স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলতে চাই.......
"হাসি" মাত্র দুইটা অক্ষর। এই দুইতেই এত কিছু..। হ্যাঁ এই হাসি নিয়েইতো অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে। এখন দেখা যাক কোন পদের লোকেরা কে কিভাবে হাসে আমরা তা এখন দেখি।
মুচকি হাসি : সাধারনত মুখমন্ডলের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অংশ ঠোট দুটো চেপে বন্ধ করে ঠোটের উভয় র্পাশ্ব ডানে বামে সামান্য প্রসারিত করে যে বিচিত্র ধরনের হাসি ডেলিভারি দেওয়া হয়, সেটার নামই হল মুচকি হাসি।
দূর্মুখেরা মুচকি হাসি প্রদানকারী লোকদেরকে কখনো কখনোও মিচকা শয়তান বা ভিজা বিলাই বলেও সম্নোধন করে থাকে। এদের হাসি দেখে মনে হয়, হাসির উপর সরকার ভ্যাট বা ট্যাক্স ধার্য্য করেছে আর ট্যাক্স দেওয়ার ভয়ে ওনারা মুচকি হাসি দিয়ে থাকেন।
অমায়িক হাসি : এই হাসিতে বেশ মায়া মায়া ভাব থাকে বলে এই ক্যাটাগরিক হাসি কে অমায়িক হাসি বলে ডাকা হয়। এই হাসির মালিকগন সাধারনত নিরীহ ও ভদ্র কিসিমের হয়ে থাকে। তবে পুরুষদের চেয়ে নারী প্রজাতিই এই হাসি প্রয়োগ করে থাকে।
বেক্কেলের হাসি : কিছু কিছু লোক আছে যাদের আক্কেলের নেটওয়ার্ক এতই দুর্বল যে তারা কখন, কোথায়, কোন মুহুর্তে হাসতে হবে, সেটাই বুঝে উঠতে পারেন না। এ কারনেই বলা হয়ে থাকে বেক্কেলের হাসি তিন বার। কোন বন্ধু যখন কোন মজার কথা বা কৌতুক বলে তখন কোন কিছু না বুঝার আগেই সবাই হাসতে দেখে সে ১ম বার হাসে। ২য় বার হাসে কোতুকটির অর্থ হৃদয়ঙ্গম করার পর। আর ৩য় বার হাসে যে, সে টিউবলাইট শ্রেনীর একজন মানবসন্তান, এই সত্যটা বোঝার পর।
লাজুক হাসি : জগৎ সংসারে কিছু মানুষ আছে যাদের লজ্জার বাউন্ডারি এতই বিশাল যে টি-টুয়েন্টির নামী-দামী হিটার ব্যাটসম্যানরও তার লজ্জাজনক বাউন্ডারি চার অথবা ছয় মেরে পার করতে পারে না। তো এই ধরনের লাজুক মানব মানবীদের মুখে কদাচিৎ যে হাসি দেখতে পাওয়া যায়, তার নামই লাজুক হাসি। আসলে এরা এতোই বেশি লাজুক যে হাসির সময়েও এদের মুখের মনিটর জুড়ে লইজ্জা লইজ্জা ভাব বিরাজ করে।
মনভোলানো হাসি : এই হাসি সাধারনত স্ত্রী প্রজাতির মুখে বেশি দেখা যায়। স্ত্রী, প্রেমিকা কিংবা গার্লফ্রেন্ডরা তাদের স্বামী, প্রেমিক কিংবা বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে শপিং, চায়নিজ কিংবা লং ড্রাইভৈ যাওয়ার নাম করে পুরুষটির মানি ব্যাগটাকে মরুভুমি বানিয়ে দেওয়ার স্বার্থে যে হাসি প্রয়োগ করে বেড়ায় তাকেই মনভোলানো হাসি বলে।
তবে এই হাসিকে রোমান্টিক হাসিও বলা যায়।
হাসি নিয়ে আরো অনেক লেখা আছে। সময়ের কারনে এখন দিতে পারতেছি না।
সুত্র : ম্যাগাজিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।