থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
পুরো খবর [ Click This Link ]
। । । ।
। ।
রাজধানীতে বিয়ে বিচ্ছেদ বাড়ছে। আর এই তালাকের ৭৫ ভাগই সম্পন্ন হয়েছে মেয়েদের তরফ থেকে। চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত বিগত সাড়ে ৫ বছরে রাজধানীতে প্রায় ২৫ হাজার বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে।
ডিসিসি সূত্রে জানা যায়, বিয়ে বিচ্ছেদের বেশির ভাগ ঘটনা ঘটছে উচ্চবিত্তদেও ক্ষেত্রে।
পরকীয়া, পরনারীতে আসক্তি, যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার বিয়ে ভাঙছে।
২০০৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত রাজধানীতে ২৪ হাজার ৮২৯টি বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে ৩ হাজার ২৪০টি।
মনস্তত্ত্ববিদ, সমাজ বিশ্লেষক, গবেষক, নারী নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের এটা নিয়ে রয়েছে বিচিত্র বিশ্লেষণ।
তবে সবাই এ বিষয়ে বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
দুটি কারণে বিয়ে বিচ্ছেদ বাড়ছে। প্রথমত, মেয়েরা আগের চেয়ে বেশি শিক্ষিত হচ্ছে। তারা এখন অনেক সচেতন। মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য না করে তালাকের পথ বেছে নিচ্ছেন।
দ্বিতীয়ত, মোবাইল কোম্পানিগুলোর সহজলভ্য অফার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও পর্নোগ্রাফির মতো সহজলভ্য উপাদান থেকে আকৃষ্ট হয়ে মূল্যবোধ ও নৈতিকতা হারাচ্ছে। ফলে বিয়ের মতো সুদৃঢ় সম্পর্ক ও নৈতিক বিষয়টিও তারা ধরে রাখতে পারছেন না।
এ ছাড়াও সামাজিক অস্থিরতা, মাদকাসক্তের প্রভাব, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, পরস্পরকে ছাড় না দেওয়া, শ্বশুর-শাশুড়ির ঘর ভাঙার চেষ্টা ইত্যাদি কারণে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে থাকে। ন্যায় বিচার পাওয়ার অনিশ্চতা থেকেও নারীরা বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটান।
একটা উদাহরন দেয়া যাক।
তানজিনা শিরিন তনু। বয়স ৪৫ বছর। বাসা গুলশান-২ এ। মিডিয়ায় কাজ করেন। স্বামী ব্যবসায়ী।
১ ছেলে ও ১ মেয়ে। ছোট দেবর ডা. মনজুর হোসেনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে তালাক দিয়ে ডা. মনজুরকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছু দিনপর স্ত্রী জেনে ফেলে। মনজুরের স্ত্রী হাসিনা বেগম স্বামীর এহেন কাজের প্রতিবাদ করায় তাকে তালাক দেন মনজুর।
একমাত্র মেয়ে মিতা লন্ডনে ডাক্তারি পড়তেন। বাবার এ কাজে হতাশাগ্রস্ত হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে ঢাকায় চলে এসেছেন। মায়ের সঙ্গে গুলশানে থাকছেন। ডিসিসির অঞ্চল-৯ (গুলশান) দুটো আবেদনের তালাক কার্যকর করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।