টুকলিফাই মারাই আমাদের কাজ, চুরা ছেঁচা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
সত্য-মিথ্যার দোলাচালে আইনজিবীদের ক্যারিয়ার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান এবং খ্যাতিমান পেশা ওকালাতি। খ্যাতির পাশাপাশি রয়েছে চ্যালেঞ্জিং ক্যারিয়ার। একজন আইনজিবীর জীবন সত্য-এবং মিথ্যা প্রতিষ্ঠার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কেহ লড়েন সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আবার কেহ বা মিথ্যাকে।
আইনজিবীর চাতুরতায় একজন নিষ্পাপ মানুষ পেতে পারে ভয়ঙ্কর অপরাধীর খেতাব আবার গুরুতর অপরাধী পার পেতে পারেন আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কিম্বা রক্ষা পেতে পারেন একজন নিরাপরাধ মানুষ মিথ্যা মামলা থেকে। তাদের স্বার্থ জড়িত থাকে মক্কেলের সাথে, সত্য বা মিথ্যার সাথে নয়। কেহ বা খুন করে উকিলকে বলবে- আমি খুন করেছি দায়া করে আমায় নিরাপরাধ প্রমাণ করার চেষ্টা করুন যত টাকা লাগে দিব, কেহ বা ধর্ষণ করে বলবে আমি ধর্ষণ করেছি ঠিকই তবে আপনাকে টাকা দিব এই জন্য যে আমাকে নিরাপরাধ প্রমান করতে হবে আবার কেহ বা চুরি করে, ডাকাতি করে, সমাজটাকে কলুষিত করে উকিলকে বলবে আমাকে যেভাবে পারেন মুক্ত করুন, টাকা যা লাগে আমি দিব। উকিল তার পেশার খাতিরে টাকাকেই বেঁছে নিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তার মক্কেলকে জেতানোর জন্য। তৈরী করবেন মিথ্যা স্বাক্ষী, মিথ্যা ডকুমেন্টস, রাতকে করবেন দিন এবং দিনকে করবেন রাত, সাদাকে কালো আর কলোকে সাদা।
বাদীর থেকে বিবাদী থাকবেন আরামে, এদিকে ঘুম হারাম হবে বাদীর। সে হয়তো ভাববে এই দেশের প্রেক্ষাপটে বাদীর থেকে বিবাদী হওয়াই উত্তম।
উকিল তার নিখূঁত কুটচালে ফাঁসিয়ে দিবেন বাদীকে এবং অপরাধী টাকার বিনিময়ে পার পেয়ে নতুন উদ্যমে রচনা করবেন অপরাধের নতুন অধ্যায়। বাদী ঘুরবেন সর্ব শান্ত হয়ে পথে পথে।
উকিলদের কখনো অনুসুচনা হয় না কোন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে সাহায্য করার জন্য।
তারা তাদের পেশাটাকে বড় করে দেখে, কে বাঁচল কে মরল সে হিসাব রাখার জন্য তারা এই পেশায় আসে না। তবে আমার মতে এই দেশে অপরাধীদের দৌরাত্বের পিছনে উকিলদের কালো পোষাকের আড়ালে একটা কালো হাত আছে। একজন সৎ উকিলকে পয়সার থেকে আদর্শকে বড় করে দেখা উচিত। তাহলে দেশে অপরাধের মাত্রা বহুলাংশে হ্রাস পাবে বলে আমি মনে করি।
কিন্তু তা হবে নাঃ আদালত সম্পর্কে আমাদের গ্রামে গঞ্জে, হাটে বাজারে এবং কাচারি পাড়ায় অসংখ্য স্বতসিদ্ধ প্রবাদের মধ্যে একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য হলো "৩৬০ টা শয়তান মরলে হয় একটা উকিল", কোথাও বলে "যখন একটা উকিলের জন্ম হলো, তখন শয়তান খুশী হয়ে গেলো, বললো, আহ আমিতো সন্তানের পিতা হয়ে গেছি ! " আবার এই ৩৬০ টা শয়তান মরে হয় যে উকিল/ব্যারিস্টার হয় ।
এ কি ভাবে মানুষ হয় ? আর এরকম একটা লোক ২০ বছর উকালতি/ব্যারিস্টারী/শয়তানী করার পর বিচারপতি পদে আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করে। তারপর হয় উচ্চ আদালতের বিচারপতি। তাহলে তো পুরোটাই নষ্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।