এইটা আমার ব্লগ।
তোমার বঙ্গবন্ধু দেবতা, আমার বঙ্গবন্ধু রক্ত মাংসের
তিনি ভালবাসেন,কাদেন, রাস্তায় হাটতে গিয়ে যার পায়ে কাদা লাগে - মানবিক একজন মানুষ।
তোমার বঙ্গবন্ধু মহামানব।
বাঘের পিঠে চরে, একটি অনুৎসাহী অভিশপ্ত জাতিকে মুক্তি দেন পৃথিবীর বুকে-
তারপর ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মত স্রষ্টার আরশ বেয়ে উঠে যান মহাকাশে।
আমার বঙ্গবন্ধু ধমনীতে কৃষকের রক্ত।
তিনি রাস্তার টঙে বসে চা খান, স্লোগান দেন গলির মুখে
উজ্জিবিত করেন মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উন্মুখ একটি জাতিকে, যারা তার প্রেরনায় কেড়ে আনে একটি ভূখণ্ড।
তোমার বঙ্গবন্ধু জাগতিক দোষ ত্রুটির উরধে,
আমার বঙ্গবন্ধু নিজের সিমাবদ্ধতায় আটকে থাকা পথ খুজতে থাকা একজন মানুষ।
যিনি পথ খুজে পাওয়ার আগেই, বরন করে মহা প্রয়ান।
তোমার বঙ্গবন্ধু, সময়ের অনাদিকাল থেকে বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আমার বঙ্গবন্ধুর জন্ম সময়ের প্রয়োজনে।
আপন বাধনে বাধা একজন সিংহ হৃদয় দুর্বল মানুষ। জাগতিক,মানবিক।
তোমার মিথ এর প্রয়োজন, তাই তোমার বঙ্গবন্ধুর কোন ত্রুটি থাকতে পারেনা।
আমার ভালবাসার প্রয়োজন, তাই আমি একজন ত্রুটি যুক্ত মানুষকে ভালবাসতে পারি।
আমি তো আমার জন্মের দায় উপেক্ষা করিনি।
তুমি আজ মোড়ে মোড়ে প্যান্ডেল টাঙ্গিয়ে, ভুবন বিদীর্ণ করে ৭ই মার্চ এর রক্তকাঁপানো ভাষণ বেচো।
আর সেই শব্দের আড়ালে মোবাইলে হিসেব কর, টেন্ডার এর ভাগ বাটোয়ারা।
তোমার তাই একজন নবীর প্রয়োজন হয় ।
তাই তোমার প্রয়োজন হয় ব্লাস্ফেমি আইন এর।
তোমার প্রয়োজন হয়, একটি মিথ।
তুমি তাই নতুন এক বঙ্গবন্ধুকে সৃষ্টি কর।
তুমি সৃষ্টি করে তোমার চৌর্যবৃত্তির ঢাল।
যার আড়ালে তুমি দেশ লুণ্ঠন কর ।
তোমার বঙ্গবন্ধু তোমাকে মুক্তি দেয়।
তোমার মিথ তোমাকে রক্ষা করে ।
কিন্তু,আমার বঙ্গবন্ধু সেই কাল ফ্রেম এর চশমা থেকে তোমাকে দেখেন,
তর্জনী উচিয়ে ডাক দেন বাজখাই গলায়, তার সে ডাক তুমি তাকে শুনতে পাওনা।
আমি শুনতে পাই, আমার বঙ্গবন্ধুর সে ডাক। তার শোক, ক্ষোভ, অভিমান।
তুমি তো এখনও আমার বঙ্গবন্ধুকে কমবল এর হিসেব মিলিয়ে দিলেনা।
জিয়া হাসান।
১৫ অগাস্ট ২০১৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।