আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুমি আমাকে রেস্পেক্ট কর নাই

কামরুল হাসান

আমাদের দেশে দেখবেন অনেক ছোট খাটো প্রতিষ্ঠান আছে এবং এদের মধ্যে সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠান গুলো বেশি। এই সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠান গুলোর দেখবেন ঘাড়ের উপরে লিখা আসে ইউএসএ/ইউকে/ব্লা ব্লা ব্লা...নামিদামি দেশের নাম। আর ওই সব প্রতিষ্ঠান মালিক তথা "সিইও" বেশির ভাগই বাঙালি এবং তারা কপাল গুনে/যোগ্যতায় অথবা অন্য কোন ভাবে ওই সব দেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসেন এবং তারা বাংলাদেশ এ এসে ঘাটি গাড়েন। কারন ? হা...হা... আমরা সবাই জানি কম টাকায় কাম করানো যবে। আর আমরা প্রোগ্রামার রা একটু সুযোগ এর আশায় ওই সব প্রতিষ্ঠানে গতর দেয়া শুরু করি ।

এখান কথা হচ্ছে সম্যসা কোথায় ? কোনো সম্যসা নাই, আমরা টাকা পাচ্ছি আর ওরা কাম করিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এর মাঝে যদি চাপাবাজি চলে, প্রলভন দেখানো হয় তাহলে তথা কথিত প্রোগ্রামার, মানে আমরা খুবি সহজে পইটা থাকি। আর মনে মনে আশার বুক বাধি ... হেহেহে হাসি পাইতাসে। মানে তো বুঝছেন ই মুলা । তো এখন আসেন, সত্য ঘটনায় আসি।

আমি ও বছর খানেক আগে চাকরি করতাম এখন আবার ছাত্র হয়ে গেছি । তো সেই রকম মুলা আমরা ও পাইতে শুরু করলাম। আমদের বুকে আশা, বছর শেষ হচ্ছে মুলা আর মাটির উপরে উটছেনা। এর মাঝে আমার এক বন্ধুর বাহিরে মাস্টার্স করার এর একটি সুযোগ এল, এবং সে অনেক ফরমালিটিস পালন করে বস রে বলে দিল সে বাহিরে চলে যাবে। পরিপ্রেক্ষেত এ একদিন মিটিং ডাকা হল এবং মিটিং এর সার সংক্ষেপ হল "তুমি ওই দেশে(XXX) যাইবা কেন ? ওই খানে কেউ পড়তে যায় ? দরকার হলে তুমি যাবা ওই(YYY) খানে ।

আর তুমি ডিগ্রী নিয়ে কি করবা ? এর চেয়ে ভাল সুযোগ তুমি এইখানে পাইবা। আর কিছুদিন অপেক্ষা কর তুমি নিজের চোখেই দেখবা। " বলে রাখি XXX= সুইডেন এর একটি ভাল বিশ্ববিদ্যালয় আর YYY=ইউএসএ এর নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়। তো কোন না কোন কারনে আমার বন্ধুটি সুইডেন চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার ফলাফল এক মাস আগে চাকরি থেকে ছাটাই আর সব দোষ নন্দঘোষ এর মতন তার উপরে চাপানো। কি আর করা আমি ও মুলা খেতে থাকলাম... কিছুদিন পরে আমার ও একটি সুযোগ এল, হিহিহি আমি তো মামা আগের থেকে শিক্ষা নিছি, কিছুই কই নাই কারন ২ মাস এর বেতন এখন পাই নাই।

কিছু দিন পরে টাকা এর চেক পাইলাম ব্যাংক এ জমা দিলাম। তো প্রতিবারে মতন মনে করলাম ৩ দিন পরে অ্যাকাউন্টে টাকা চইলা আসব। সুতরাং ৩ দিন পরে একটা ইমেল কইরা দিছিযে আমি আর থাকমুা না। তখন আমার হাতে সময় বাংলাদেশে ২০ দিন, সব কাজ কাম চুপি সারে সারতাছি। পরিপ্রেক্ষিত কি হইল... আমার দুই মাস এর বেতন আটকিয়ে দেয়া হল (ব্যাংক দেরি করছে টাকা তুলতে) কি আর করা গেলাম ম্যনেজার এর কাছে ১০ দিন পরে চেক নিয়ে, "টাকা আসে নাই কেন ভাই ?" বলে "দেখি মনে হয় কোথাও সমস্যা হইছে", সাথে সাথে বসস এর লগে মিটিং আমাদের সবাইকে ডাকা হল।

তো সবাই বসা আমারে এই প্রশ্ন সেই প্রশ্ন আগের বারের মতন। তার পরে তার ভাষ্য "তোমার কামে গাফিলতি আসে, তুমি অন্য দের চেয়ে এক্সক্সক্স ঘন্টা কম কাম করছ, তোমার থেকে কিছুই পাই নাই আমরা, আর কোম্পানির নিয়ম অনুসারে তোমার বেতন আটকানো হইছে। " সবার সামনে আমারে একটা দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখান হইল এবং অন্যদের বলা হল "তোমরা দেখে রাখ আমি ওকে ২ মাস এর বেতন দিয়ে দিচ্ছি। আর ও(আমি) অনেক কিছু হারাচ্ছে, তোমার যা কিনা পেতে যাচ্ছ। " তো বুঝেন আমার কি অবস্থা, বন্ধু দের মাঝে আমারে এই ভাবে ডেকে নিয়ে অপমান।

তো তার শেষ বাক্য ছিল এই রকম "তুমি আমাকে রেস্পেক্ট কর নাই। " এখন কথা হচ্ছে আমি তার কি রেস্পেক্ট করি নাই ? তার কথা মতন উচ্চতর ডিগ্রী না নেয়া, নাকি অফিস কে ১ মাস আগে না জনানো ? আর অফিস এর নিয়ম এর কথা না হয় নাই বল্লাম। আমরা সবাই জানি, ওইটা লিখতে গেলে তো ব্লগ এর ওভারফ্লো করান লাগবে । তো সার-সংক্ষেপ হচ্ছে, বাহিরে কি ধোকাবাজির পথ শিখান হয় ? নাকি আমরা নিজেরাই ধোকাবাজির খেলায় মেতে উঠি ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.