হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলাগুলো। কুয়াশায় দিনের অধিকাংশ সময়ই সূর্যের দেখা মিলছে না। হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে।
শিশু ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ডা. কামরুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ১৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে একেবারে নবজাতক থেকে ২ বছর পযর্ন্ত।
“শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এসব শিশু মারা গেছে। বর্তমানে আরও ১০০ শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত,” বলেন তিনি।
শুক্রবার রাতে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের চূহড় গ্রামের ফরিদ আলীর ছেলে জন্মের ২ ঘণ্টা পর মারা যায়। এছাড়া রয়েছে সদরের হরিদেবপুর ইউনিয়নের পাগলাপীর গ্রামের সেলিম সর্দারের মেয়ে সুমী (১), লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আজিজুল হকের ১৩ দিনের ছেলে আদিত্য, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সদরের আবুজার রহমানের মেয়ে আকলিমা খাতুন (২)।
হাতের কাছে রেজিস্টার খাতা না থাকায় মৃত সবার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আতিকুর রহমান জানান, তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ১২ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করছে। তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে আভাস দেন তিনি
এদিকে, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, চলতি মাসের শুরুতে ৪০ হাজার কম্বল চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। ছয় হাজার ৭০০ কম্বল পাওয়া গেছে এবং তা বিতরণও করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।