অনেক দিন ধরে ব্লগে আস্তিকদের এবং নাস্তিকদের একটা লড়াই চলছে। কেন এই লড়াইটা চলে তা কখনোই আমার বোধগম্য হয় না।
নাস্তিকদের জন্য বলছি-আরে ভাই আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি তাতে আপনার সমস্যা কি? আপনারে ধইরা কি আমি কামড়াইছি নাকি আমি কেন বিশ্বাস করি সেই চিন্তায় আপানার রাতের ঘুম এবং অন্যন্য বিষয়ে কোন বিঘ্ন ঘটতেছে?
আস্তিকদের বলছি- কেন ভাই যুক্তি দিয়া আস্তিকতা প্রমাণের চেষ্টা করেন। পৃথিবীর সকল ধর্মই বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। এখানে যুক্তির প্রয়োগ নিতান্তই অর্বাচীনের কাজ।
আপনি বিশ্বাস করেন ভাল কেন আপনাকে এই ব্যপার নিয়ে যুদ্ধ লাগতে হবে?
একটা হাদিসে পড়েছিলাম নাকি কোথায় ঠিক মনে নাই- "তুমি অন্যের বিশ্বাসের স্রষ্টা কে গালি দিও না তাহলে তারাও তোমার স্রস্টাকে গালি দিবে। " কথাটা খুবই পছন্দ হয়েছিল।
যারা ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মে বিশ্বাসী তাদের নিশ্চয়ই কথাটা ভাল লাগবে। যারা নাস্তিক তারা এই কথাটাকে নীতিবাক্য হিসেবে দেখতে পারেন। কারণ নাস্তিকদের সম্পর্কে যেটা জানি সেটা হল তারা ধর্মের বিধিনিষেধ বা ধর্মের শাস্তির ব্যপারটাকে মেনে নিতে পারেন না।
নাস্তিকদের সম্পর্কে একটা বিশ্লেষণ- সম্ভবত জীবনের বড় একটা সময় কোন না কোন ধর্মের ছায়ায় থাকার কারনে সেই ধর্মের প্রতি একটা অনুরাগ তাদের ছিল। যখন তারা যুক্তি দিয়ে ধর্মকে ভুল প্রমাণিত করতে পেরেছেন এবং নিজেকে এই ব্যপারটার ঊর্ধ্বে নিয়ে গেছেন তখন তারা ভাবছেন কি ভুলটাই না সারা জীবন করলাম। তখন তারা উঠেপড়ে লেগেছেন নিজের বিশ্বাসের ছায়ায় অন্যদের আশ্রয় দিতে। ভাই এত কষ্ট করারতো দরকার নাই।
আস্তিকদের বলছি- ভাই নাস্তিকদের শত্রু ভাবতেছেন কিন্তু আবার নাস্তিকরা যেটা প্রমাণ করতে চায় সেই প্রমাণের উপকরণ তাদের হাতেই তুলে দিচ্ছেন, এত বোকা কেন আপনারা?
তাই ভাই চলেন এই যুদ্ধ করে লাভ নাই।
যার যেটা বিশ্বাস সেটা তার থাকুক। নিজে বুঝে আস্তিক থাকবে বা নিজে বুঝে নাস্তিক হবে। আমাদের কী?
পুনশ্চঃ একটা ব্যপার দেখেছি অনেকেই গুলিয়ে ফেলে। নাস্তিকতা মানে কিন্তু যারা ইসলামে বিশ্বাস করেনা সেটা নয়। আমি আমার লেখায় আস্তিকতা মানে সকল ধর্ম বিশ্বসী মানুষের কথা বুঝাতে চেয়েছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।