আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কথায় কথায় হাঁচি!

অনেকেই আছেন যারা কথায় কথায় হাঁচি দিয়ে থাকেন। সারাবছরই তাদের হাঁচি-কাশি লেগেই আছে। মূলত অ্যালার্জির কারণেই এরকমটা হয়। হাঁচি হলো একধরনের শারীরিক প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে শরীর থেকে উদ্দীপক বা উত্তেজক বস্তু অপসৃত হয়।

অ্যালার্জি আক্রান্ত ব্যক্তিরা উত্তেজক রাসায়নিক পদার্থ যেমন : হিস্টামিন নাক দিয়ে নির্গত হওয়ার সময় হাঁচি দেয়। কিছু স্পর্শকাতর দ্রব্য যেমন ধুলাবালি, পশুপাখি বা ফুলের পরাগের সংস্পর্শে এলে অ্যালার্জি আক্রান্তদের এ সমস্যাটি হয়। সাধারণত বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে ফুলের পরাগের জন্য অ্যালার্জির কারণে হাঁচি হয়। হাঁচির জন্য অ্যালার্জিক হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। প্রায় যে কোনো জিনিসই যা নাকে উত্তেজনা সৃষ্টি করে তার কারণে হাঁচি হতে পারে।

যেমন - ধুলাবালি, তীব্র গন্ধ, তাপমাত্রার পরিবর্তন, সংক্রামক রোগ।

হাঁচি একটি জটিল প্রক্রিয়া : হাঁচির শুরু নাকের ভেতরে চামড়ার বহিরাংশে উত্তেজনা সৃষ্টির মাধ্যমে এবং এর ফলে নাক ও মুখ থেকে আকস্মিকভাবে বিস্ফোরণ আকারে বহুল পরিমাণে বায়ু নিঃসরণ। হাঁচির সময় স্নায়ুস্পন্দন নাক থেকে মস্তিষ্কে প্রবাহিত হওয়ার পর অন্যান্য স্নায়ুতে ফিরে আসে যা তলপেট, বুক, মধ্যচ্ছদা, ঘাড় ও মুখমণ্ডলের মাংসপেশি নিয়ন্ত্রণ করে। নাকের শ্লেষ্মা গ্রন্থি ও রক্তবাহী নালিকার ওপরও অনুরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সে জন্য হাঁচি দেওয়ার সময় সাধারণত আমরা চোখ বন্ধ করে ফেলি এবং প্রায়ই পরবর্তীতে নাক দিয়ে সর্দি ঝরে।

ঘণ্টায় ১৫০ কি.মি. বেগে ২-৩ মিটার এর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। তাই হাঁচি জীবাণু ছড়ানোর অতি কার্যকর ও দ্রুত একটি মাধ্যম।

সাধারণ হাঁচির উৎপাদকসমূহ : মাইট, মোল্ড, ফুলের রেণু বা পরাগ, ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়া

ঘরের ধুলো-ময়লা, প্রাণীর পশম এবং চুল, ওষুধসহ কিছু রাসায়নিক দ্রব্য, প্রসাধনসামগ্রী, উগ্র সুগন্ধি বা দুর্গন্ধ, হাঁচি একটি অ্যালার্জিজনিত রোগ, কারও কারও ক্ষেত্রে সামান্য সমস্যা হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে দুর্বিষহ জীবন। হাঁচি সম্পর্কিত রোগ হলো অ্যালার্জিক রাইনাইটিস ও অ্যাজমা।

চিকিৎসা : অ্যালারজেন পরিহার : যখন অ্যালার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তখন তা পরিহার করলেই অ্যালার্জিজনিত হাঁচি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ওষুধ প্রয়োগ : ওষুধ প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে অ্যালার্জির উপশম অনেকটা পাওয়া যায়। এ রোগের প্রধান ওষুধ হলো এন্টিহিস্টামিন ও নেজাল স্টেরয়েড। এন্টিহিস্টামিন, নেজাল স্টেরয়েড ব্যবহার রোগের লক্ষণ তাৎক্ষণিকভাবে উপশম হয়। যেহেতু স্টেরয়েডের বহুল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, তাই এক নাগাড়ে বেশি দিন ব্যবহার করা যায় না।

অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি থেকে এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি অ্যালার্জিজনিত হাঁচি থেকে সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি।

উন্নত দেশগুলোতে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, দ্য অ্যালার্জি এন্ড অ্যাজমা সেন্টার। ফোন : ৮১২৯৩৮৩, ০১৮৪৩৭০৮৯৪৫

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.