একজন ভালো মানুষ হতে চাই।
বাজারে ভাল দাম না পাওয়ায় বলদ বিক্রি না করেই কৃষক তার বলদটাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছে । এদিকে বলদ বিক্রিও টাকা ছিনতাই করতে পথে ঘাপটি মেরেও বসেছিল এক ছিনতাইকারী ।
ছিনতাইকারীঃ কী ব্যাপার, বলদ বিক্রি না করেই ওটাকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলে যে ?
কৃষকঃ ভাল দাম ওঠেনি তাই ।
ছিনতাইকারীঃ কম দামেও তো বিক্রি করতে পারতি , লোকসান কি তোর হতো, নাকি আমার?
**********
কর্ডলেস টেলিফোনে ক্রিং ক্রিং।
রিসিভার ওঠাল এক শিশু। তারপর ফিসফিস করে বলল, হ্যালো।
–হ্যালো, তোমার বাবা বাড়ি আছে?
–আছে, কিন্তু সে ব্যস্ত। -ফিসফিস করে বলল শিশুটি।
–মা আছে?
–হ্যাঁ, মা আছে।
কিন্তু মাও ব্যস্ত। -আবার ফিসফিসে কণ্ঠ।
–তাহলে কার সঙ্গে কথা বলব? বাড়িতে আর কেউ আছে?
–আছে। পুলিশ কাকুরা আছে, দমকল কাকুরা আছে।
–তাহলে অন্তত তাদের কাউকে দাও।
খুব জরুরি কথা আছে।
–তাদেরও ডাকা যাবে না। তারাও খুব ব্যস্ত।
–হায় ঈশ্বর! কী নিয়ে তারা এত ব্যস্ত?
–আমি লুকিয়ে আছি। সবাই আমাকে খুঁজছে।
*******
পুলিশ: এত রাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। এর কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?
অভিযুক্ত: ব্যাখ্যা দিতে পারলে তো স্ত্রীকে বলে বাসাতেই ঢুকে পড়তাম।
********
গির্জায় কনফেশন চলছে—
: ফাদার, আমি একটি মুরগি চুরি করেছিলাম। সেটা নিয়ে আপনি আমাকে পাপমুক্ত করবেন?
: না, এভাবে হয়না, তুমি যার মুরগি তাকে ফেরত দিয়ে আসো।
: ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু মুরগির মালিক ফেরত নিতে চায় না।
: সে ক্ষেত্রে তুমি পাপমুক্ত। কারণ তুমি মুরগির মালিককে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেছিলে।
মুরগিচোর খুশিমনে মুরগি নিয়ে বাড়ি চলে গেল। ওদিকে পাদ্রি বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর মুরগিটি নেই।
************
দুজন ধর্মযাজক প্রচন্ড গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে দেখে একজন পুলিশ অফিসার তাদের থামিয়ে এত জোরে মোটরবাইক চালানোর বিপদ ব্যাখ্যা করল।
তার কথা শুনে একজন ফাদার বললেন-‘অসুবিধা নেই বৎস, আমাদের সাথে ঈশ্বর আছেন!’
একথা শুনে অফিসার তার ব্যাগ থেকে কেস করার কাগজপত্র বের করতে করতে বলল-‘দুঃখিত ফাদার তাহলে আমাকে আপনার বিরুদ্ধে কেইস করতেই হচ্ছে, কারণ এক বাইকে তিনজন চড়ার অনুমতি নেই।
*************
ঢাকা টু ময়মনসিংহের বাসে একবার ডাকাত পড়ল! ডাকাত দল পুরো বাস তাদের নিয়ন্ত্রণে নিল! এবার শুরু হবে লুটপাট! ডাকাতের সর্দার ইয়া লম্বা একটা ছোরা বের করে ঘোরাতে ঘোরাতে সবাইকে উচ্চ কণ্ঠে বলছে, ‘দিয়া হালাইন গো, যা আছে সব দিয়া হালাইন!!’
সবাই যার যা আছে বের করে দিতে শুরু করল! এক লোক তাঁর টাকা-পয়সা সব দিতে দিতে ‘দিয়া হালাইন’ কথাটা শুনে আর হাসি ধরে রাখতে পারছিলেন না! হেসেই ফেললেন! তখন ডাকাতের সর্দার তাঁর হাসি দেখে চোখ গরম করে বলে উঠল, ‘দিয়া আবার হাসুইন? এক্কেরে কাইট্টা হালবাম!’
**************
এক গাঁয়ের এক চোর একটা সাইকেল চুরি করে বাজারে নিয়ে গেল বিক্রি করতে। এক টাউট লোক এসে সাইকেলটা দরদাম করল কিছুক্ষণ। তারপর ‘দেখি তোমার সাইকেলটা কেমন চলে’ বলে সাইকেলে চড়ে প্যাডেল মেরে একেবারে হাওয়া।
শুকনো মুখে বাড়ি ফিরছিল চোর।
গাঁয়ের যারা তাকে সাইকেল বিক্রি করতে নিয়েযেতে দেখেছিল তারা জানতে চাইল, কি, সাইকেল বিক্রি করে কত লাভ হলো?
চোর বলল, লাভ হয়নি; যে দরে কিনেছিলাম সেই দরেই বেচেছি।
**************
এক শিখ সর্দারজী পাঁচসিকা পয়সা হারিয়ে ফেলেছে ঘোড়ার গোবরের গাদায়
সে গোবর ঘেঁটে পয়সা খোঁজে আর বলে ও আল্লা আমার পাঁচ শিকাটা বের করে দাও
ও ভগবান আমার পয়সাটা বের করে দাও
ও যিশু আমার সিকিটা গেলো কই
এক লোক এই অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করল- সর্দারজি। তুমি তো শিখ। তাহলে তুমি পয়সা খোঁজার বেলায় আল্লা- ভগবান- যিশুরে ডাকো। কিন্তু তোমার গুরু নানককে ডাকো না কেন?
সর্দারজির সোজা উত্তর- আমাকে কি তুমি অতই মূর্খ মনে করো যে পাঁচশিকা পয়সার জন্য আমি গুরু নানককে ঘোড়ার গোবরে নামাবো?
*********
ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।