এই ব্লগটি নোমান বিন আরমান'র দায়িত্বে প্রবর্তিত। এখানে মাঝেমধ্যে তিনি আসেন। numanbinarmanbd@gmail.com
নোমান বিন আরমান : চিত্ত যেখানে ঋদ্ধ, হৃদয় সেখানে সমর্পিত; এটা বলে দিতে হয় না, এই সমর্পণ হয় আপনাতেই। কারো হুকুমের বা বিরাগের পরোয়া তখন সে আর করে না। কেনো করে না।
কারণ আত্মা বা রুহ স্বাধীন একটি সত্তা। সে কারো তাবেদারি করে না। করতে পারে না। কোনো শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে রাজি হয় না। কখনোই না।
এসব তার ফিতরতে নেই।
http://www.numanbinarmansyl.blogspot.com
তার ফিতরত একটাই Ñ প্রেম ভালোবাসা। এর বাইরে কোনো কিছুই সে গ্রহণ করে না। সমর্থন করে না। জোর করে যত কিছুই তাকে চাপানোর চেষ্টা করা হয় না কেনো Ñ যার কাছ থেকে এসেছে তার কাছে ফিরে যায়।
ব্যুমেরাং হয়। এজন্যেই হয়তো শুনেন ‘ শয়তান, আমার দেহ পাবে মন পাবে না। ’ শরীরের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া যায়, মন কখনো চাপে পাওয়া যায় না।
মন পেতে মন লাগে। এই যে সহজ একটি বাক্য এর অর্থ কিন্তু অনেক গভীর এবং তাৎপর্যবাহী।
বাক্যটির মতো কখনোই এর অর্থ এতোটা সাদামাটা নয়। জীবন কাটাতে শরীর লাগে আর জীবনকে উপলব্ধি করার জন্য দরকার হয় মনের। সুন্দর একটি মন ছাড়া কখনোই সৌন্দর্য্য অনুভব করা যায় না। কারণ সৌন্দর্য্য শরীরের কেউ নয়, সে আত্মার আত্মীয়। সৌন্দর্য কেবল আত্মারই।
আরো সাফ করে বললে, সৌন্দর হৃদয়ের সৃষ্টি। শরীরে কোনো সৃষ্টি নেই। প্রশ্ন, শরীরের কি চাই? আত্মার কি চাই। উভয়ের কামনা কি এক, অর্থবিত্ত?
অর্থবিত্তে শরীরকে ‘ঋদ্ধ’ করা যায়, আত্মাকে নয়। হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ্ওয়াসাল্লামেও এটি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘আল গিনা, গিনান নাফস’।
পুজিবাদী বোঝ থাকলে এই হাদিসের মর্ম উপলব্ধি করা যাবে না। এটি উপলব্ধির জন্যে দরকার চিত্তাশ্রায়ী বোঝ। আত্মার স্বাধীনতা যার আছে তার সৌন্দর্যবোধ আছে। আর এই সৌন্দর্যের জন্যে সে পুরো দুনিয়াকে ছুঁড়ে ফেলতে পারে। কিন্তু যে অর্থবিত্তকে উপলক্ষ্য করে নিয়েছে, সে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছে।
অন্ধ হয়ে গেছে সৌন্দর্য দেখা থেকে। বোধ তার হারিয়েছে, সৌন্দর্য উপলব্ধি থেকে। তার এই শূন্যতাকে ঢাকতে তখন নানান রকমের মেকাপের দরকার হয়। দরকার হয় ‘প্রসাদনের’। এই মেকাপ আর প্রসাদন দিয়ে সে সৌন্দর্যকে মাপতে চায়।
দেখতে চায়। কিন্তু মেকাপ বা প্রসাদনী চিত্তকে ঋদ্ধ করতে পারে না। তার সেই ক্ষমতা নেই। এই ‘পরাজয়’ যখন ‘আলো’ হয়ে দেখা দেয়, তখন অন্ধকার আরো গাঢ় হয়। সে হাতাশায় ডোবে।
তার কেবলই মনে হতে থাকে সে যা চেয়েছে তা পায়নি। আর অতৃপ্তি তো কাউকে প্রশান্তি দিতে পারে না।
আবার ফিরে যাই এই লেখার শুরুর লাইনে। চিত্ত যেখানে ঋদ্ধ, হৃদয় সেখানে সমর্পিত। কেনো বললাম এটি।
এর কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি এতোক্ষণ। তবে স্বীকার করছি, ব্যাখাটি করেছি রূপকভাবে। ইচ্ছে করেই। কারণ এই লেখাটি যখন চিত্তসম্পৃক্ত তখন একে ভাসা ভাসা চোখে বুঝতে দেয়া উচিত হবে না। বিয়ের একটি সংজ্ঞা বলতে চেয়েছি, ঋদ্ধ চিত্ত, সমর্পিত হয়।
আমার মনে হয়েছে, এটি না হলে বিয়ে হওয়া উচিত নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।