আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

♣উপলব্ধি♣

নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী।
বন্ধুত্ব মানে সম্পর্কের শুরু আর প্রেম মানে সম্পর্কের শেষ । প্রেম হলো অভিশাপের নাম... বন্ধুত্বে যখন অভিশাপ লাগে তখন প্রেম হয় বিনাশ হয় ধ্বংস হয়। একজন মানুষ আরেকজন মানুষের যত কাছে আসে তত সম্পর্কটা শেষের দিকে যায়...ধ্বংসের দিকে যায় !... শান্তার বর্তমান উপলব্ধিটা তেমনই । সমস্যাটা এখানেই ।

শান্তা আর তাসিরের মধ্যে প্রেম হয়েছিল, বন্ধুত্ব হয় নি। শান্তার সাথে তাসিরের প্রেম দেখলে ঈর্ষা করতে বাধ্য হবে যে কোন দম্পতিই । এতো প্রেম আসে কোথ্থেকে ! দেশে এসে বান্ধবীর সাথে সময় কাটাতে যেয়ে তাসিরকে যে কতোবার ফোন দিচ্ছে, আবার ও ফোন না দিলে তাসির দিচ্ছে ওকে ফোন...সে এক মহা যন্ত্রণার বিষয় ! অথচ তারা দু'জন কিন্তু একসাথেই দেশে ফিরেছে । বাংলা মোটরের কাছে যখন গাড়ি জ্যামে আটকে আছে তখন জানা গেল তাসির হোটেল সোনার গাঁ পাস করে এদিকেই আসছে। মোড়ে তাদের দু'জনেরই গাড়ি থামাতে হলো ... ওররে বাপস ! গাড়ি থামিয়ে রাস্তায়ই দু'জন দু'জনকে জড়িয়ে ধরলো ! যে কেউ দেখলে আর কিছু ভাবতে পারে ! স্বামী-স্ত্রী অন্তত ভাববে বলেতো মনে হয় না ! সবুজ জমিন পত্রিকাটার কোয়ালিটি কেমন সে ব্যাপারে রিনির সন্দেহ আছে বরাবরই... একদিন অফিস থেকে ফিরে রিনির বর রিনির হাতে সবুজ জমিন ধরিয়ে দিয়ে রিনিকে পড়তে বললো ! রিনি প্রথমে কিছু বুঝতে পারে নি।

পাতা উল্টাতেই তাসিরের সাথে আরেক মেয়ের ছবি দেখে আঁতকে উঠলো ! খবরে প্রকাশ, তাসিরের স্ত্রী একজন প্রতারক... ইত্যাদি ! কিন্তু রিনির হিসাব মিলছে না ! কারণ তাসিরের স্ত্রীর যেই ছবি পত্রিকায় দেয়া তা শান্তার নয় ! একদিন রিনি বে-তে জুতার মাপ দিচ্ছে সেই সময় দেশের বাইরে থেকে শান্তার ফোন ! আকুল হয়ে কথা বলতে চাচ্ছে ! রিনির বর ইশারায় বলছে পরে ফোন করতে...রিনি ফোন চেপে হিসহিস করে উঠলো...দেশের বাইরে থেকে বেচারী ফোন দিয়ে তার কষ্টের কথা বলছে আর রিনি কেমন করে তাকে পরে ফোন করতে বলবে ! বাসায় ফিরে ফ্রি হয়ে শান্তাকে টেক্সট করলো ... ডিএ্যাকটিভেট করা আইডি আবার এ্যাকটিভ করে রিনির সাথে এখন শান্তার নিয়মিত চ্যাট হয় । "একাকিত্ব মানুষকে পাগল করে দেয়। " বুঝতে পেরে রিনিই শান্তাকে ডায়েরী লিখতে বলেছিল। তবে কাগজে নয়...ফেসবুকেই । এখন শান্তা অনেকটাই ধাতস্থ ! একসময়ের দারুণ লিখিয়ে শান্তা আবার পুরোদমে লিখছে ! হাসতে হাসতে শান্তাই রিনিকে বললো .... জানিস রিনি "ছ্যাঁকার মধ্যে সৃজনশীলতা নিহিত থাকে" ছবি : yuumei.deviantart.com --------- উৎসর্গঃ ফেসুবকের নেশা মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে ব্যাহত করছে ।

বাস্তব জীবনে করে তুলছে অসামাজিক । কিন্তু এই ফেসবুকের অচেনা ভার্চুয়াল বন্ধুরাই দুঃসময়ে চলে আসে অনেক কাছে, বাড়িয়ে দেয় বন্ধুত্বের হাত কোন স্বার্থ ছাড়াই । আর শান্তার মতো মানুষগুলো যখন চারদিকে অন্ধকার দেখে হতাশার অতলে তলিয়ে যেতে থাকে, হয়ে পড়ে আপন মানুষগুলোর কাছেও করুণার মানুষ । তখন ফেসবুকের ভালো বন্ধুরাই তার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে নতুন জীবনের পথে মশালধারী হয়ে আসে ।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।