হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র ১ - শাহবাগে আরো দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
২ - যারা শাহবাগে যাচ্ছেন না বা প্রতিদিন যাওয়াও সম্ভব না। তারা নিজ নিজ এলাকায় সংগঠিত হন। গণজাগরণ মঞ্চ করুন। এলাকার মানুষদের নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মুশাল মিছিল করুন।
এই মুহুর্তে এটা খুব জরুরি হয়ে পরেছে। জামাত শিবিরকে স্থানীয়য়ভাবে প্রতিহত করা এখন সবচেয়ে জরুরি। এক্ষেত্রে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা ব্লগার এবং অনলাইন একটিভিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
৩- সরকারের উদ্দেশ্যে আওয়াজ তুলুন। জামাতকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
এখনি করতে হবে। এর জন্যে মাসের পর মাস সময় নেয়ার কোন অর্থ হয়না। মসজিদ ব্যাবহার করে যারা সন্ত্রাসী অপতৎপরতা চালায় তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। এক্ষেত্রে জনতার সাপোর্ট তারা পাবে। কঠোর না হলেই বরং জনতা সন্দেহ করবে।
৪- স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলুন। ব্লগারদের বিষয়ে তাদের মাঝে যেসব সংশয় আছে সেগুলো ভেঙে দিন। আমি দেখেছি তাদের একটু বুঝালেই তাদের সব ভুল ধারণা ভেঙে যায়। মানুষের ব্লগারদের বিষয়ে আগ্রহ আছে, সুতরাং তাদেরকে বুঝানোর এখনি সময়। নারী পুরুষ নির্বিশেষে গান ও স্লোগানের যে প্রগতিশীল শিক্ষা আপনারা পেয়েছেন সেই শিক্ষাটায় এলাকায় এলাকায় তরুন প্রজন্মকে দেইয়ার চেষ্টা করুন।
৫-এলাকার সমমনাদের সাথে কথা বলুন। মসজিদগুলোতে জামাতি অপতৎপরতা রূখতে মুসুল্লিদের সাথে কথা বলুন।
৬- নিজের সমমনাদের নিয়ে গ্রুপ গড়ে তুলুন। দরকার মতো এলাকায় এলাকায় শো-ডাউন দিন। জামাতকে বুঝিয়ে দিন জনতা সংগঠিত।
৭- মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলোকে দায়িত্ব নিয়ে এই লড়াইয়ে ভুমিকা রাখতে হবে। তাদের উপরে সরাসরি হামলা হচ্ছে।
৮- দরকার না হলে সহিংস হবেন না। আমরা সন্ত্রাসী নই। এখানেই জামাত শিবিরের সাথে আমাদের সবচেয়ে বড় পার্থক্য।
৯- জামাতকে ভয় পাবেন না। তাদের কোন প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত হবেন না। জামাত চেষ্টা করবে ভয় দেখাতে। জামাত চেষ্টা করবে নাস্তিকদের ইস্যু বানিয়ে আন্দোলনকে ইসলাম বিরোধী প্রমান করতে। এসব প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত হবেন না।
আমরা যুদ্ধের ভিতরে আছি। এসময় আস্তিক-নাস্তিক এসব বিষয় নিয়া ২ মিনিট মাথা ঘামালেও জামাতের উদ্দেশ্য সফল করা হবে, তাদেরকে শক্তিশালী করা হবে। সুতরাং, এসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে লড়াই জোড়দার রাখুন। জামাত না থাকলে এদেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান আরো সুস্থ্য ও সুন্দর হবে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অপচর্চাও কমে যাবে।
১০- এই পোস্টটির কোন কপিরাইট নাই। সবাই কপি নিজ নিকে ব্লগপোস্ট করুন অথবা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।