়াঝাটি করলে ওর ঘুম আমার চেয়েও ভালো হয়। আমি রিফাতকে বললাম,
-"ভয়ে পেয়েছিস কেন? বড় আপা তো কাল অনেক ঝগড়া করল আমার সাথে। জানিস না ঝগড়া করলে ও বেশি ঘুমায়?"
-"তা তো জানি। কিন্তু তবুও, ওকে দিয়ে বিশ্বাস নেই।
কখন না আবার মাথায় বাড়ি দিয়ে বসে। ও তো আবার-"
রিফাতের কথা থেমে গেল। কারণ বড় আপার ঘর থেকে একটা চিৎকারের শব্দ এসেছে। আমি আর রিফাত দৌড়ে গেলাম। গিয়ে দেখি বড় আপা হাত
পা ছুড়ছে।
এমনই ছুড়ছে যে খাট থেকে পড়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। হলও তাই। আমরা ধরবার আগেই বড় আপা খাট থেকে ধরাশায়ী হলেন। তাকে টেনে তুলতেই তার হুঁশ ফিরে এল। কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে থেকে বলল, -"অ্যাই তোরা এখানে কি করছিস।
যা ভাগ এখান থেকে। "
রিফাত রেগে উঠল, "ইস! আমরা না আসলে তো মেঝে থেকে সিড়িতে গড়াতে। সে খেয়াল আছে?" আমি ব্যঙ্গ করে বললাম,
-"ভাগ্যিস বড় আপা একাই পড়েছে। খাটশুদ্ধু পড়লে কে টেনে তুলত বল দিকিনি। "
-"যা যা মেলা বকিস না।
ভাগ এখান থেকে। "
আমি আর রিফাত চলে আসলাম। এ কি! ফারুক ভাই যে। এই সাত সকালে এখানে কী করছে। রিফাত বলল, "ফারুক ভাই জানো, বড় আপা না আবার গুন্ডামী করতে গিয়ে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে মার খেয়ে তারপর অ্যাঁ অ্যাঁ তারপর কী - কী যে হল তারপর।
"
রিফাত আর বলতে পারল না। ফারুক ভাই ওর কথার লেজ ধরে বলল,
-"তারপর আরমিন বাসায় ফিরে কাৎরাচ্ছে, তাই তো?"
-"না না হল না। তারপর আমাদের বকা-ঝকা করছে। "
-"কি সব উল্টা পাল্টা কথা। আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না।
ঐ গুন্ডীটা কি আবার তোর মাথায় বাড়ি দিয়েছে?"
-"আমার মাথায় না কার মাথায় কে জানে, তোমার মাথায়ও হতে পারে। বলা যায় না, স্বপ্নে কী না করা যায়। "
এমন সময় বড় আপা মুখ মুছতে মুছতে এসে বলল,
-"কী কথা হচ্ছিল রে এখানে? আমাকে নিয়ে মনে হচ্ছে। আরে ফারুক ভাই যে, কখন এলে?"
-"এই তো। তোকে নিয়েই কথা হচ্ছিল।
তুই নাকি আমির খানের মাথায় বাড়ি দিয়েছিস?"
ফারুক ভাই নিজেকে আমির খান মনে করে, এইজন্যই পাজীটাকে দেখতে পারি না একদম। বড় আপা হাঁ করে ফারুক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে রইল। আমি তো অপেক্ষায় আছি বড় আপা কখন বার্স্ট হয়। না, হল না। বরং সে অবাক গলায় বলল, "সত্যিই ফারুক ভাই, তোমার তুলনা নেই।
তুমি একটা বড় গোয়েন্দা। তুমি কী করে বুঝলে যে আমি স্বপ্নে আমির খানের মাথায় বাড়ি দিয়েছি?" ফারুক ভাই গর্বিত কন্ঠে বলল, "হেঁ হেঁ, গোয়েন্দাদের পক্ষে এটা খুবই সহজ ব্যাপার। "
রিফাত চেঁচিয়ে উঠল, "অ্যাই ফারুক ভাই, তুমি আমার গৌরব ছিনিয়ে নিচ্ছ। এটা ঠিক না, একদম না। " বড় আপার মুখের হাসি শুকিয়ে গেল।
বলল, "ও, এটা তাহলে তোর ধারণা। তাই তো বলি, আমার নামে এই বদ চিন্তা তো তোর করার কথা, ফারুক ভাই করবে কিভাবে। "
আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম এবার একটা ঝগড়া বেঁধে যাবে। ফারুক ভাইও পেরেছিল। আমি বেশ আয়েস করে সোফায় বসতে যাচ্ছিলাম ঝগড়াটা উপভোগ করব বলে।
বাঁধা দিল ফারুক ভাই, "অ্যাই উচ্চিংড়ের দল! (নন্টে ফন্টের ভাষার যথেচ্ছ ব্যবহার দেখা যাচ্ছে)। থাম, সারাদিন ঝগড়া। তোরা না থামলে আমি এখনই চলে যাব। আচ্ছা, আমি যে এই সাত সকালে তোদের বাসায় এসেছি, তার কারণ তোরা জিজ্ঞেস করেছিস?"
তাই তো, বড় ভুল হয়ে গেছে। ফারুক ভাই কেন এসেছে তা-ই জানা হয়নি এখনও।
জিজ্ঞাসা করলাম,
-"কেন এসেছ, ফারুক ভাআআআআই?"
-"তোদের জন্য একটা সুখবর আছে। "
-"কী? বল না। তাড়াতাড়ি বল। আমার আর তর সইছে না। "
-"দাঁড়া দাঁড়া বলছি।
একটু সুস্থির হয়ে বস। চাচা-চাচী আগামী মাসে দেশে ফিরছেন। "
আমরা তিনজন একসাথে চিৎকার করে উঠলাম, "সত্যি!" তারপর রিফাত তিড়িং করে এক লাফে বাগানে গিয়ে গলা ফাটিয়ে গাইতে লাগল, Hurray hurray, it's a holi-holiday, what a world of fun for everyone, holi-holiday.
বড় আপা এবার আর তাকে চড় মারল না, সে গেল রান্নাঘরে। আর আমি? আমি কী করব। দাঁড়িয়ে আছি বোকার মত।
ফারুক ভাইকে বললাম,
-"এই সুখবরটা দেবার জন্য তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ দিলাম। "
-"এবং আমি তোর ধন্যবাদ গ্রহণ করলাম। "
শেষ।
(একটা ব্যাপার কিছুতেই বুঝতেছি না। চাচা-চাচী যদি আরমিন-মুনিয়ার বাবা মা হয় তাইলে তাদের আসার খবর গোয়েন্দা মশাই পাইল কই, আর যদি পাইল তো সে ফোন কইরা জানাইল না ক্যান? সশরীরে সক্কাল বেলা আসার উদ্দেশ্যটা কী?)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।