কথায় চিঁড়ে ভিজুক আর না-ই ভিজুক, এখন থেকে অন্তত কথায় মুঠোফোন সেট চার্জ হবে। কোরিয়ার এক দল বিজ্ঞানী সম্প্রতি এমনই এক তথ্য জানিয়েছে।
মুঠোফোনে চার্জ থাকা না থাকা নিয়ে আমাদের কতই না বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সময়-অসময় হুট করে চার্জ শেষ হয়ে কখনো বা ফোনটাই বন্ধ হয়ে যায়। আবার যদি সঙ্গে চার্জার না থাকে, তাহলে তো বিপত্তির একশেষ।
তার ওপর প্রতিনিয়ত মুঠোফোনে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুতের খরচটাও নেহায়েত কম হয় না!
এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে নতুন এই প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ ঘটানো সম্ভব হলে মুঠোফোনে আর আলাদা করে চার্জ দিতে হবে না। এতে কথা বললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হতে থাকবে।
ইয়াং জান পার্ক ও সাং ওয়াও কিম নামের দুই কোরীয় বিজ্ঞানী সম্প্রতি অ্যাডভান্সড জার্নালে এ নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তাঁদের যুক্তি অনুযায়ী একটি স্পিকার যদি বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে শব্দে রূপান্তরিত করতে পারে, তবে শব্দও বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে।
আর এটা করা সম্ভব হলে মুঠোফোনে চার্জ দিতে আলাদাভাবে বিদ্যুৎ ব্যয় করতে হবে না। বরং মুঠোফোন ব্যবহারকারী যখনই ফোনে কথা বলবে, তার সেই কথায় ফোনসেটে বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চারিত হবে। তাঁদের প্রত্যাশা, এ পদ্ধতি জাতীয় গ্রিডেও বড় ধরনের বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।
পার্ক ও কিম নিবন্ধে আরও উল্লেখ করেছেন, শব্দশক্তি নানা কাজে ব্যবহূত হতে পারে। এর মধ্যে মুঠোফোনে চার্জ দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে।
এমনকি মহাসড়কের পাশে এই প্রযুক্তি স্থাপন করে চলমান যানবাহনের শব্দ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যেতে পারে।
পার্ক ও কিম তাঁদের গবেষণায় দেখেছেন, মানুষ সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ ডেসিবলে কথা বলে। মানুষের কথা বলার এই মাত্রা ৫০ মিলি ভোল্টস বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
Click This Link
প্রথম আলো থেকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।