আকাশ ছুঁব...
লিথুয়ানিয়ার লোককথা-১
নেকড়ে হয়ে যাওয়া লোকটি
অদ্বিতীয়া সিমু
এক চাষীর এক ঘোড়া ছিল। সে ঘোড়া চরাতে মাঠে নিয়ে যেত। একদিন মাঠে গিয়ে ঘোড়ার পিঠ থেকে নামতেই ঘোড়া ঘড়ঘড় শব্দ করতে লাগলো। তারপর দৌঁড়ে পালাল। চাষীতো অবাক! হল কি! ব্যাটা আমায় দেখে পালাল কেন? নিজের দিকে তাকাতেই দেখতে পেল তার কারণ।
একি! সে যে নেকড়ে হয়ে গেছে!
সে কি করবে? সে দৌঁড়ে তার স্ত্রীর কাছে যেতে চাইলো। কিন্তু পথে সবাই চিৎকার শুরু করেছে, “নে..ক..ড়ে..! নেকড়ে!” বাধ্য হয়ে সে ছুটে বনের ভিতর হারিয়ে গেল। সেখানে সে দেখলো সব জন্তুরা একে অন্যকে মেরে খাচ্ছে। বাধ্য হয়ে সেও তাই শুরু করল। কিন্তু মন পড়ে রয় লোকালয়ে।
শীত এলে খাবারের খুব কষ্টহয়। সে ঘোড়ার পিছে ছোটে। মাঝেমাঝে তুষারে হারিয়ে যাওয়া কোন রেকাবের দেখা মেলে, কখনওবা তাও নয়। প্রায় চারবছর কেটে গেল। এদিকে বউ অপেক্ষা করতে করতে হাল ছেড়ে দিয়েছে।
সে আবার বিয়ে করবে বলে স্থির করলো। কি হবে যে আসবে না তার অপেক্ষা করে! জীবনতো থেমে রয় না।
একদিন চাষীনেকড়ে ঘুমিয়ে ছিল ঘাসের উপর। হঠাৎ স্বপ্নে কে যেন তাকে ডাকলো! “তোমার বউ আবার বিয়ে করছে! ঘরে যাও!” চমকে ধড়মড় করে উঠলো চাষী। ছুটে গেল গায়ে।
উঠোনে বিয়ের আয়োজন। বাড়িতে অতিথির সমাগম। অনেক ঘোড়া এসেছে। তোয়াক্কা না করে তার ভিতরই ছুটলো চাষী। নেকড়ে দেখে ঘোড়রাও ছুটলো পালাতে।
যখন নেকড়ে দেখলো অতিথিরা আযোজন করলো মারার। মহাবিপদ! বাঁচার জন্য উঠোনের বেড়া ডিঙাতে লাফ দিল মানুষনেকড়ে। বেড়াতে আটকে গেল সে। ছাড়াবার জন্য গা ঝাড়া দিতেই খুলে গেল গায়ে বাঁধা বেল্ট। নেকড়ে কোথা! এতো কনের হারানো বর!
লোকটা এবার বুঝলো কি ঘটেছে।
এক বুড়ো মহিলা তাকে বেল্ট পড়তে দিয়েছিল। তারপরেই ঘটলো এই বিপত্তি! বউকে সব খুলে বলল লোকটি।
বিয়ের আয়োজন রূপ নিল বর-কনের মিলন আনন্দোৎসবে।
[সূত্র: ইন্টারেনট। ]
(ক্ষমা চাচ্ছি, কোথাও ভুল হলে....কারণ এটি আক্ষিরক অনুবাদ নয়।
)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।