আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিপজলের মাইর এবং পুলিশের প্রেস্টিজ

my country creat me a ginipig
শালার পুলিশ !!!! শখ দেখেই টাসকি খায়, দেশটা আসলেই তাগো বাপের !!! এদের কি বিচার হয়েছিলো ? সম্প্রতি চলচিত্রঅভিনেতা ডিপজল কর্তৃক পুলিশ সদস্য লাঞ্ছিত হবার পর সংশ্লিষ্ট থানার ওসি হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, পুলিশের গায়ে হাত তোলা ভয়ানক অপরাধ। কাজেই অপরাধিকে শাস্তি পেতেই হবে। তাছাড়া এটা গোটা পুলিশ বাহিনীর প্রেস্টিজ ইস্যু!! পুলিশকে মারা অবশ্যই অপরাধ এবং এর জন্য ডিপজলের শাস্তি হোক এটাও কাম্য। কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্যখানে, ডিপজল মারলে যদি পুলিশের প্রেস্টিজ ইস্যু হয় তাহলে সরকার দলীয় নেতারা মারলে কি পুলিশের প্রেস্টিজ বাড়ে?? মনে হয় বাড়ে। কারণ পত্রিকার পাতা খুললেই সরকার দলীয় নেতা কর্মী কর্তৃক পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পেটানোর অহরহ কাহিনী পাওয়া যায়।

সেসব ঘটনায় পুলিশের প্রেস্টিজ গেছে এমন বক্তব্য যেমন শুনা যায় না। তেমনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা পর্যন্ত করে না পুলিশ। কোন কোন ঘটনায় মামলা বা জিডি হলেও দেখা যায় পুলিশের কর্তারা তা দামাচাপা দিয়ে নিজেদের প্রেস্টিজ রক্ষা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন!! গত ২৭ জুলাই সূত্রাপুরে এমপির এপিএসের হাতে এএসআই আবুল কাশেম লাঞ্ছিত। থানায় জিডি করলেও পরে অস্বীকার। মে মাসে পুলিসের এএস আই আরিফ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সহসভাপতি মাসুদ রানার গাড়ির কাগজপত্র চাইতে গেলে আক্রান্ত হন।

৩০ জুন আশুলিয়ায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্যের হাতে মারধরের শিকার হন সার্জেন্ট শরিফুল ইসলাম। ১৭ জুলাই কামরাঙ্গির চর এলাকায় কর্তব্য পালনের সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা জুম্মন ও মোহাম্মদ আলীর হাতে মারধরের শিকার হন পুলিশ বাহিনীর সদস্য এসআই এবারত হোসেন। তাছাড়া কক্সবাজার সাংসদ বদি বেশ কবার পুলিশ পিটিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন। চট্টগ্রামের সাংসদ আব্দুল লতিফ পুলিশ পিটিয়েছেন। এরকম ঘটনা আছে আরো অনেক।

কিন্তু এসব ঘটনায় পুলিশের প্রেস্টিজ গেছে বলে কখনো শুনা যায়নি। একইভাবে ডিপজলের মার খেয়েও তাদের প্রেস্টিজ যেত না, যদি কিনা ডিপজল আওয়ামী (সরকার দলীয়) নেতা হতো। আসলে আমাদের পুলিশ আর এখন পুলিশ নেই। তারা অপরাধ আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে হয়ে গেছে সরকার দলের পেটুয়া বাহিনী। আর তাদের কর্তারা নিয়োগ পান দলীয় কর্মী হিসেবে।

তাই সরকার দলীয় নেতারা পিটালে তাদের প্রেস্টিজ বাড়ে আর অন্যদের বেলায় পান থেকে চুন খসলেই বীরত্ব নিয়ে যাপিয়ে পড়ে। বিরুধী দল, সাংবাদিক, সাধারণ মানুষ, দুর্বল-অসহায় আর নারীদের বিরুদ্ধেই তাদের বীরত্ব প্রমাণ করতেই তারা মরিয়া। পুলিশের আরো কিছু বীরত্বগাথা-- সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পিটিয়ে মামলা দিল পুলিশ এরকম অসংখ্য ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে যেখানে নারী এবং দুর্বলদের বিরুদ্ধে পুলিশ তাদের বীরত্ব জাহির করছে। এগুলো কি পুলিশের প্রেস্টিজ বাড়াচ্ছে? অথচ দেশকে বদলাতে হলে তো এ পুলিশ এবং পুলিশের বোধশক্তিকেই বদলাতে হবে সবার আগে। কিন্তু সেই বদল কবে হবে???
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.