দেখে যা অনির্বান কি সুখে আছে প্রাণ...
প্রধান বিরোধী দলের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আবারো সুস্পষ্ট করে বলেছেন, ট্রানজিট সুবিধার বিনিময়ে ভারতকে অবশ্যই ফি দিতে হবে।
রোববার এক জনসভায় খালেদা জিয়া ট্রানজিট নিয়ে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, শুল্ক বা ফি ছাড়া বাংলাদেশের ওপর দিয়ে কোনো বিদেশি গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।
এই ফি নির্ধারণের জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি নীতিমালা চুড়ান্ত হবে বলেও জানান মুহিত।
সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার রজিত মিত্রের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, "বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবেই একটি ট্রানজিট দেশ।
আমরা ট্রানজিট দেবো। যারা এর বিরোধীতা করছে তারা পুরোপুরি বোকা। ট্রানজিটের ওপর কোনও শুল্ক থাকতে পারে না। ট্রান্সশিপমেন্টের ওপর শুল্ক থাকতে পারে। তবে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে যেহেতু আমরা আমাদের ভূখন্ড ব্যবহার করতে দেবো তাই একটা ফি থাকতে পারে।
"
মুহিত বলেন, বাহাত্তরের চুক্তিতে কেবল জলসীমা ব্যবহার করে নৌকা বা পণ্যবাহী কার্গো চলাচলের অনুমতি ছিল।
তিনি জানান, শুল্কবিরোধ নিয়ে গত মাসে ভারতীয় দুটি কার্গো জাহাজকে আটকে দেয় বাংলাদেশের শুল্ক কর্তৃপক্ষ। এ জাহাজ দুটি ছাড়ানোর বিষয়ে রজিত মিত্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "শুল্ক সমস্যা নিয়ে ভারতের দুটি জাহাজ যে এখনো আটকা আছে আমার সেটি জানা ছিলনা। আমি ভেবেছিলাম সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আগামীকাল সিদ্ধান্ত হবে। "
আসলে তার কোন বক্তব্যটি বাস্তবায়ন হবে। এটাই এখন আমাদের দেখার বিষয়। তবে হুদার এই কার্টুন দুটি অতীতের সাক্ষ্য বহন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।