স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্ন নিয়ে বাচুঁন!!!!
অনেকদিন ব্লগে নাই........... লেখা মনে ভুলে গেছি তাই রিপোষ্ট ......
সংকলিত পাতায় লেখার সুযোগ পাওয়ার পর, ভেবে পাচ্ছিলাম না কি লিখবো, অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর ৮ বৎসর আগে স্থানীয় একটি মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত আমার কাঁচা হাতের প্রথম লেখা অনুগল্প --"ফেরা"-- হুবহু ব্লগে প্রকাশ করলাম।
আপনাদের মতামত একান্ত কাম্য-------
ফেরা ...................................!
মায়ের কোন রকম ডাকাডাকি ছাড়াই আজ ঘুম ভাঙ্গলো রবির, তাও আবার এক ঘুমে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। রবির ভাবতে অবাক লাগছে এই মূর্হুতে সর্বোচ্চ ঘুমের রেকর্ড তার দখলে। ঘুমের কোন প্রতিযোগিতা আছে কিনা রবির জানা নেই, থাকলে হয়তো গিনিজ বুকে তার নামটা লেখা থাকতো। তবে সবচেয়ে আশ্র্চযের ব্যাপার হল, তার এই রেকর্ডকৃত ঘুমে মা একবারাও ব্যাঘাত ঘটাননি বলে।
আসলে দিনটাই যে আজ অন্য রকম.............!
যখন কেউ কোন বড় সমস্যায় পড়ে তখন তার ঘুম, খাওয়া সব কমে যায় কিন্তু রবির বেলায় সম্পূর্ণ উল্টো। রবি যখন বড় কোন সমস্যায় পড়েছে ঠিক তখনি কেন জানি সে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায়। পরীক্ষার আগেতো রিতিমতো ঢাক ডোল পিটিয়ে জাগানো হতে তাকে। যদিও ভাল ছাত্র হিসাবে তার একটা সুনাম ছিল।
অনেক দিন পর আবার গত রাতে একটু গাঁজায় হাত দিয়েছে রবি।
এক সময় গাঁজাই ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় নেশা। ভাল ভাল রেজাল্ট নিয়েও মামা খালুর অভাবে যখন কোন চাকুরী পাওয়া গেল না, তখন গাঁজাই হল তার একমাত্র সম্বল।
তবে বেশী দিন গাঁজায় ডুবে থাকতে পারলোনা রবি। হঠাৎই তার জীবনে বৃষ্টির মতো আবির্ভাব ঘটলো রানুর। কোন মেয়ের ভালবাসার নেশা যে গাঁজার নেশার চাইতে বেশী নেশা থাকতে পারে রবির জানা ছিলনা ...................... ! রানুকে পেয়ে আবারও নতুন করে জীবন সাজাতে লাগলো রবি।
সন্ধ্যায় বড় রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে রবি আবিষ্কার করলো আজ পূর্নিমা রাত। পূর্নিমা রাত নিয়ে রানু এক রকমের বাড়াবাড়ি ছিল। তাদের সম্পর্কের পর থেকে এমন কোন পূর্নিমা রাত নেই যে, তারা একসাথে রাস্তায় হাটেনি। যদিও রবি পূর্নিমা রাতের কোন আলাদা বিশেষত্ব খুঁজে পায়নি। কিন্তু রানুর আবদার ফেলার মত দুঃসাহস রবির ছিলনা।
এইতো গত পূর্নিমা রাতে রবি মজা করার ছলে বলেছিল আজ আর আমি হাঁটতে পারবোনা, রানু সেকি অভিমান। অনেক অনুরোধ করার পর রানুর অভিমান কিছুটা পড়েছিল। আসলে রানুর সঙ্গ পাওয়া প্রতিটি সময়, প্রতিটি ক্ষণ ছিল রবির জন্য এক স্বপ্নময় অনুভূতি। রানু পাশে থাকলে মনে হতো পৃথিবীর এমন কোন কাজ নেই যা রবির পক্ষে অসম্ভব.................... !!
সিগারেট টানতে টানতে হঠাৎ রবি থমকে দাড়ালো........। এইতো রানুদের বাসা।
রবির ইচ্ছা করছিল এই মূহুর্তে ছুটে গিয়ে রানুকে দেখতে । আচ্ছা বউ সাজে কেমন লাগছে রানুকে ........?
এই জায়গায় দাড়িয়ে থাকা বোধহয় আর ঠিক হবে না রবির, সামনে বর যাত্রীর গাড়ি দেখা যাচ্ছে।
ব্যাস শুরু হল রবির আরেকবার পিছনে ফেরার পালা ..............................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।