স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর কেন মনে প্রশ্ন জাগে, আমরা কি এখনো পরাধীন?আমরা কি এখনো পারিনি পরাধীনতার সবটুকু শৃঙ্খল ভাঙতে? আমরা কি এখনো বৃটিশ-পাকিস্তানীদের মানসিক দাসত্ত্ব করছি না? ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের প্রতি আমরা কতটুকু শ্রদ্ধাশীল?আর পাচ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম? সুপ্রিয় পাঠক,এই প্রশ্নগুলোর কি কোন সদুত্তর আমাদের জানা আছে? পাশের ছবিটি দেখে চিন্তা করুন তো আমরা কতটুকু স্বাধীন! বাংলাদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ বিদ্যাপীট চট্রগ্রাম কলেজ। ১৮৩৬ সালে প্রতিষ্টিত এ প্রতিষ্টান যুগে যুগে জন্ম দিয়ে আসছে অনেক রথী- মহারথীর। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের ব্যাপার হলো,এই কলেজের মূল প্রবেশদ্বারে এখনো আইয়ুব খানের নাম! তোরণটির ডিজাইনই AK অর্থাৎ আইয়ুব খান! অনেকেই একে “আইয়ুব খান গেইট” বলেই চিনে। রক্তে ভেজা মাটিতে আইয়ুব-ইয়াহিয়া খান’রা মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে সাবলীলভাবে। আর আমরা! স্বাধীন বাংলার নাগরিকরা! মাথা নিচু করে আইয়ুব-ইয়াহিয়াদের প্রেতাত্নার নিচ দিয়ে আসছি-যাচ্ছি! কিন্তু,বাহান্ন-উনশত্তর-একাত্তর তো আমাদের তা শেখায় নি! ত্রিশ লক্ষ প্রাণ তো আইয়ুব-ইয়াহিয়া’দের কাছে মাথা নিচু করতে শিখায় নি! এই কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায়(০৩-০৫) এই হতভাগারও দুর্ভাগ্য হয়েছিলো এই তোরণের নিচ দিয়ে যাওয়া-আসা করতে।
প্রতিবারই থুথু ছিটিয়ে মনের ঝাল মিটাতাম। এ ব্যাপারে কিছু একটা করতে গিয়ে প্রতিবারই শিবির ক্যাডারদের হুমকীর সম্মুখীন হতে হয়েছিলো।
প্রতিবছরই তোরর্ণটি নতুন করে রঙ করা হতো। অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করতাম, কলেজের শহীদ মিনার(৩-৪ ফুট উচ্চতার একটি পিলার মাত্র)সারা বছরই ময়লা আবর্জনার স্তূপের মতো দেখাতো। ২০০৪ এর একুশের প্রভাতে আমি ও আমার বন্ধুরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে শিবির ক্যাডাররা আমাদের মৃত্যুর হুমকী দেয়।
উল্লেখ্য,এই কলেজে শিবির অন্য কোনো ছাত্র সংগঠনকে তৎপর হতে দেয় না। কলেজের তিনটি হোস্টেলের প্রতিটিই এক একটি টর্চার সেল। কিছু দিন আগে এক ছাত্রকে বেদম মারধর করে,যা একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিলো। তার অপরাধ,সে কালো ব্যাজ ধারন করেছিলো পিলখানা হত্যাযজ্ঞে নিহত বীরদের স্মরণে যখন সারা দেশ শোকের কালো চাদরে ঢ়াকা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই , এ দেশের তরুন প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ী থেকে লাল-সবুজ পতাকা ছিনিয়ে নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তির হাতে তুলে দিয়েছে।
এর সঠিক মূল্যায়ন করে স্বাধীনতার সঠিক আদর্শ বাস্তবায়ন করুন। অবিলম্বে চট্টগ্রাম কলেজের ওই তোরনটি সরিয়ে নিতে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহন করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।