বুধবার সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ভাউচার চেক করার সময় বিষয়টি ধরা পড়ে।
জয়মনিরহাট খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর-৪৯৫) করা হয়েছে।
গুদামের বিল প্রদানের একটি ভাউচার (ডব্লিউপিসি) হারিয়ে যায় ঘটনা লিখিতভাবে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক ব্যবস্থাপককে জানানো হয়েছে বলে জানান ফজলুল হক।
সোনালী ব্যাংক ভুরুঙ্গামারী শাখা ব্যবস্থাপক নিরঞ্জন রায় জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্য বিভাগের সংশ্লিস্টরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তবে খাদ্য বিভাগ এর আগে লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তা।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, জয়মনিরহাট খাদ্যগুদামের ডব্লিউপিসি বই নম্বর ৫০ এর ১৫৩৪৫৮৭ হারিয়ে যায়।
গত ২১ জুলাই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তখন ওসি-এলএসডি ফজলুল হক সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপককে বিষয়টি অবহিত করেন।
কিন্তু ওই ভাইচারের মাধ্যমেই গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর জাল করে ‘মা’ চাউল কলের মালিক হাশেম আলীর নামে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ১০০ টাকা কে বা কারা গত ৩১ জুলাই সোনালী ব্যাংক ভুরুঙ্গামারী শাখা থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যায়।
কর্মকর্তারা জানান, ৬৭০ বস্তা চালের ওজন ৩৩.৫ মেট্রিক টন হলেও ভাউচারে উল্লেখ করা হয়েছে ৩২ টন। আবার ৩২ টন চাউলের মূল্য ৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা হলেও বিল দাখিল করে উত্তোলন করা হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ১০০ টাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।