হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র
বিবাহ বহির্ভুত যৌনতা আমি খারাপ কিছু মনে করি না, তবে কমিটমেন্ট জরুরি জিনিস। বিবাহতো কমিটমেন্টই। মানুষ যেহেতু সামাজিক প্রাণী তাই বিবাহ জিনিসটা তৈরিই হইছে দুইজন মানুষের যৌনতা এবং পরিবার বিষয়ক কমিটমেন্টের সামাজিক ভিত্তী এবং নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করার জন্যে। কমিটমেন্টহীন যৌনতা ভালো না খারাপ সেইটা প্রশ্ন না, বিষয়টা ঝামেলা তৈরি করে বইলাই সেকুলার বা নন সেকুলার নৈতিকতায় এইটারে পরিত্যাজ্য বইলা গণ্য করা হয়। তবে পুরুষ শাসিত সমাজে এবং পুরুষ শাসিত ধর্মে কমিটমেণ্টের এই বিষয়টা অনেক ক্ষেত্রেই একমুখী হইতে পারে।
যেমন ইসলামে পুরুষ চার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করলেও তার কমিটমেন্টের সমস্যা নাই, কিন্তু স্ত্রীর কমিটমেন্ট এক স্বামীর প্রতিই থাকতে হবে। মূলত আব্রাহামিক ধর্মগুলা একটু বেশি মাত্রায় পুরুষতান্ত্রীক হওয়ায় এই ধর্মগুলার কমিটমেন্টের ধারণা নারী অবমাননাকর। আবার প্রাচীন দুনিয়ায় যেইসব যায়গায় মাতৃতান্ত্রিক ধর্ম এবং সমাজের উদ্ভব হইছে এবং এখনো আছে সেইখানে এই ধরণের ঝামেলা কম ছিল, তবে কিছু কিছু মাতৃতান্ত্রিক সমাজ আবার পুরুষের ক্ষেত্রে অবমাননাকারী, অর্থাৎ নারী একাধিক যৌনসঙ্গীর সাথে সম্পর্ক রাখতে পারে।
পুরা বিষয়টাই আপেক্ষিক। আমাদের সময়ে আমরা ১ নারী-১ পুরুষ সম্পর্করে আদর্শ হিসাবে গণ্য করি বটে, কমিটমেন্ট হইতে পারে আমাদের চিন্তাগত সংস্কৃতির অংশ কিন্তু প্রবৃত্তিগতভাবে আমরা বহুগামী হইতে চাই অন্তরের অন্তস্থল থেইকা।
মানুষ যেহেতু প্রবৃত্তি আর সংস্কৃতি দুইটারই সংমিশ্রন তাই এই নিয়াই আমাদের বসবাস, এই নিয়াই আমাদের ব্যক্তিক এবং সামাজিক নৈতিকতার লড়াই। প্রকৃত নীতিবাদী মানুষ প্রবৃত্তি এবং সংস্কৃতির সমন্বয় ভালো করতে পারে।
নীতিবাদী মানুষ না হইলে মুসলিম কি আর হিন্দু কি, মুখে মুখে বিবাহ বহির্ভুত যৌনতা খারাপ, পশু মানুষে ফারাক কি এইসব বইলা লাভ নাই। সত্যরে অস্বীকার কইরা কি লাভ, আমরা এখন আর আমাগো পূর্বপুরুষের মতো কম বয়সে বিয়া করতে পারি না, পশ্চিমা ক্যারিয়ার কেন্দ্রীক জীবনাচার গ্রহণ করেছি যেহেতু, তাই প্রতিষ্ঠিত হওয়া যারে বলে তার আগে বিবাহ সম্ভব না। এই অবস্থায় বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্করে মুখে মুখে নিন্দা কইরা মনে মনে যৌনতার অবদমন অথবা অনিরাপদ বহুগামিতায় আত্মসমর্পণ এই দুইই অসুস্থ্যতা।
আমরা পশ্চিমা জীবন ব্যাবস্থা নিয়া নিছি, কিছু নিমু কিছু নিমুনা এইসব বইলা লাভ নাই। যতটুকু নিছি, তাতেই বিবাহবহির্ভুত যৌনতা আমাদের সমাজে এখন স্বাভাবিক বিষয়, তলের লুঙ্গি খুইলা নিছে বহু আগেই, মুখে আত্মসম্মান ধইরা রাখলে লাভ নাই। বালুর ভিতরে মাথা ঢুকাইয়া আমারে কেউ দেখেনা মনে করলেও সারা দুনিয়ার মানুষ আমারে ঠিকই দেখতাছে।
আমি পশ্চিমের কমিটমেন্টহীন অসুস্থ্য যৌনতার ছড়াছড়ি আমাদের সমাজে চাই না। কিন্তু যৌনতা একটা খুব স্বাভাবিক জিনিস, ভাত খাওয়ার মতোই।
যৌনতারে নোঙড়া ভাবা আর নিজেরে নোঙড়া ভাবা একি জিনিস, যৌনতার কারণেই আমরা এই দুনিয়ায় আইছি। যৌনতা সম্পর্কে এবং নারী পুরুষ সুস্থ্য সম্পর্ক বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা এবং শিক্ষার ব্যাবস্থা করা দরকার এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি। নাচ শুরু হইছে অনেক আগেই, ঘুমটাডা না খুললে পায়ে পাও বাঝাইয়া উষ্টা খাইয়া পরতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।