যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.
ইদানিং কালে যত রকম পারিবারিক সমসসা আছে তার মধ্যে এখন খুব বেশি পরিমাণে যে সমস্যা সবাই ফেইস করছে সেটা হল কাজের বুয়া সমস্যা। বছর ১০ আগেও এটা নিয়ে কেউ তেমন একটা ভাবত না। কিন্তু এখন সময়ের পরিক্রময়ায় এটা একটা ভাবনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এ নিয়ে পোস্ট টা না দিয়ে পারলাম না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভাল কোন কাজের বুয়া পাওয়া অনেক ভাগ্যের একটা ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুধু ভাল পেলেই হয় না তার সাথে আছে - থাকবে কি না, কাজ করে কি না ঠিকঠাক মত, কত দিন থাকবে, কেমন স্বভাব এর ইত্তাদি সব কিছুর উপর ডিপেন্ড করে। কিন্তু এসব ব্যপার আগে এত বেশি দেখা হত না কিন্তু এখন আর সেই সময় নাই।
আগে যেমন একটা মানুষ দিয়েই ৫/৬ বছর একটানা কাজ করানো যেত এখন এক মানুষ দিয়ে কাজ চালায় যাওয়া এটা একটা দূরহ ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার জন্মের আগে আমাদের বাসায় আব্বা একজন কাজের লোক রেখেছিলেন। সেই লোক তার মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের বাসায় কাজ করেছিল ।
সে যেমন ছিল সৎ তেমনি ছিল খুব কাজের। এখন ও আব্বা আম্মা সেই লোকের কথা বলেন আমাদের।
বর্তমানে এমন লোক পাওয়া যায় না। আর যাদের পাওয়া যায় তারা ঠিক মত কাজ করে না। কিন্তু পয়সা বেশি চায়।
আবার পয়াসা বাড়ায় দিলেও তারা থাকতে চায় না। অনেকে মনে করেন যে কাজের মানুষ মারলে নাকি সব ঠিক। কিন্তু এটা একটা ভুল কথা, আমার মনে হয়। এদের বেশি মারলে এরা বিগড়ায় যায়। তাই এদের সাথে বিরূপ আচরণ না করে ভাল আচরণ করলে তারা ঠিক থাকে।
এরা কাজ পারে না ঠিক মত কিন্তু শয়তানি তে এক নম্বর।
সারা দেশে garments শিল্পের জন্য যে পরিমাণ লোকের দরকার হয় তা তারা খুব সহজে পেয়ে যায়। কারণ বেশি ভাগ মেয়েরাই এখন সেখানে কাজ করে। পুরুষদের থেকে তাদের কাজ করার প্রবণতা ওখানে বেশি থাকে। তারা ওখানে খোলা মেলা পরিবেশ এ কাজ করতে পারে বিধায় বাসার কাজ তারা এখন করতে চায় না।
এর ফলে বাসায় কাজ করার জন্যই কোন মেয়ে মানুষ এখন আর পাওয়া যায় না। যাকেই দেখি সেই garments এ কাজ করতে চায়।
বাসার কাজের লোকদের এখন কোন কাজ করতে বলা হলে তারা মুখের উপর না বলে দেয়!!! অথচ আগে এরাই কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুড়তো। এখন এমন অবস্থা যে বাসার লোকেরাই তোষামোদ করে রাখে কাজের লোকদের। আমরাই মনে হয় এখন তাদের কাছে জিম্মি হয়ে গিয়েছি।
তারা যা বলবে সেটাই যেন ঠিক। সাধারণত দেখেছি যদি বাসার স্বামী এক রকম আর স্ত্রী আর এক রকম হয় তাহলে সেখানে কাজের মানুষ খুব একটা থাকতে চায় না আর থাকলেও তারা যে কোন এক জনকে মানে।
এতে করে দেখা যায় যাকে সে মানছে না তার মুখের উপর সে কথা বলে, কাজ করে না এরকম আরো অনেক কিছু। পারিবারিক অশান্তি তখন দানা বেধে ওঠে। আমি মনে করি সংসার এর সমস্যা, চিন্তা ভাবনা এসব ব্যপার গুলো বুয়াদের সামনে তোলা ঠিক না।
কারণ পরে তারাই যে কোনরকম সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর এখন বিশ্বাসী লোক পাওয়া খুব কঠিন এক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেদিন শুনলাম এক চরম কথা। যার জন্য এই লেখাটা লিখতে বাধ্য হলাম। আমার ছোট চাচার বাসায় একটা কাজের মেয়ে রাখা হয়েছে।
আর সে আছে প্রায় ৭/৮ মাস হয়। মেয়েটা আসার পর থেকেই চলে যাওয়ার জন্য একদম অস্থির করে ফেলছিল। যেটা আসলেই বিরক্তিকর এক ব্যপার। প্রথম প্রথম আসার পর খুব সমস্যা করত। এখন করে না তেমন।
সেই মেয়ের জন্য চাচী নাকি গ্রামে এক খন্ড জমি মেয়েটার নামে লিখে দিচ্ছে!!! বেতন বাড়ায় দেয়া হয়েছে। সোনার চেইন দিয়েছে ঈদ এ।
তাহলে চিন্তা করে দেখেন কোথায় আছি আমরা!!! এত কিছু দিয়েও এদের কে রাখা যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।