রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী মিতা হকের 'ঘোমটা তত্ত্ব' নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে 'সংস্কৃতিজনের রাজনীতি ভাবনা' শীর্ষক টকশোতে তিনি বলেন, যারা ঘোমটা পড়ে তারা বাঙালি নয়। এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের একটি আইডেন্টিটি ক্রাইসিস আছে। আমাদের বাংলাদেশে শুধু আদিবাসীরাই বাংলাদেশি। বাকি সবাই আমরা বাঙালি।
টকশোতে মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় অংশ নেন নাট্যকার মামুনুর রশীদ ও অভিনেতা তারেক আনাম। মিতা হক বলেন, আমরা শাড়ি পড়ে বসেছি। মামুন ভাই, তারেক ভাই পাঞ্জাবি পড়েছেন। তারা কেউ দাড়ি টুপি লাগিয়ে নেই। কেউ লম্বা সিঁদুর পড়েও নেই।
আমাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা এতো বাজে, আজকাল বাংলাদেশে রাস্তায় বেরিয়ে, কোন ডাক্তারখানায় বা হাসপাতালে গিয়ে, যেখানে একটু লোকজনের সমাগম বেশি, যেখানে ওয়েটিং রুম আছে, লোকজন অপেক্ষা করছে, সেখানে দেখি যে, একমাত্র আমিই বাঙালি। আমি শাড়ি পড়ে গেছি আর আমার মাথায় ঘোমটা নেই। আজকাল তারা এইটুকু মুখ (শুধু চোখ খোলা থাকে) বের করে রাখছে। এতে তারা আর যাই হোক, বাঙালি নয়।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে এই কণ্ঠশিল্পী বলেন, বিএনপি আর জামায়াতের তো একটাই অস্ত্র।
মিথ্যা কথা বলা, ইতিহাস বিকৃত করা। যারা হেফাজতে ইসলামের মঞ্চে গিয়ে শরবত খাওয়ান। তারা নতুন নতুন অশ্লীল সিডি তৈরি করে গ্রাম-গঞ্জে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রজেক্টর নিয়ে, ইলেট্রিক যন্ত্র নিয়ে দেখিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা বর্তমান সরকারের সমর্থক। (কিছুটা হলেওতো সমর্থন আছে, কারণ তারা মূল বিষয়ে একমত আমাদের সঙ্গে।
তারা অসাম্প্রদায়িক এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। এক্ষেত্রে আমি অবশ্যই স্বীকার করবো আমি এ দলকে সমর্থন করি। আমার ভয় নেই। ) তাদের ভালো কাজের প্রচার হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিডিও ফিল্ম এবং ওয়াজ গ্রামগঞ্জে প্রচার হয়েছে।
এসময় তারেক আনাম মিতা হকের কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ওরা পলেটিক্যালি অগ্রসর হচ্ছে। তোমারা যাদের সমর্থন করছো তারা পলিটিক্যালি অগ্রসর হয়নি কেন? তখন মিতা হক বলেন, ওরা মেধাহীন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।