তামাক চাষ স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ করার পাশাপাশি ধ্বংশ করছে খাদ্য নিরাপত্তা। আর এ সংকট মোকাবেলায় তামাক চাষ বন্ধে দেশব্যাপী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আব্দুল মতিন তামাক চাষ বন্ধের দাবিতে ব্যানার প্রর্দশনী ও অনলাইন ক্যাম্পেইন কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন। নিরাপদ ডেভলাপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে টিএসটিসে আয়োজিত এ ক্যাম্পেইনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের দপ্তর সম্পাদক নীতিবিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রোগ্রাম সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, পিএসএস-র নির্বাহী কে এম রকিবুল ইসলাম, আইএপপির নির্বাহী আরিফুর রহমান আরিফ, সি এফ ডি’র চেয়ারম্যান মশিউর রহমার রুবেল, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-র ন্যাশনার প্রফেশনাল অফিসার মারুফ রহমান, এনডিএফ এর সমন্বয়কারী আশরাফ সিদ্দিক শিশির, মেহেদী পারভেজ প্রমুখ।
ডাঃ আব্দুল মতিন বলেন, তামাক চাষীরা স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
কঠোর পরিশ্রম এর পাশাপাশি তামাক পাতা শুকানোর জন্য চল্লিতে কাঠ পুড়ানোসহ, পরিবেশ দূষণ এ তাদের জীবনী শক্তিকে নিঃশ্বেষ করে ফেলছে। তামাকপাতা শুকানোর সময় প্রচুর ধোঁয়ার কারণে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে এবং জনগন শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত করছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ইবনুল সাইদ রানা বলেন, তামাক চাষ আমাদের মাটি, পানি, মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সকল কিছুকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তামাক চাষে প্রচুর রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে জীববৈচিত্র ধ্বংশের পাশাপাশি গবাদি পশুপালন ধ্বংশ হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত ক্ষতিকর তামাক চাষ বন্ধের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতেই আমাদের এই ক্যাম্পেইন।
সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক চাষ বন্ধে বান্দরবন আদালতের রায় একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। সংরক্ষিত বনে তামাক চাষ ধ্বংশে বন বিভাগের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ সরকার অন্যান্য বিভাগে তামাক চাষ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনে উৎসাহী করবে।
ক্যাম্পেইনের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি জমির উর্বরতা রক্ষার্থে কৃষি জমিতে তামাক চাস নিষিদ্ধ করা এবং তামাক চাষে সকল ধরনের পৃষ্টপোষকতা নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।