তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীর নামের দুটি অমূল্য রত্ন হারিয়েছি ২০১১ সালের ১৩ ই অগাস্ট । কাগজের ফুল সিনেমার শ্যুটিং স্পট দেখে ফেরার পথে মানিকগঞ্জে ঘাতক বাসের ধাক্কায় পৃথিবীর মায়া ছাড়লেন এ দু'জন সহ মোট পাঁচজন । ঘাতক বাসের ড্রাইভারকে আটক করা হল । কিন্তু মাত্র কয়েক হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে পার পেয়ে গেল সে । সেই খুনী ড্রাইভার হয়ত এখনো বাস চালিয়ে বেড়ায় কোন না কোন সড়কে ...
দুঃখিত মিশুক মুনীর , আমরা যেখানে আপনার বাবা মুনীর চৌধুরীর খুনীদের বিয়াল্লিশ বছরেও বিচার করতে পারিনি সেখানে আপনার খুনীর বিচার দুই বছরে কীভাবে করবো ? আমরা জাতি হিসেবে বড্ড বেশী অকৃতজ্ঞ ।
না , মাথা নীচু করে ক্ষমা চাইতে পারবো না আমি তারচেয়ে বরং আপনার জন্য শুভকামনা জানাই । আপনি শান্তিতে ঘুমান ...
একজন তারেক মাসুদ , একজন নির্মাতা । যার হাতেই তৈরী হয়েছে মাটির ময়না , মুক্তির গান , রানওয়ে , অন্তর্যাত্রা । সময়ের প্রয়োজনেই তারেক মাসুদের বেঁচে থাকার দরকার ছিল , আরেকটা মাটির ময়নার যে বড় প্রয়োজন... অনন্ত জলিল শত কোটি টাকা ব্যয় করতে পারেন বাংলা চলচ্চিত্রের পেছনে , হাজারটা তরুণ নির্মাতা উঠে আসতে পারেন কিন্তু একটা মাটির ময়না তৈরী করতে আর কেউ পারবে না সেই ক্ষমতা আর কারো নেই । অসময়ে কেন ভেঙ্গে গেল মাটির ময়না ? ...
আস্তিক হওয়ার সুবাদে খুব বেশি ইস্যুতে বিধাতার প্রতি অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়নি ।
যে কয়টি ইস্যুতে তুলেছি তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীরের মৃত্যু তার একটি । বিধাতা এত নিষ্ঠুর কেন ? তিনি কি জানেন না এই দু'জন মানুষের মৃত্যু আমাদের কতটুকু ক্ষতি করতে পারে ? কতটুকু শুণ্য করে দিয়ে যেতে পারে ? ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।