নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত বখাটেদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবারও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করে। এসময় ক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনায় জড়িত বখাটেদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এতে সুবর্ণচর উপজেলার কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে।
ছাত্রীর মা নজিবা খাতুন বলেন তিনবছর বয়সে মেয়ের বাবা মারা যায়। মা অনেক কষ্টে তাঁদের বড় করেন তার মেয়েকে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরআলাউদ্দিন গ্রামের বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই একই গ্রামের মিয়া মাঝি ও নাছির মাঝি নামে দুই বখাটে উত্ত্যক্ত করত।
এর পর গত প্রায় তিনমাস ধরে মেয়ের নিপত্তার জন্য মা নিজেই মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছানাউল্যা বলেন ২৪ অক্টোবর ঘটনার রাতে তাঁর মা নানার বাড়িতে ছিলেন। এই সুযোগে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই দুই বখাটে মিয়া মাঝি ও নাছির মাঝি তাঁদের বাড়িতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে বড়ভাই ও ছোট বোনকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে ওইছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে সম্ভ্রমহানির চেষ্টা চালায়। এসময় কৌশলে পালিয়ে এক পর্যায়ে সে পুকুরে ঝাঁপ দেয় । এর পর সাঁতড়িয়ে আরেক পাড়ে ওঠে প্রতিবেশী মাঈন উদ্দিনদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে গিয়ে বাড়ির লোকজনকে চাপ দিতে থাকে ওইছাত্রীকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। বোনকে বাঁচাতে বড়ভাই এগিয়ে এলেও তাঁকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে। এসময় চিৎকার-চেছামেছিতে আশেপাশের বাড়ির আরো লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা যে কোন সময় ওইছাত্রীকে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। সাহস ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে লড়াই করে অসহায় ওই ছাত্রী নিজের ইজ্জত রক্ষা করেছে। এই ঘটনার বিচার না হলে এই দুর্বৃত্তরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠবে।
এই ঘটনায় স্কুলের অন্যান্য ছাত্রীদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা এই ঘটনায় জড়িতদের অভিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
মিয়া মাঝি ও নাছির মাঝি ক্ষমাতাশীন দলের লোক হওয়া তাঁরা প্রায়ই এলাকায় এই ধরণের অপরাধ করলেও কেউই ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনা।
ঘটনার শিকার ছাত্রী বাদি হয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করলেও আজ পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম চৌধুরী জানান, উত্ত্যক্ত ও সম্ভ্রমহানির চেষ্টার যে মামলা ছাত্রী বাদি হয়ে করেছে তা তিনি নিজেই তদন্ত করছেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু পাওয়া যায়নি।
http://www.youtube.com/watch?v=p84Z9Yoan7A
http://www.noakhaliweb.com.bd/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।