বাংলাদেশ কে ভালোবাসি
কোথায় যেন খেলা হচ্ছে জল - বিভ্রমের! মেঘদলের নিরাশার ক্লান্তি ধেয়ে আসছে ধরনীতে।
মুমূর্ষু আত্নবিশ্বাস আর একঝাঁক স্বপ্নের দল তখনো নির্লিপ্ততায় মগ্ন! চোখের সমস্ত নিদ্রা তুলে রেখে এলাম আমার ডায়েরীর নীল পাতায়!
এখানে মধ্যরাত্রির ক্লান্তিকালিন বিষাদেরা ভিজে চলেছে অবিরাম বর্ষনে, শ্রাবণের রাতগুলোতে অভিমানগুলো নূপুরের ছন্দের মত মাথায় ভাজতে থাকে।
তারপর যখন শ্রাবণের কান্না থেমে এলো তুই সংক্রান্ত ভাবনার দল এসে অন্ধ উত্পাত শুরু করলো ! এইতো খানিক আগেই ডুবে ছিলাম রিনিঝিনি ছন্দে, মাঝরাতের ক্লান্তির সাথী ডায়েরীর পাতাগুলো!
পাতা উল্টে দেখতে পেলাম
এমনি এক বৃষ্টিরাতে তুই, আমি, জীবনানন্দের কবিতার কটা লাইন আর কোন বৃষ্টিমগ্ন ল্যাম্পপোস্ট! সেখানটায় নীল বাতি ছিল! জোছনার নীলের পূর্ণতা এনে দিতে রসিক মেয়র হ্যালোজেনে নীল ভরে দিয়েছিল!
এই হঠাৎ বৃষ্টি তোকে আরো বেশী, বড্ড বেশী মায়াবী করে ফেলেছে! ভাবছিলাম তোকে নিয়ে একটা কবিতা লিখবো, শব্দগুলো কিনে নিয়ে আসবো পদ্মপাতার ভাজ থেকে। তোর প্রেমে পড়ার ভয়ে তোর কাছ থেকে যে পালিয়ে বেড়াই সেটাকি কখনোই বুঝিস না। এই সন্ধ্যা রাতে আমি বোধহয় তোর প্রেমে পড়তে যাচ্ছি!
এই যে খানিক আগে কফি হাউসে গরম কফিতে জিভ পুড়ালাম আর তুই হেসে হেসে আমাকে মেরে ফেলতে নিয়েছিলি, বুঝিস নি প্রেমে পড়ছি!
জল খেলায় মেতে উঠা এই শ্রাবণের রাতেই আমি তোকে বলে দিবো - সরি দোস্ত আমি তোকে ভালোবেসে ফেলেছি! বৃষ্টি থামার আগেই, এ পথে কোন যানবাহন আসার আগেই তোকে বলে দিবো!
বৃষ্টি রাতে নীলাভ আলোতে তোকে পরীর মত লাগছিল, তোর চিবুক গড়িয়ে পড়া জল ফোটা আমি ধরে ফেললাম, কাজলরেখা গুলো লজ্জাবতী হয়ে তোর চোখদুটো ভয়ানক সুন্দর হয়ে উঠতে লাগলো!
তারপর তুই তাকালি আর আমার হাত টা ধরে বলেই ফেললি :
পালিয়ে বেড়াস কেন, আমার থেকে?
তোর প্রেমে পড়ে যাবো বলে!
পেরেছিস পালিয়ে থাকতে?
পারছিনা তো।
তুই কি আমাকে বুঝিস?
হয়তো, তাই তো তোকে নিয়ে কবিতা লিখার জন্য শব্দ খুজেঁ বেড়াই, কিন্তু কেন জানি মনে হয় হয়তো অধিকার এসে শূন্যতা দিয়ে যাবে শেষে আবার মনে হয় খুব আপন করে পেতে চাইলে যদি হারিয়ে বসি, একেবারেই!!
হারাতে হবে কেন?
জানিনা, এখন চোখ সরাবিনা, ঠিক তাকিয়ে থাকবি আমার চোখে একদম বৃষ্টি থেমে যাবার আগ মুহূর্ত অব্দি!
কি হবে তাতে?
আমি হয়তো তোকে একটা কবিতা শুনাতে পারবো। কবিতায় বলে দিবো তোর প্রেমে পড়ার গল্পকথা কিংবা তোকে ভালোবেসে ফেলার গল্প।
আর?
আর, তোর আর আমার পাজড়ের হাড়ের অন্তমিলের গান। তোর চোখের গড়িয়ে পড়া কাজলে আমি যে আমায় দেখতে পাই সে গল্প থাকবে কবিতায়!
তা এই কবিতা কতক্ষণ চলবে?
যতক্ষণ না বৃষ্টি থামবে!
জ্বি বৃষ্টি থেমে গেছে, এখন চলুন!
আমার কি তাহলে আর কবিতা শুনানো হবেনা?
হ্যাঁ, শুনাবি প্রতিরাতে, মরার আগ পর্যন্ত!
...... তারপর আমার হাত ধরে তোর হাটতে থাকা।
তারপর ডায়েরীর পাতাগুলো শূন্য! আর এই রাতের বৃষ্টিভেজা বিষণ্নতা কিংবা নূপুরের ছন্দের মত বাজতে থাকা অভিমানের সাতকাহন আর লিখে দিতে ইচ্ছে করছেনা।
কেন জানি মনে হচ্ছে অভিমানের মৃত্যু হবে, আমার আবার তোকে কবিতা শুনাতে হবে কখনো জোছনায় ভিজে, কখনো কাকভেজা হয়ে চোখে চোখ রেখে! তোর প্রেমে পড়ার কবিতা!
আবারো লিখতে বসবো, যেদিন আবার তোর চোখে চোখ রেখে কবিতা শুনাবো ! স্বপ্নে অথবা সত্যি সত্যি কোন নদীতীরে, জোছনা রাতে!
তাই আজ আর লিখবোনা। অভিমানের মৃত্যু হোক বা না হোক, ভালোলাগা আর প্রেমাচ্ছন্নতায় শেষ হোক এই কবিতা কিংবা গল্প!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।