সাভারে ভবনধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। আজ শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৫। এ ছাড়া রাত দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় আরও অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়ে আছেন। অনেকে বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন।
কিন্তু নবম তলা ভবনটি ধসে একতলার সঙ্গে মিশে যাওয়ায় ভেতরে ঢোকা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভেতরে থাকা লাশে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধের কারণে উদ্ধারকাজ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। ভবনটির বিভিন্ন স্থানের ধ্বংসস্তূপে এখনো অনেক মৃতদেহ আটকে থাকতে দেখা গেছে।
গত বুধবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নবম তলা ভবনটি ধসে পড়ে।
এর দুই দিন আগে ভবনটির পিলারে ফাটল ধরা পড়েছিল।
প্রিয়জনের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের আশপাশে স্বজনেরা এখনো অপেক্ষা করছেন। জীবিত না হোক, অন্তত মৃত অবস্থায় যদি সন্ধান মেলে, সেই আশায় তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন সাভার অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে। এই মাঠেই মরদেহগুলো রাখা হচ্ছে। স্বজনদের আর্তনাদ, আহাজারি আর কান্নায় সাভারের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার তত্পরতায় সমন্বয়হীনতার অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের অভিযোগ, উদ্ধার তত্পরতা দ্রুত গতিতে হলে আরও অনেককে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যেত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।