খবরে প্রকাশ, ‘খুনের আসামী’ বাংলাদেশের বিচারপতি হয়েছেন।
এই বিজয়ের এবং বাংলাদেশে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচনের আনন্দে অনেকে কদমবুচি, শঙ্খ ফুৎকার এবং তসবিহ জপেছেন! অন্য দিকে, এই ঘটনাতে আর একটা বিষয় এখন জলবৎ পরিষ্কার, তা হলো, এই দেশে যে কোন কিছুই এখন সম্ভব। এই যে কোন কিছু হলো, যে কোন কিছু যা অতি অস্বাভাবিক ও অন্যায় তা। বিশেষ করে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত এখন যেন হয়ে গেছে এক মহাশৌচাগার যেখানে পাপীদের সকল পাপ (মল) ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়া হয়। আর সেই পাপধোয়া জলে নিষ্পাপদের পাপী করে দেয়া হয়। এই সব কিছুই হয় বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানধোয়া জলে, অর্থাৎ সংবিধানের নামে!
মনে সংশয় জাগে, এই নবনিযুক্ত বিচারক যে, যে কোন সময়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হবেন না, তা হলফ করে কে বলতে পারেন? - আর প্রধান হয়েই তার প্রথম রায় হবে, “বাংলাদেশ বলে কোন ‘স্বাধীন দেশ’ নাই। আপনারা জানেন, প্রধান বিচারপতি যেই রায় দেন তাহাই ‘সংবিধান’, এবং তাহাই মান্য”। এমনটি, অর্থাৎ বাংলাদেশের নব আবিষ্কৃত এই আদালতি স্বৈরাচার, কখনোই হতে পারে না, কে বলবেন? অলরেডি হয়েই গেছে!
সব দেখে শুনে কেবলি মনে হয়, অদৃশ্য চাটি মেরে মেরে কে যেন বলছে -
স্বাধীন দেশের বড়াই করিস?
তোদের স্বাধীনতার মজা দেখিয়ে দেব, ইডিয়েটস!
দেশরক্ষার বাহাদুরী?
তোদের দেশরক্ষা নর্দমায় ভাসাব, অ্যাসহোলস!
বর্ডার, বর্ডার (বিডিআর, বিডিআর) করিস?
তোদের বর্ডারে ঘুঘু মারব, গিয়ে দেখিস!
জাতীয় সংসদ? আহাম্মকের দল!
ওটার ওস্তাদ কেমন হয় তোদের, দেখাব!
বিচার বিচার করিস?
তোদের বিচারক কে হয়, দেখিস!
তোদের দেশ? চুক, চুক, বাছারা!
ওটা প্রভুর মাল-এর ট্রানজিট।
তা হলে....রইলো কি আর বাকী?
আর কথা না, চুপ! বোকার হদ্দ, বেয়াকুফ!!
হ্যাঁ, ভাইয়েরা চুপ থাকেন। আল্লা ভরসা!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।