আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা কঠিন ষড়যন্ত্রঃ ‘প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তাঘাট উঁচু করলে গাড়ি উঁচু দিয়ে চলবে আর বাড়ি-ঘরগুলি নিচু থাকার কারণে জনগণ পানিতে ডুবে মরবে’- এটাই বিশ্বব্যাংকের পরিকল্পনা



মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের ফায়দার জন্য সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। জলবায়ু সম্মেলন আর বিশ্বব্যাংকের বক্তব্যগুলো- সোয়াইন ফ্লু আর অ্যানথ্রাক্সের মতো একটা ধোঁকা এবং প্রতারণামূলক সম্মেলন ও বক্তব্য। যার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত করা। বিশ্বব্যাংকের কথায় ‘প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তাঘাট উঁচু করলে গাড়ি উঁচু দিয়ে চলবে আর বাড়ি-ঘরগুলি নিচু থাকার কারণে জনগণ পানিতে ডুবে মরবে’- এটাই বিশ্বব্যাংকের পরিকল্পনা; যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা কঠিন ষড়যন্ত্র। জলবায়ুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে চিন্তা করতে হবেনা।

কারণ জলবায়ুর জন্য বাংলাদেশসহ কোন মুসলমান দেশ কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, মুসলমানদের প্রতি জুলুম করার কারণে ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশরিক তথা বিধর্মীরাও তাদের দেশগুলিই জলবায়ুর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ১৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো জলবায়ু সম্মেলন গত ২৯শে নভেম্বর থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেক্সিকোর কানকুনে করে যাচ্ছে। এর আগে গত বছর কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত কোপ-১৫ সম্মেলনেও উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর মূল চেষ্টা ছিল কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে একটি চুক্তিতে আসতে বাধ্য করা। কিন্তু সম্মেলন ব্যর্থ হয়।

ফলে কানকুন সম্মেলনে চুক্তির বিষয়টি ফয়সালা করা হবে বলা হয়। এক বছর পর কানকুনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সম্মেলন। এই সম্মেলনকে ঘিরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মধ্যে এখন চলছে রাজনীতি। আশির দশকে বলা হয়েছিলো বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরের মধ্যে মরুভূমি হয়ে যাবে। যার কারণে বাংলাদেশ সরকার বরেন্দ্র প্রজেক্ট হাতে নেয়।

এরপর নব্বইয়ের দশকে বলা হয়, বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরের মধ্যে পানিতে ডুবে যাবে। বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মানুষ বিশ্বাস করেছিল যে, সত্যিই বাংলাদেশের বিরাট অংশ অদূর ভবিষ্যতে পানির নিচে ডুবে যাচ্ছে। অথচ ৩২ বছর ধরে স্যাটেলাইট চিত্র নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে বাংলাদেশের আয়তন প্রতি বছর অন্তত ২০ বর্গকিলোমিটার করে বাড়ছে। জাতিসংঘের আইপিসিসির ৯৯৮ পৃষ্ঠার চতুর্থ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টের দশম অধ্যায়টির মূল কথা ছিল এরকম- হিমালয়ের হিমবাহ গলার হার যদি একই রকম থাকে, তাহলে ২০৩৫ সালের মধ্যে সব হিমবাহ গলে যাবে। এমনকি তার আগেও গলে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

ওই রিপোর্টে যা বলা হয়েছে তার ভিত্তিতেই ভবিষ্যদ্বাণী করা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ, মালদ্বীপসহ আরো কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র পানির নিচে তলিয়ে যাবে। মালদ্বীপ কথাটি বিশ্বাস করে কয়েকমাস আগে অক্সিজেন মাস্ক পরে সাগরের পানির নিচে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। ভারতীয় বিজ্ঞানী ড. সৈয়দ ইকবাল হাসনাইন-এর ভবিষ্যদ্বাণী ‘নিউ সায়েন্টিস্ট’ ম্যাগাজিন ডব্লিউডব্লিউএফ জাতিসংঘের জলবায়ু রিপোর্টে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং সম্ভবত ৪০-৫০ বছর কথাটিকে জোরালো করতে পত্রিকাটি নিজেই ২০৩৫ সাল বসিয়ে দেয়। ’ পৃথিবীর ইতিহাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধির এবং কমে যাওয়ার নজির আছে। আধুনিক যুগ ও শিল্পায়ন শুরু হবার পর থেকে একটানা তাপমাত্রা বেড়েছে বলে আইপিসিসি দেখানোর চেষ্টা করেছে।

কিন্তু এটি সর্বাংশে মিথ্যা। কোপেনহেগেন সম্মেলনে বলা হয়েছিল, গত ১৩০০ বছরের মধ্যে বর্তমানে বিশ্বের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই মিথ্যা তথ্যটি শুনে ‘তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে’ এমনটি বিশ্বাস না করে কারো উপায় ছিল না। কিন্তু আসল কাহিনী হলো, জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের বিরাট একটি অংশ এমন দাবি না তোলার জন্য বলেছিলো। এমনকি তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাদানুবাদও হয়েছিলো।

বিরুদ্ধবাদী বিজ্ঞানীরা বলেছিলো, বিশ্বের কোটি কোটি কল-কারখানার কথা চিন্তা করে লোকে হয়তো এই কথা বিশ্বাস করবে, কিন্তু কাজটি অবৈজ্ঞানিক হবে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানী ডেভিড রিন্ড বলেন, পৃথিবীর বুকে তাপমাত্রা কখনো বেড়েছে কখনো কমেছে। ১০০০ সালের আশপাশের বছরগুলোতেও এখনকার মতো তাপমাত্রা ছিল। তাই ধারণা করা হয় প্রাকৃতিক নিয়মেই তাপমাত্রা ওঠানামা করে। বাংলাদেশের আয়তন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে (দক্ষিণাঞ্চল ধীরে ধীরে পানির নিচে যাবার কারণে) এমন দাবি করেছিল আইপিসিসি।

কিন্তু আসল ঘটনা হলো বাংলাদেশের জমি দিন দিন বাড়ছে। ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই বার্তা সংস্থা এএফপি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল যাতে ঢাকা ভিত্তিক সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস)-এর গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ৩২ বছর ধরে স্যাটেলাইট চিত্র নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে বাংলাদেশের আয়তন প্রতি বছর অন্তত ২০ বর্গকিলোমিটার করে বাড়ছে। সীমানা পরিবর্তন নজরদারি সংক্রান্ত সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন ডিপার্টমেন্ট প্রধান এএফপিকে বলেছিলেন, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি নদীর দ্বারা বয়ে আসা পলি জমে জমে বরং বাংলাদেশের জমির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এসব নদী দিয়ে আনুমানিক একশ’ কোটি টনের বেশি পলি প্রবাহিত হয়ে আসে যার বেশিরভাগ বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন দক্ষিণাঞ্চলে জমা হয়ে নতুন নতুন জমি সৃষ্টি করছে। অথচ এই জলবায়ু নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে পৃথিবীজুড়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা।

বের হচ্ছে নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র, থিসিস। অনুষ্ঠিত হচ্ছে সভা, সেমিনার, বিতর্ক। আর সব বিষয়ের মতো জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়েও রয়েছে নানা মত। এমনকি এসব মত এখন মিথ্যা বলে প্রমাণিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য বলেছে, দেশের সড়ক ও রেলপথ এবং বাঁধ উঁচু করতে নতুন করে ২৬৭ কোটি ডলার বা ১৮ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

উঁচু করতে হবে ২৬ হাজার কিলোমিটার বিভিন্ন মানের সড়ক, ৬০৩ কিলোমিটার রেললাইন এবং পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ। ফলে গাড়ি উঁচু দিয়ে চলবে আর বাড়িঘরগুলি নিচু থাকার কারণে দেশের জনগণ পানিতে ডুবে মরবে। এটাই বিশ্বব্যাংকের পরিকল্পনা; যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা কঠিন ষড়যন্ত্র। উল্লেখ্য, জলবায়ুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে চিন্তা করতে হবেনা। কারণ জলবায়ুর জন্য বাংলাদেশসহ কোন মুসলমান দেশ কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, মুসলমানদের প্রতি জুলুম করার কারণে ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশরিক তথা বিধর্মীরাও তাদের দেশগুলিই জলবায়ুর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.