সিলেটের তামাবিল সীমান্তে বিএসএফের সহযোগিতায় ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
বিডিআর পতাকা বৈঠকের আহবান জানালেও বিএসএফ তাতেও সাড়া দিচ্ছে না। বরং তাদের ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকতে বলেছে। বিডিআর অগত্যা হ্যান্ডমাইক দিয়ে ভারতীয়দের ধান কাটতে নিষেধ করছে। তাছাড়া আর কি করার আছে তাদের ? কারণ আমাদের মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের আওয়ামী ভারতপ্রেমী সরকার তো বিডিআরকে ভারত প্রেমের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে।
(অথচ ২০০১ সালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বিএসএফ ভূমি দখলের চেষ্টা করলে এই বিডিআর-ই ১৭ জন শত্রু সেনাকে হত্যা করেছিল। )
এদিকে ওপর থেকে নির্দেশ না পাওয়ায় বিডিআরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না এর বিরুদ্ধে। নিজেদের জমির ধান অন্যরা কেটে নেয়া সত্ত্বেও কিছু করতে না পারার ক্ষোভ ও আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সীমান্তের কৃষকরা।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্তে আমস্বপ্নপুর এলাকায় ১২৭৭নং পিলারের কাছে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভারতীয় ১০/১২ জন নাগরিক সীমান্তের ১৫০ গজ ভেতরে ঢুকে ধান কাটতে থাকে। এ সময় টহলরত বিডিআর তাদের ধান কাটতে বাধা দেয়।
তখন ভারতীয় নাগরিকরা ধান কাটা বন্ধ করে ওপারে চলে যায়। আবার ৯টার সময় ৫০/৬০ জন বিএসএফসহ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক ধান কাটতে নামে। এ সময় তামাবিল বিডিআর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইউনুসের নেতৃত্বে একদল বিডিআর মিট পতাকা নিয়ে ধান খেতে নামে। বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিডিআরকে সরে যেতে বলে। বিডিআরও তাদের বাংলাদেশের ভূমি ছেড়ে ওপারে চলে যেতে বলে।
বিএসএফ বিডিআরের কথায় কর্ণপাত না করে ভারতীয় নাগরিকদের ধান কাটতে সহযোগিতা করে। সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত ১০/১২ জন ভারতীয় নাগরিক ধান কাটে। কিছুক্ষণ বিরতির পর আবার ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১ একর জায়গার ধান কেটে নিয়ে যায় তারা।
এসব দেখে খুব জানতে ইচ্ছে হয়................স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে জনগণ যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছিল এই আওয়ামী লীগ, সেই আওয়ামী লীগ কিনা? কেননা আমরা বাংলাদেশপন্থী বাংলাদেশীরা জানতাম আওয়ামী লীগ আর ভারতের দোস্তি গলায়-গলায় পিরিতের মত!
অবশ্য মুরিব্বিদের মুখে শুনেছি 'বেশি পিরিতে পেট বাধে'............!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।