আমি জানি আমার দেখা সব স্বপ্ন পূরণ হবে না। তবে কথায় আছে "মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। "তাই হাল আমি ছাড়ছি না।
শীতকাল তবে চলেই এল।
আহা!সেই শীতকাল।
কতশত স্মৃতি এই কালটিকে ঘিরে। কতশত দুঃখ কষ্ট। আজ অনেক কিছু মনের চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
সেই শীতকাল!একটা বছর ঘুরে এসে যখন এই সময়টা ঘরের দুয়ারে এসে কড়া নাড়ে,তখন আনন্দ ও ভয় দুটোই আমাকে ঝাপটে ধরে।
শীতকাল আসলেই শুরু হয় আমার সোয়েটার আর জ্যাকেট নিয়ে টানাটানি।
ভেতরের শার্টটার কলার উপরের আবরণের উপর ফেলে ঘরে কিংবা বাইরে হাঁটাহাঁটি। সাথে অবশ্যই থাকে মাফলার অথবা মাংকি ক্যাপ অথবা কান টুপি। শীতের বেলা ঐগুলি পরার মজাই আলাদা।
সকালে ঘুম থেকে উঠতে কত কষ্ট হয় এ সময়টায়!চোখ জোড়াগুলোকে যেন রাজ্যের আলসেমিতে পেয়ে বসে। গায়ের কম্বল গায়ের সাথে মিশে থাকতে চায়।
এত মায়া কাটিয়ে তবুও ঘুম থেকে উঠতে হয় কাজের জন্য। ঘুম থেকে উঠার পর বাইরে এলে দেখা যায় প্রকৃতির জমাট বাধা কান্না। চারিদিক সাদা হয়ে থাকে। তখন মনের ভাবনাগুলোকে সেখানে মুক্তি দেয়া যায়। সেগুলা পরে কুয়াশার সাথে মিলিয়ে যায়,কেউ টের পায় না।
শীতকালে মার রান্না করা নিরামিষ খেতে দারুণ লাগে,বিশেষ করে লাবড়াটা। ইয়াম্মি!
কৈ মাছও আমি খেতে ভালোবাসি। আর এই মাছ পাওয়া যায় শীতকালে। টমেটো,আলু দিয়ে ঝোল ঝোল কৈ,দারুণ!
তবে এই শীতকালকে আমি ভয়ানক ভয়ও পাই। কারণ এই শীতে আমার ঠান্ডা লেগে যায়।
আর ঠান্ডা লাগলেই আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে,মনে হয় বাতাসের অভাবে বুক ফেটে যাবে। এই অভিজ্ঞতা যাদের হয়নি,তারা বলতে পারবে না এর কষ্টটা কেমন হয়।
তবে শীতকাল ত শীতকালই। কারণ শীতকালের মজাটাই অন্যরকম। এসময় যত কষ্টই হোক না কেন,কেবল প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ইচ্ছে করে।
তাই ত আজ যখন রাতেরবেলা জানালা দিয়ে বাইরে কুয়াশা পড়তে দেখলাম,তখন অস্ফুট স্বরে বলে উঠলাম,"স্বাগতম শীতকাল"।
বুকটা তখন ঘরঘর করে উঠল কফের কারণে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।