....
রাস্তাঘাটে চলতে গেলে একটা দৃশ্য দেখে প্রায়ই আমাদের একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়, সেটা হচ্ছে পথেঘাটে থাকা কুকুরগুলোর বেসামাল জৈবিক চাহিদা মেটানোর দৃশ্য। আর এ অবস্থায় যদি ছোট কেউ অথবা পরিবারের কেউ সঙ্গে থাকে তাহলেতো কেমন লাগে যারা এ অবস্থায় পরেছেন তারা ভালো করেই জানেন। তখন মনেহয় বেটা কুকুর আর জায়গা পেলিনা!!
কেউ কেউ হয়তো এগুলোকে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু নিশ্চয়ই কেউ কখনো এই কুকুরগুলির মানসম্মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেনা, অথবা এদের বাবা-মা নিয়ে কথা বলেনা অথবা এদের লজ্জাবোধ নিয়ে কিছু বলেনা। কেন বলেনা? কারণ এরা পশু, এরা কুকুর।
মানুষের মত এদের বিবেক-বুদ্ধি, লাজ-শরম, অত্মসম্মান বোধ কিছুই নেই।
কিন্তু যদি মানুষ এদের মত রাস্তা ঘাটে, উন্মুক্ত স্থানে যেখানে চারপাশ থেকে অন্য দশজন দেখতে পায় এমন জায়গায় বসে এসব বেহায়াপনা, বেসামাল আচরণ করে তাহলে আপনারা কি বলবেন?
তাহলে পশু আর আমাদের মাঝে পার্থক্য কি রইলো?
আজ সন্ধ্যার পর তিন ফ্রেন্ড মিলে বেইলি রোডের ভিকারুন্নিসার বিপরীতের ছাউনীতে বসলাম। দুই ফ্রেন্ড বসেছে আমার ডান পাশে, আমার বাম পাশে কিছুটা জায়গা খালি ছিল। কিছুক্ষণ পর সেখানে দুইটা ছেলেমেয়ে এসে বসলো, তাদের বিপরীতের বেঞ্চে আরো দুইটা ছেলে বসলো। বুঝলাম চারজন একসাথেই এসেছে।
কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই ছেলেমেয়ে দুজন জড়াজড়ি করে সশব্দে চার ঠোটের মিলন ঘটাতে লাগলো। সামনের ছেলে দুটো ভাবলেশহীন। যেন এই দৃশ্য দেখে দেখে তারা অভ্যস্ত। আমার ডান পাশের ফ্রেন্ড দুজন আমার দিকে ফিরে কথা বলছিল আর কিছুক্ষণ পর পর ওইদিকে তাকানোর জন্য ইশারা করছিল। বুঝলাম রিপিট হচ্ছে।
এর মধ্যে একটা ফ্রেন্ড একটু ফাজিল টাইপ, ও বললো দোস্ত হাতও চলছে! বললাম তাহলে চল আমরা পা চালাই।
বুঝলাম না। প্রেম করে ভালো কথা, কিন্তু তাই বলে জনসম্মুখে এসব করে নিজেদের কি প্রমাণ করতে চাইছে এরা। স্মার্ট, আধুনিক, প্রগতিশীল???
কিন্তু না! এরা এর কোনটাই না। এরা বরং আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছে।
যখন মানুষ ছিল বর্বর, অসভ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।