নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন শাহবাগ চত্বরে সতেরো দিন আঠারো রাত অবস্থান করার পর সাময়িক বিরতি দিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ঘরে ফিরে গিয়েছিল। ঘরে ফিরে গেলেও ঘোষণা করেছিল ভিন্ন আঙ্গিকে তাদের এই আন্দোলন চলবে। শুক্রবার বিকেলে তারা আবার তাদের পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে কারণ তাদের কয়েক ঘণ্টার অনুপস্থিতিতে একাত্তরের প্রেতাত্মারা আবার তাদের মাতৃভূমি আক্রমণ করেছে। এই প্রেতাত্মাদের নাম জামায়াত শিবির যারা একাত্তর সালে এই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল এবং বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া বহাল তবিয়তে তাদের পুনর্বাসন করে গিয়েছিলেন। জামায়াত-শিবির আবার নানা নামে আর নানা চেহারায় এদেশে অবস্থান করে।
শুক্রবার বাদ জুমা তারা বারোটি সমমনা ইসলামী দলের নামে সারাদেশে রাস্তায় নেমে এক ভয়াবহ তা-ব চালিয়েছে, নির্বিচারে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা করেছে, পুলিশের উদ্দেশে গুলি বোমা ছুড়েছে, মসজিদে নামাজের গালিচায় অগ্নিসংযোগ করেছে, আমাদের জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে, শহীদ মিনার ভাংচুর করেছে এবং বিভিন্ন জায়গায় গণজাগরণ মঞ্চে আগুন দিয়েছে আর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জোরপূর্বক ঢুকে তারা ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। ঠিক এমন সব কাজ একাত্তরে তাদের প্রভু পাকিস্তান সেনাবাহিনী করত। এই সবই তারা করেছে কয়েকটি ইন্টারনেট ব্লগে ইসলাম ও হজরত মুহাম্মদ (দ)-এর নামে কুৎসা রটনা করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়েছে যা ছিল সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। তাদের এসব ন্যক্কারজনক কাজে উৎসাহভরে সহায়তা জুগিয়েছে জামায়াত-বিএনপিদলীয় তিনটি সংবাদপত্র ও একটি টিভি চ্যানেল যার প্রধান শরিক একাত্তর সালে চট্টগ্রামে ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রধান ঘাতকের ভূমিকা পালনকারী মীর কাসেম আলী।
তিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে তার অপকর্মের জন্য বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
শুক্রবার যারা দেশব্যাপী ভয়াবহ তা-ব চালাল তারা নিজেদের এই বলে পরিচয় দিয়েছে তারা সমমনা বারোটি ইসলামী দল। তারা যদি সমমনাই হবেন তা হলে তাদের বারো ভাগে ভাগ হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? যাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে মুসলিম দুনিয়া জানে সেই মহাপুরুষ হজরত মুহাম্মদ (দ) জামানায় তো ইসলাম এতভাগে বিভক্ত ছিল না। মহানবীর ওফাতের পর পবিত্র ধর্ম ইসলামে এই বিভক্তিগুলোর অনেকই এসেছে স্রেফ ক্ষুদ্র ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে নয়। এর ফলে যে ইসলাম পবিত্র ভূমি মক্কায় প্রবর্তিত হয়েছিল শান্তির বাণী নিয়ে সেই ইসলাম এখন কিছুসংখ্যক ফেৎনা সৃষ্টিকারী আর ফেরেববাজদের হাতে পড়ে সারাবিশ্বে একটি জঙ্গীবাদী ধর্ম হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
পাকিস্তান, যেই দেশটি ইসলামকে পুঁজি করে সৃষ্টি হয়েছিল এখন সেখানে সব চাইতে বেশি মানুষ খুন হয় আল্লাহ্র ঘর পবিত্র মসজিদে যখন মানুষ নামাজরত অবস্থায় থাকে। এই খুনগুলো কোন ইহুদী নাসারা করে না, করে আর একদল মানুষ নামে পশু যারা নিজেদের মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেয়। এটি কোন্ ধরনের ইসলাম? এই তথাকথিত সমমনা দলগুলো কয়েকটি বিষয়ে একমত পোষণ করে। তারা অন্তর হতে বাংলাদেশকে স্বীকার করে না। তারা অনেকেই আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের মতবাদ প্রচার করে, জগতের যা কিছু সুন্দর তা তারা ধ্বংস করতে চায়, তারা সকলে ইসলামে বাতিল মতবাদে বিশ্বাস ও প্রচার করে, তারা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য পবিত্র ধর্ম ইসলামকে রাজনীতিতে ব্যবহার করে এবং মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে এবং সুযোগ পেলে অন্যের গলা কাটতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না।
এরা ইসলামের মনগড়া ব্যাখ্যা হাজির করে স্রেফ নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য । বাংলাদেশে এদের অনেকেরই মুরব্বি সংগঠন একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াতে ইসলামী, উপমহাদেশে যার প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদী। তার গুরু আবার মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্না। গত শতকের ত্রিশের দশকে বান্না ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং শান্তির ধর্ম ইসলামকে একটি জঙ্গীবাদী ধর্ম হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে তুলে ছিলেন। তিনিই হলেন ইসলামে জঙ্গীবাদ প্রবর্তনের জনক এবং তার প্রথম কাতারের সাগরেদ ছিলেন মওদুদী, যিনি আবার পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
মওদুদী তার অনেক লেখনীতে ইসলামের মহানবীসহ তার পূর্ববর্তী অনেক নবী, পয়গম্বর ও সাহাবা সম্পর্কে এমন সব আপত্তিজনক উক্তি করেছেন (নাউযুবিল্লাহ) যা সরাসরি ধর্মদ্রোহীর পর্যায়ে পড়ে। সেই মওদুদী ১৯৪১ সালে ইসলাম নয়, ইংরেজদের খেদমত করার জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার একটি সংস্করণ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, যে দলটি একাত্তরে সরাসরি ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এই মওদুদী ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানে কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা সৃষ্টি করে কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ হত্যা করেছিলেন। বিচারে তার মৃত্যুদ- হয়েছিল। পরে সৌদি বাদশাহ্র চাপে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
বাংলাদেশে জামায়াতের প্রায় সব শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এখন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জেলে এবং বিচারের মুখোমুখি এবং তাদের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। এ কারণেই তারা তাদের তথাকথিত আন্দোলনসমূহ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অন্যদের ঠিকা বা আউটসোর্স করে দিয়েছে বলা যায়। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন ধারণাটি জামায়াত বা তাদের মিত্রদের অভিধানে নেই। যুক্তিতর্ক তাদের কাছে অপরিচিত শব্দ। সব কিছুই জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়ার মন্ত্র তাদের আদর্শ।
শাহবাগ চত্বরে নতুন প্রজন্মের যোদ্ধারা দীর্ঘ সতেরো দিন শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালাল আর জামায়াতের দোসররা রাস্তায় নেমেই দেশব্যাপী তা-বে লিপ্ত।
শাহবাগ চত্বরে নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা গত ৫ ফেব্রুয়ারি যে গণ অবস্থান শুরু করেছিল তা কোন সরকার পতন আন্দোলন ছিল না বা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মসূচীও ছিল না। এই গণ অবস্থান কর্মসূচীটি শুরু হয়েছিল একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে। এটি একটি নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ছিল এবং তা দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন এমন সব মানুষকে এক কাতারে শামিল করতে পেরেছিল। শুরুতে এটি ছিল ব্লগারদের আহ্বানে সৃষ্টি একটি সমাবেশ যা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের লাখো মানুষের সমাবেশে পরিণত হয়েছে।
দাবি একটাইÑ একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসি চাই। এর মধ্যে খুন হলো ব্লগার রাজীব। ধারণা করা হয় এই খুনের পেছনে জামায়াত-শিবিরের হাত আছে। ঘাতকরা মনে করেছিল এক রাজীবকে খুন করলে বাকিরা ভয় পেয়ে যাবে। ফল হলো উল্টো।
এক রাজীবের মৃত্যু সৃষ্টি করল লাখো রাজীব। তারপর যে কাজটি তার ঘাতকরা করল তা স্রেফ জালিয়াতি। তারা রাজীবের নামে ইন্টারনেটে ব্লগ তৈরি করে হজরত মুহাম্মদ (দ.) ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য ছেড়ে দিল। এই কাজটি যার সামান্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান আছে সেই করতে পারে। আমি প্রতিদিন জামায়াতসহ বিরোধীদলীয় নেতা-নেত্রীদের সম্পর্কে এমন সব কুৎসিত ছবি, ভিডিও আর মন্তব্য পাই তা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে রুচিতে বাধে।
কিছুদিন আগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সম্পর্কে এমন একটি অডিও পোস্ট আসে যা একান্তভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। এর সত্যতা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এখন সেই পোস্ট যদি আমি আর দশজনের সঙ্গে শেয়ার করি তাহলে কী হতে পারে সে সম্পর্কে আমি ধারণাও করতে পারি না। এমন একটি ভুয়া ভিডিও নিয়ে গতবছর কক্সবাজারের রামুতে একদল উন্মাদ বৌদ্ধপল্লীতে নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। শুক্রবার দেশব্যাপী যে তা-ব চলল তা একই ধরনের ভুয়া ব্লগ পোস্ট নিয়ে যেটি বোঝার ক্ষমতা অনেক তা-ব সৃষ্টিকারী মূর্খদের নেই।
রাজীব তো দূরে থাক বাংলাদেশে আমার মনে হয় না এমন কোন নাস্তিকও আছে যে প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম বা তার নবীকে নিয়ে কোন ধরনের কটূক্তি করতে পারে। এমনটি করলে আমি প্রথমে রাস্তায় নামব। আমি তো আল্লাহর ঘর কাবা শরীফ দেখেছি আর হজরত মুহাম্মদের (দঃ) রওজা জিয়ারত করেছি। রাজীবের পরিবার পরিষ্কার ভাষায় বলেছে রাজীব কোন নাস্তিক ছিল না। সে জামায়াত-শিবিরের ধর্ম ব্যবসায়ীদের রাজনীতি ঘৃণা করত যা বাংলাদেশের পঁচানব্বই ভাগ মানুষ করে।
এদেশের মানুষ সাংঘাতিকভাবে ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। পূর্ব-ভারতেই এই অঞ্চলে অষ্টম শতকে আরব বণিকদের হাত ধরে ইসলাম ধর্ম প্রবেশ করেছিল। তারপর এখানে অনেক সুফীসাধক ধর্ম প্রচার করতে এসেছেন এবং দেশকে ভালবেসে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন। এখনও ইসলাম তরবারির আগায় করে আসেনি যা জামায়াত-শিবির প্রচার করতে চায়। এই দেশের মানুষ সুফীসাধকদের প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম পালন করতে চায় মওদুদী ব্র্যান্ডের ইসলাম নয়।
যেসব প্রকৃত মুসলমান অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাদের সচেতন হওয়ার এখনই সময়।
জামায়াত আগামীতে আরও নানা ধরনের উস্কানি দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। তারা ইতোমধ্যে গৃহযুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। সরকারকে এই তস্করদের কর্মকা- কঠোরহস্তে দমন করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে আরও সচেষ্ট হতে হবে।
যে কোন দেশেই কোন গণমাধ্যম যদি অসত্য সংবাদ বা তথ্য প্রচার করে সেসব গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আইন আছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করে যেসব গণমাধ্যম দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে জামায়াতে অংশীদার হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার সহজে ব্যবস্থা নিতে পারে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অর্থ দেশে অশান্তি আর নৈরাজ্য সৃষ্টির লাইসেন্স দেয়া নয়। সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যম কোন কিছুই আইনের উর্ধে নয়।
সরকার যদি নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পিছপা হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এমন দিনও আসবে যখন এই তস্কররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষ হত্যা করবে যেমনটি বিগত দিনের চারদলীয় জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রামে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে হত্যা করেছিল। সময় থাকতেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে মনে হয় সরকার সব কিছু নিয়ে এক ধরনের দোদুল্যমানতায় ভোগে। এটি কাম্য নয়। যে সরকার জনগণের এত বিশাল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতা আসে সে সরকার জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কোন সিদ্ধান্ত নিতে কেন এত দ্বিধাগ্রস্ত থাকবে? জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আরও নাশকতা চালাবে বলে অনেকে মনে করেন।
বর্তমানে তারা যা করছে তার চাইতে তারা আর বেশি কী করবে? জনগণকে সঙ্গে রাখতে পারলে সরকারের জন্য অনেক বড় সমস্যাও আর সমস্যা থাকে না। আর বর্তমানে জামায়াত-শিবির তো আর রাজনৈতিক দল নেই। এই সংগঠন দুটি এখন শহরভিত্তিক সন্ত্রাসী দল হয়ে উঠেছে। একসময় নকশালরাও পশ্চিম বঙ্গে এইরূপ ধারণ করেছিল। ইউরোপ, জাপান আর দক্ষিণ আমেরিকার কোন কোন দেশে একসময় এ ধরনের সন্ত্রাসী দলের অস্তিত্ব ছিল।
সরকারের কঠোর নীতির ফলে সেগুলো এখন বিলুপ্ত হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের ব্যাপারেও সরকারের এমন নীতির কোন বিকল্প নেই। মাঝে মধ্যে আমার এবং আমার মতো অনেকেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু করতে চান কিন্তু তাঁকে মনে হয় কেউ পেছন হতে ধরে রাখে। তা যদি হয় সত্য ক্ষতি কিন্তু একান্ত ভাবে তার। আবার অনেকে বলেন, তিনি তার প্রকৃত বন্ধু আর শত্রুকে সঠিকভাবে এখনও চিহ্নিত করতে পারেন না।
তা যদি সত্য হয় তাহলে সেই ক্ষতি জাতির। কোনটা সত্য আর কোনটা নয় তা জনগণের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়। এটি বোঝার দায়িত্ব একান্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর। দেশের মানুষ আশা করে তিনি সময় থাকতে সঠিক সিদ্ধান্তটি নেবেন। আর তা যদি না হয় তাহলে সকলকে পস্তাতে হবে।
স্বপ্নের বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারের এখনই সময়।
( লেখক, শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক : আবদুল মান্নান। ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৩)
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।