"ধর্মীয় কুসংস্কারে যারা আবদ্ধ তারা সব সময়েই দরিদ্র থাকে। " ‘তথ্য-প্রযুক্তি’ -আধুনিক বিশ্বে এই শব্দটির প্রয়োগ সর্বক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়েছে। ‘তথ্য-প্রযুক্তি’ পরিণত হয়েছে একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর মেরুদন্ড হিসেবে। বাংলাদেশে এর ব্যবহারও ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে।
সরকার দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার ও বিকাশের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার এবং দেশের আপামর জনগণকে এই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করার জন্যে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। ‘রূপকল্প ২০২১: ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ২০১২ সালে বর্তমান সরকার কর্তৃক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ঃ
২০১০ সালে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ গঠন করা হয়। পরবর্তিতে ২০১২ সালে এই বিভাগ দুটিকে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ে উন্নীত করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে একজন পূর্ণ মন্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
যার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকারের প্রতিফলন স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়।
টেলিটকের পরিক্ষামূলক থ্রিজি সংযোজনঃ
‘বাঁধ ভেঙ্গে দাও’ স্লোগান নিয়ে বাজারে এসেছে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত মুঠোফোন অপারেটর টেলিটকের থ্রিজি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ অক্টোবর ২০১২ সালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে চীন সরকারের সহায়তায় সংযোজিত টেলিটকের পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আধুনিক থ্রিজি প্রযুক্তি সেবার উদ্বোধন করেন। দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে উন্মোচিত হলো এক নতুন দিগন্ত। এর মাধ্যমে তৃতীয় প্রজন্মের এই প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর স্তরে উঠে এল বাংলাদেশ এবং স্থাপিত হলো এক নতুন মাইলফলক।
নতুন এই সংযোজন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ও সেবার বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি শিক্ষা, গবেষণা, শিল্প, কৃষি, সেবা খাতসহ সব ক্ষেত্রেই এর ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এতে দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও জনগণের ক্ষমতায়নে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত হবে আশাকরা যায়।
ইলেকট্রনিক গভর্ণমেণ্ট প্রকিউরমেণ্ট (ই-জিপি):
উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল এবং সরকারী অর্থ ব্যয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ই-টেণ্ডারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি। একটি মানসম্পন্ন, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও কার্যকর ক্রয় পদ্ধতি তথা সরকারী কিংবা বেসরকারী পর্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রমকে গতিশীল এবং এ বাবদ অর্থ ব্যয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ইলেক্ট্রনিক্স টেন্ডার বা ই-টেণ্ডারের আগমন। পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা শর্তে ঠিকাদারগণ এই পদ্ধতিতে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
ফলে ক্রয় কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ও গুণগতমান উভয়ই বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনভিপ্রেত বহিঃ প্রভাব তিরোহিত হবে যা আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উপরও অনুকূল প্রভাব রাখতে সক্ষম হবে। অর্থ ব্যয়ে একটি স্বচ্ছ, গতিশীল ও টেকশই ব্যবস্থা প্রবর্তিত হবে। ২০১২ সালে এর পূর্ণ ব্যবহার শুরু করা হয়েছে।
ডিজিটাল স্বাক্ষরঃ
২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল এ সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে।
ডিজিটাল স্বাক্ষর তথ্য প্রেরণকারীর পরিচয় নিশ্চিত করে। সাথে-সাথে তথ্য বিনিময়কালে তথ্যটিতে কোন অনভিপ্রেত পরিবর্তন রোধ করে। প্রচলিত পদ্ধতিতে কোন দলিলে পরিচিতি নিশ্চিত ও অনভিপ্রেত পরিবর্তন রোধ কল্পে যেমন হাতের লেখা স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়, ইলেক্ট্রনিক্যালি তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট জটিল গাণিতিক পদ্ধতি ঠিক তেমনি পরিচিতি নিশ্চিত ও অনভিপ্রেত পরিবর্তন রোধে কাজ করে। সাধারণতঃ ইন্টারনেটে বা নেটওয়ার্কে আর্থিক লেনদেন বা অন্য কোন গোপনীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে তথ্যের সঙ্গে ডিজিটাল স্বাক্ষর জুড়ে দেয়া হয়। প্রতিটি দলিলের জন্য স্বাক্ষর হয় ভিন্ন ও গোপনীয়।
ফলে নকলের কোন সুযোগ নেই। প্রেরকের পরিচয় যাচাই -এর কাজটিও হয় সফ্টওয়ারের মাধ্যমে। ডিজিটাল স্বাক্ষর ছাড়া ইলেক্ট্রনিক লেনদেন সম্ভব নয়। কারণ, লেনদেন হতে হবে পরিচিতিসহ অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপ মুক্ত।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের জন্যে পরামর্শক নিয়োগঃ
গত ২৯ মার্চ ২০১২ তারিখে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্পেস পার্টনারশীপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তি অনুসারে তিন বছরের মধ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের জন্যে প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা এবং অন্যান্য সকল আয়োজন করবে এসপিআই। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হলে বছরে বাংলাদেশের অন্তত ১১ মিলিয়ন ডলার খরব বাঁচবে। একই সঙ্গে দেশের মধ্যে আরো ৫০ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সংস্থান হবে বলে আশাকরা হচ্ছে।
বিকল্প সাবমেরিন ও টেরেস্ট্রিয়াল সংযোগঃ
দেশে উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-ফাইভ (সি-মি-উই-ফাইভ) নামের নতুন সাবমেরিন ক্যাবল্ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। টেলিযোগাযোগ সেবা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবলে্র উপর না রেখে পাশাপাশি টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল্ (আইটিসি) লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।
যা নিরবিচ্ছন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানে সহায়ক হবে।
ইউনিকোডভিত্তিক নতুন ফন্টঃ
‘আমার বর্ণমালা’ নামে ইউনিকোডভিত্তিক নতুন একটি বাংলা ফন্ট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা একাডেমী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প। কম্পিউটার টাইপিং –এ ব্যবহারের জন্য, এটাই হবে বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে বানানো প্রথম ফন্ট। ফন্টে ইউনিকোড সুবিধার সঙ্গে প্রমিত বাংলা, যুক্তাক্ষর ও নতুন সংস্করণের প্রযুক্তির সমন্বয় করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে করে কম্পিউটারে বাংলা টাইপিং এর জন্য জাতীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য একটি ফন্ট পাওয়া যাবে।
জেলা ই-সেবাকেন্দ্রঃ
রেকর্ডরুম থেকে নকল প্রাপ্তিসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল সেবাসমূহ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে ‘জেলা ই-সেবাকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত কাউন্টারে এসে সরাসরি, ডাকযোগে, উপজেলা ই-সেবাকেন্দ্রে, ইউআইএসসি থেকে এবং অনলাইনে জেলা তথ্য বাতায়নের (District Web Portal) মাধ্যমে জনগণ আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পর আবেদনকারীকে আইডি নম্বরসহ প্রাপ্তিস্বীকারপত্র এবং সেবা প্রাপ্তির সম্ভাব্য তারিখ দেয়া হয়। এই আইডি নম্বর জানিয়ে আবেদনকারী অন স্টপ কাউন্টারে এসে সরাসরি, এসএমএস করে, ফোনের মাধ্যমে, ডাকযোগে এবং ই- মেইলের মাধ্যমে সেবা প্রাপ্তির সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। ইতোমধ্যে দেশের সকল জেলায় জেলা ই-সেবাকেন্দ্র স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে (ইউআইএসসি):
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের সকল ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র। এসব তথ্য ও সেবাকেন্দ্র থেকে তৃণমূলের জনগণ মোবাইল ব্যাংকিং, জীবন বীমা সুবিধা, বিদ্যুতের বিল পরিশোধ, বিভিন্ন সরকারি ফরম, সরকারি ঘোষণা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন বিষয়ক তথ্য ছাড়াও ই-মেইল করা, ইন্টারনেট ব্যবহার করা, মোবাইল ফোন রিচার্জ করা,কম্পিউটার কম্পোজ, প্রিন্ট দেয়া ইত্যাদি সেবা পাচ্ছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল পাঠ্যপুস্তক নিয়ে ই-বুকের আনুষ্ঠানিক যাত্রাঃ
জাতীয় শিক্ষক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং ইউএনডিপি’র অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম যৌথভাবে ই-বুক প্রনয়ণের সাথে সম্পৃক্ত। ই-বুক হলো মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক সংস্করণ যা ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্র যেমনঃ ই-বুক রিডার, মোবাইল ফোন, পিডিএ, সিডি ও আইপ্যাডে পাঠযোগ্য। প্রাথমিক স্তরের ৩৩টি এবং মাধ্যমিক স্তরের ৭৩টি সহ মোট ১০৬টি পাঠ্যপুস্তক ইতোমধ্যেই ই-বুকে রূপান্তরের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
শিক্ষকদের তৈরি ডিজিটাল কনটেন্ট ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ মে ২০১২ তারিখে ‘শিক্ষকদের তৈরি ডিজিটাল কনটেন্ট’ ও ‘মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। শিক্ষকদের তৈরি ডিজিটাল কনটেন্ট মডেলে শ্রেণীকক্ষের বিমূর্ত ও কঠিন বিষয়বস্তুকে শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় ও মূর্ত করে তোলার লক্ষ্যে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষকরাই এখন কনটেন্ট তৈরি করছেন। কনটেন্ট তৈরির জন্য কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞান, ইন্টারনেট থেকে ছবি, অ্যানিমেশন বা ভিডিও ডাউনলোড করার কৌশল, তা পাওয়ারপয়েন্টে অন্তর্ভূক্ত করার দক্ষতা অর্জন করলেই চলবে। এর মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ভালো কনটেন্ট দেখার সুযোগ পাচ্ছে।
শিক্ষকগণ প্রয়োজনে কনটেন্ট এডিট করে নিজেদের উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের তা দেখাচ্ছেন। সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে ইতোমধ্যে ৫০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে।
তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারঃ
জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে যেকোনো সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি ও উন্নয়ন সংস্থার কাছে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন এবং তথ্য না পেলে তথ্য কমিশনের কাছে অনলাইনে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিযোগ করা যাবে। তথ্য কমিশন ও একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগামের যৌথ উদ্যোগের ফলে সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২:
একটি আধুনিক ডিজিটাল সমাজ গঠনে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নির্ভর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে এ সংশ্লিস্ট বিভিন্ন উদ্যোগ, আইসিটি ক্ষেত্রের সাফল্য ও সক্ষমতা তুলে ধরতে ‘সমৃদ্ধির জন্য জ্ঞান (নলেজ টু প্রস্পারেটি)’ প্রতিপাদ্য নিয়ে গত ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর ২০১২ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েগেল ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২’ শীর্ষক আয়োজন। দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে বিশ্বে তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে বিপুল অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার সুফল দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে ছড়িয়ে দেয়া ও যুবসমাজের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এ আয়োজন করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিস্টরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
[লেখকঃ প্রোগ্রামার, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ঢাকা। ই-মেইলঃ ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।