গণমাধ্যমকর্মী, চেয়ারম্যান - উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান, সদস্য সচিব - সম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলন।
সমুদ্রের পানি ব্যবহার: ডুববে না বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ
ভূমিকা
জলবায়ুর পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধি পৃথিবীর এক নম্বর সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ সমস্যাকে সামনে রেখেই মেক্সিকোর কানকুন শহরে চলছে ১৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে একবিংশ শতাব্দিতে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়বে ১.৮ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশ্বের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা উষ্ণতা বৃদ্ধি সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্নœ।
বিজ্ঞানীদের অভিমত, আগামী ৯০ বছরের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা, গ্রিনল্যান্ড, তিব্বত ও হিমালয়ের হিমবাহের উল্লেখযোগ্য অংশ গলে যাবে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন সাগরের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি বাড়লে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার সব বরফ গলে যাবে এবং সাগরের উচ্চতা বাড়বে ৫ মির্টা। বর্তমানে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ১ মিটার। বাংলাদেশের দণি-পূবাঞ্চল, মালদ্বীপ ও কিরিবাতী সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বাস্তুহারা হবে ৮ থেকে ১০ কোটি মানুষ।
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবে না
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা নিয়ে বিশ্ববাসী ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। পরিবেশ সমস্যা বিশেষ কোনো জনগোষ্ঠি বা দেশের নয়। এ সমস্যা আন্তর্জাতিক সমস্যা। এ কারণে সবাই মিলে এ সমস্যার সমাধান করা জরুরি। কিন্তু কেবল কার্বন নির্গমন হ্রাস করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।
যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ১ হাজার কোটি। তাই চাইলেও কার্বন নির্গমন কমিয়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানো সম্ভব নয়। জলবায়ু গবেষকদের বিকল্প চিন্তা করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি রোধে কার্বন নির্গমন কমানোর বিকল্প হিসেবে সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ঠেকানো সম্ভব। এবিষয়ে গত তিনবছরের গবেষণার ফল হিসেবে আমি এ সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি যে, সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ঠেকানো সম্ভব।
প্রতিবছর ১২০০০ থেকে ১৫ হাজার ঘন কিলোমিটার সমুদ্রের পানি ব্যবহার করলেই সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে না। বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, কিরিবাতিসহ দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবেনা। প্রক্রিয়াটা সহজ হলেও ব্যয়বহুল। তবে মোটেই অসম্ভব নয়। সভ্যতাকে সাগরের বুকে বিলীন হওয়া থেকে বাঁচাতে সাগরের পানিকে বেছে নিতে হবে।
বিষয়টা অনেকটা সাগর সেচে পানি নিয়ন্ত্রণ করার মতো।
সাগর মহাসাগরের পানির একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ আছে। প্রতিদিন সাগরের বুকে অতিরিক্ত পানি জমা হচ্ছে। এই পানি পৃথিবীর কৃষি, শিল্প, গৃহস্থলি ও পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করলেই সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি কোনো সমস্যাই হবে না। কৃষি জমিতে সেচকাজ, পানীয় জল, গৃহস্থলী, শিল্পসহ অন্যান্য কাজে পানির প্রয়োজন।
সমুদ্রের পানি শোধন করে এ প্রয়োজন মেটালে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা এক ইঞ্চিও বৃদ্ধি পাবে না।
মেক্সিকোর কানকুনে চলছে পরিবেশ সম্মেলন। এ সম্মেলনে কেবল আলোচনা করলেই হবে না। সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আটলান্টিক, প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের তীরে গড়ে তুলতে হবে হাজার হাজার লবনাক্ত পানি শোধনাগার।
এসব শোধনাগারের পানি দিয়ে আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক ভিত্তিতে কৃষিকাজ ও বনায়ন করলে বিশ্বের খাদ্য সঙ্কট দুর হবে। তাপমাত্রা কমবে এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা স্থির থাকবে।
সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা
নাসার বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম ২০০৫ সালে জানুয়ারিতে দেখতে পায় পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় ভয়াবহ হারে বরফ গলছে। জাতিসংঘের জলবায়ু গবেষকদের ধারণা, ২১ শতকে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা সর্বোচ্চ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। তা যদি বাড়ে তাহলে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ডের অধিকাংশ হিমবাহ (বিশাল বরফ খন্ড) গলে যাবে।
সবমিলিয়ে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে প্রায় ১২ মিটার।
মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) এর রিপোর্টে প্রকাশ তিব্বত ও হিমালয়ে প্রায় ৩৭ হাজার হিমবাহ আছে। যার মধ্যে কিছু কিছু প্রায় ৭ লাখ বছরের পুরনো। এ হিমবাহগুলো এখন খুব দ্রুত গলছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, হিমালয়ের তাপমাত্রা না কমলে ২০৫০ সালের মধ্যে সব হিমবাহ গলে শেষ হয়ে যাবে।
গঙ্গা, সিন্ধু, পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদী শুকিয়ে যাবে। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ভূটানে তীব্র পানি সংকট দেখা দেবে। সেচের পানির অভাবে ব্যাহত হবে কৃষি উৎপাদন।
ইউএসজিএস এর গবেষণা মতে, পৃথিবীতে মোট পানির পরিমাণ ১ শ ৩৮ কোটি ৬০ লাখ ঘন কিলোমিটার। এর মধ্যে ৯৭ ভাগ পানি সাগর ও মহাসাগরে আছে।
এ পানির সঙ্গে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে বরফ গলা পানি তা সরাসরি সাগরে অথবা নদ-নদী দিয়ে সাগরে মিশছে। বছরে বরফ গলা পানির পরিমাণ ১২ থেকে ১৬ হাজার ঘন কিলো মিটার। গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন কাজে বিশ্বে বছরে পানির ব্যবহার করা হয় প্রায় ১২-১৫হাজার ঘন কিলোমিটার।
শুরু করতে হবে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ থেকে
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সবচেয়ে বেশি তির শিকার হবে বাংলাদেশ। প্রায় পাঁচ কোটি লোক বাস্তুহারা হবে।
এছাড়া মালদ্বীপ, কিরিবাতিসহ পৃথিবীর ছোট-বড় দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে তিগ্রস্ত হবে ব্যাপকভাবে। বাংলাদেশকে অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্রের পানি ব্যবহার করতেই হবে। বর্তমানে কৃষি কাজে প্রায় ৮০ ভাগ পানি ভূগর্ভস্থ পানি। কিন্তু এ পানির স্তর দিনদিন কমছে। কয়েক বছর পর মাটির নিচ থেকে আর পানি পাওয়া যাবে না।
এদিকে ২০৫০ সালের মধ্যে হিমালয়ের সব হিমবাহ গলে শেষ হয়ে যাবে। গঙ্গা, সিন্ধু, পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা শুকিয়ে যাবে। পানির অভাবে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে কৃষি উৎপাদন। এ কারণেই সমুদ্রের পানির ব্যবহার শুরু করতে হবে। কেবল বাংলাদেশই নয়, সমগ্র বিশ্বের সমুদ্রের পাড়ে গড়ে তুলতে হবে হাজার হাজার লবনাক্ত পানি শোধনাগার।
এ জন্য জাতিসংঘসহ উন্নত বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। শোধিত পানি দিয়ে আবাদযোগ্য জমিতে কৃষিকাজ বাড়াতে হবে। ব্যাপক ভিত্তিতে কৃষিকাজ ও বনায়নের মাধ্যমে পৃথিবীর উষ্ণতা কমিয়ে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা কমানো সম্ভব। এই গবেষণায় দেখানো হয়েছে প্রতিবছর নতুন নতুন কৃষি জমি সেচের আওতায় এনে বনায়ন ও কৃষি উৎপাদন বাড়ালে আগামী হাজার বছরেও খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে না।
পৃথিবীর আবাদযোগ্য জমি
পৃথিবীর আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৪ কোটি ১৪ লাখ বর্গ কিলো মিটার।
এর মধ্যে মাত্র ২৭ লাখ বর্গ কিলোমিটার জমি সেচের আওতায় নেয়া হয়েছে। কেবল পানির অভাবে বাকি জমি সেচ সুবিধা দেয়া যায় না। সমুদ্রের পানি পরিশোধন করে আরো ৩০ লাখ বর্গ কিলোমিটার জমি সেচের আওতায় আনা গেলে বছরে অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন হবে প্রায় ৮ হাজার ঘন কিলোমিটার। প্রতিবছর সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পায় ১২ থেকে ১৬ হাজার ঘন কিলোমিটার। আফ্রিকার সাব-সাহারান এলাকায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ বর্গ কিলোমিটার।
এ জমির মাত্র ১৫ লাখ ৭৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার সেচ সুবিধা দেয়া হয়। আফ্রিকার আবাদযোগ্য জমির অর্ধেক সেচ সুবিধা দিয়ে কৃষিকাজ করলে কয়েক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। আফ্রিকা থেকে দুর্ভি পালাবে এবং হাজার বছরেও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বেনা এবং আফ্রিকায় খাদ্য ও পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেবে না।
লবনাক্ত পানি পরিশোধন
যে পানিতে লবনের পরিমাণ ১ হাজার পিপিএম (পার্সেন্টেজ পার মিলিয়ন) এর বেশি তা লবনাক্ত পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমুদ্রের পানিতে সর্বোচ্চ লবনাক্তের পরিমাণ ৩৩ হাজার পিপিএম।
সমুদ্রের পানি পরিশোধন ব্যয় একটু বেশি হলেও সমগ্র বিশ্বে ১৩ হাজার পরিশোধন প্লান্ট আছে। সৌদি, দুবাই, কাতার, বাহরাইন, সিরিয়া, আলজেরিয়াসহ আমেরিকায় প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ঘন মিটার সমুদ্রের পানি শোধন করা হয়। সৌদি আরবের জাবেল আলীতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লবনাক্ত পানি শোধন কেন্দ্র অবস্থিত। এখানে প্রতিবছর ৩০ কোটি ঘনমিটার সমুদ্রের পানি পরিশোধন করা হয়। এখানে শোধিত পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে ২’শ মাইল দুরত্ব রাজধানি রিয়াদে সরবরাহ করা হয়।
সমুদ্রের পানি পরিশোধন ব্যয়
সমুদ্রের পানি পরিশোধন ব্যয় একটু বেশি। প্রতি ঘনমিটার পানি পরিশোধনে সিঙ্গাপুরে খরচ হয় ৪৯ সেন্ট, ইসরাইলে ৫৩ সেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রে ৮১ সেন্ট। তবে প্রযুক্তির উন্নয়ন হলে এ খরচ আরো কমবে। আর সমুদ্রের পরিশোধিত পানি দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে পরিশোধন ব্যয় শূন্যের কোটায় নেবে আসবে। সৌদি আরবের বেশ কিছু শোধনাগার রয়েছে।
এক একটি বড় শোধনাগার স্থাপনে খরচ হয় প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। স¤প্রতি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সমুদ্রের পানি শোধনাগার স্থাপনের কাজ চলছে। এ অনুযায়ী, সমগ্র বিশ্বে ৩০ হাজার শোধনাগার নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলার।
সমুদ্রের পানি ব্যবহারে চীন ও ইসরাইল এগিয়ে
চীন ও ইসরাইল ইতিমধ্যে সমুদ্রের পানি দিয়ে কৃষিকাজ শুরু করেছে। চীনের ডংজিং বিনজু প্রদেশে সর্বপ্রথম সমুদ্রের পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়।
এরপর তা অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। চীনে এখন সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে লাখ লাখ টন খাদ্য শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে। ইসরাইলে সমুদ্রের পানি পরিশোধন করে তা মরুভূমিতে সেচকাজে ব্যবহার করে সবুজ ইসরাইল গড়ে তোলা হয়েছে।
গবেষণার ফল:
সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ঠেকানো সম্ভব, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সমুদ্রে বিলীন হবেনা।
কার্বন নির্গমন হ্রাস একমাত্র সমাধান নয়
সমুদ্রের পানি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।
আজ হোক কাল হোক একসময় সমুদ্রের পানি ব্যবহার করতে হবে।
সমুদের পানির পরিমাণ বিশাল হলেও তা অসীম নয়।
সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে পানীয় জল ও খাদ্য সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সুপারিশ
আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার আরো ৩০ লাখ বর্গকিলোমিটার জমি সেচের আওতায় এনে সমুদ্রের পানি পাইপলাইনের মাধ্যমে জমিতে ব্যবহার করা। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে সমুদ্রের পানি শোধন করা।
একই সঙ্গে সমুদ্রের পানি শোধন ও জলবিদুৎ উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা। জাতিসংঘ কতৃক সমগ্র বিশ্বের সমুদ্রের পানি ব্যবহারের জন্য পৃথক ফান্ড গঠন করা এবং সমুদ্রের পানি ব্যবহারে আইন পাশ করা ও তা পালনে বাধ্যতামূলক করা।
গবেষণাপত্র প্রণয়ন : মীর মনিরুজ্জামান
৬ ডিসেম্বর ২০১০, উইডো ফাউন্ডেশন, ঢাকা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।