এক নজরে দিনাজপুর জেলা
ভৌগলিকঃ
আয়তনঃ ৩,৪৩৮ ব.কিঃমিঃ
নির্বাচনী এলাকাঃ
৬ টি (৬ বীরগঞ্জ-কাহারোল-১, ৭ বিরল-বোচাগঞ্জ-২, ৮ দিনাজপুর সদর-৩, ৯ চিরিরবন্দর-খানসামা-৪, ১০ পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী-৫, ১১ বিরামপুর-নবাবগঞ্জ-হাকিমপুর -ঘোড়াঘাট-৬)
মোট ভোটার সংখ্যাঃ ১৭,৬৬,২২০ জন
ক) পুরুষ-৮,৭৩,৫৬০ জন
খ) মহিলা-৮,৯২,৬৬০ জন
উপজেলার সংখ্যাঃ ১৩ টি
পৌরসভার সংখ্যাঃ ৮ টি
সিটি কর্পোরেশনঃ নেই
ইউনিয়নের সংখ্যাঃ১০১ টি
গ্রামের সংখ্যাঃ ২,১৪২ টি
মৌজার সংখ্যাঃ ২,০২০ টি
থানাঃ ১৩ টি
হাট-বাজারঃ ২৭৩ টি
নদীঃ ৮ টি
জলমহালঃ ২৩৬০ টি
ক) বদ্ধ জলমহাল ২০ একরের উর্ধ্বে-৫ টি
খ) বদ্ধ জলমহাল অনুর্ধ্ব ২০ একর-২৩৩৪ টি
গ) উন্মুক্ত জলমহাল-২১ টি
জনসংখ্যা ভিত্তিকঃ
মোট লোকসংখ্যাঃ ২৭,৪৭,৫০০ জন (২০০১ সালের আদমশুমারী অনুয়ায়ী)
পুরুষ-১৪,০৩,৯৭০ জন
মহিলা-১৩,৪৩,৫৩০ জন
মোট পরিবারের (খানা) সংখ্যাঃ ৬,৪৭,৫০০ টি
প্রতি বর্গ কিঃমিঃ-এ লোক সংখ্যার ঘনত্বঃ ৮০০ জন (প্রায়)
কৃষক পরিবারের সংখ্যাঃ ৪,৮০,৭৫৬ টি
ভূমিহীন কৃষক পরিবারের সংখ্যাঃ ১,৪০,৩২৫ টি (৩০%)
ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারঃ ৭৯,০৮৬ টি (১৭%)
প্রান্তিক কৃষক পরিবারঃ ১,৭৪,২৭৯ টি (৩৬%)
মাঝারি কৃষক পরিবারঃ ৬৯,৩৮৭ টি (১৩%)
বড় কৃষক পরিবারঃ ১৭,৬৭৯ টি (৫%)
খাদ্য চাহিদাঃ ৪,৮৮,৫২৯ মেঃ টন
মোট খাদ্য শষ্য উৎপাদনঃ ১৩,০৩,৯২৩ মেঃ টন
উদ্বৃত্ত খাদ্যঃ ৬,৬,৪৪০০ মেঃ টন
বনভূমিঃ
মোট বনভূমিঃ ৭,৬৪১.২২ হেক্টর
রিজার্ভ বনভূমিঃ ৪,৬৮৫.৪০ হেক্টর
ভেস্টেড বনভূমিঃ ২,৪৯৭.১৬ হেক্টর
একোয়ার্ড বনভূমিঃ ৩৫২.৮৫ হেক্টর
খাস বনভূমিঃ ১১৫.৮১ হেক্টর
নার্সারীঃ
সরকারী নার্সারীঃ ৫টি
ব্যক্তিগত নার্সারীঃ ১৮৩ টি
উপজেলা নার্সারীঃ ১৯ টি
শিক্ষা সংক্রান্তঃ
শিক্ষার হারঃ ৪৭% (প্রায়)
চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ঃ ১ টি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ১ টি
পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটঃ ১ টি
টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটঃ ১ টি
আইন মহাবিদ্যালয়ঃ ১ টি
কমার্শিয়াল ইনষ্টিটিউটঃ ১ টি
সরকারী কলেজঃ ৩ টি
বেসরকারী কলেজঃ ৮৬ টি
মাদ্রাসাঃ ৩৫০ টি
পি.টি.আইঃ ১টি
সরকারী বিদ্যালয়ঃ ১০ টি
বেসরকারী বিদ্যালয়ঃ ৪০৬ টি
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৮৬০ টি
রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৮৩৫ টি
আনরেজি: বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ১৩৬ টি
ভিটিআইঃ ২ টি
বিকেএসপিঃ ১ টি
সরকারী ভেটেরিনারী কলেজঃ ১ টি
হোমিও কলেজঃ ১ টি
বি এড কলেজঃ ১ টি
ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটঃ ১ টি
যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রঃ ১ টি
যোগাযোগ ব্যবস্থা
পাকা রাস্তাঃ ৬৯১ কিঃমিঃ
আধাপাকা রাস্তাঃ ২৯৫ কিঃমিঃ
কাঁচা রাস্তাঃ ৪,৭২০ কিঃমিঃ
রেলপথঃ ১৪২.০২ কিঃমিঃ
রেল ষ্টেশনঃ ১৮ টি
ফসলাধীন জমিঃ
আবাদকৃত জমিঃ ২,৮৮,৪৩২ হেক্টর
নীট ফসলাধীন জমিঃ ২,৮৮,৪৩২ হেক্টর
এক ফসলাধীন জমিঃ ১৩,৮১৮ হেক্টর
দুই ফসলাধীন জমিঃ ২,১৭,৪৭৭ হেক্টর
তিন ফসলাধীন জমিঃ ৫৩,৩৬৭ হেক্টর
তিন এর অধিক ফসলাধীন জমিঃ ১৭০ হেক্টর
মোট ফসলাধীন জমিঃ ৬,০৯,৫৫৩ হেক্টর
ফসলের নিবিরতার হারঃ ২১৪%
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাঃ ৬,০০,৪৬০.০০০ মেঃ টন
রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রাঃ ২,৪৬,০০০ হেক্টর
ক) উফশী-২,১৭,০০০ হেক্টর
খ) স্থানীয়-২৯,০০০ হেক্টর
আবাদ অর্জনঃ ২,৫০,৯২০ হেক্টর
চাষযোগ্য পতিত জমির পরিমাণঃ ৬৮৫ হেক্টর
ভূমি নিয়ন্ত্রকঃ পৌর এলাকায় জমির পরিমানঃ ৮,০৪৮ একর
ভূমিহীনঃ ৩০%
প্রান্তিক কৃষকঃ ৩৬%
মাঝারী কৃষকঃ ১৩%
বড় কৃষকঃ ৫%
মাথাপিছু আবাদী জমিঃ ০.০৫%
ইউনিয়ন ভূমি অফিসঃ ১০৫ টি
উপজেলা ভূমি অফিসঃ ১৩ টি
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও লোকসংখ্যাঃ
মসজিদঃ ৪,০৩৮ টি
মন্দিরঃ ৯০৪ টি
গীর্জাঃ ৯৬ টি
প্যাগোডাঃ ১৮ টি
মুসলমানঃ ২১,০৫,৬৮৪ জন (৭৬.৬৪%)
হিন্দুঃ ৫,৬৫,৪৩৫ জন (২০.৫৮%)
খৃষ্টানঃ ২১,৯৫২ জন (০.৭৯%)
বৌদ্ধঃ ৩,০৫০ জন (০.১১%)
অন্যান্যঃ ৫১,৩৭৯ জন (১.৮৬%)
পেশাঃ
কৃষিঃ ৪২.৮৫%
কৃষি শ্রমিকঃ ২৯.১৯%
শ্রমিকঃ ২.৪৮%
ব্যবসাঃ ১০.২০%
পরিবহন শ্রমিকঃ ১.৬৭%
চাকুরীঃ ৫.৫৮%
শিল্প ও খনিজঃ
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ ১ টি
কঠিন শিলা প্রকল্পঃ ১ টি(মধ্যপাড়া)
কয়লা খনি প্রকল্পঃ ১ টি (বড়পুকুরিয়া)
লোকমোটিভ কারখানাঃ ১ টি (পার্বতীপুর)
চিনিকলঃ ১ টি (সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস লিঃ)
টেক্সটাইল মিলঃ ১ টি
অটোমেটিক চাউল কলঃ ৬১টি
সেমি অটোমেটিক চাউল কলঃ ৩৫টি
চাতাল চাউল কলঃ ১৮৬১টি
মেজর চাউল কলঃ ১২টি
অটোমেটিক ফ্লাওয়ার মিলঃ ৬টি
হিমাগারঃ ৯টি
জুট মিলঃ ১টি
লজেন ফ্যাক্টরীঃ ২টি
গার্মেণ্টসঃ ১টি
মিশ্র সার ফ্যাক্টরীঃ ১টি
পোলট্রি হ্যাচারীঃ ৪টি
স্বাস্থ্য সংক্রান্তঃ
মোট উপজেলা হেলথ কমপেক্সঃ ১৩
মোট ইউনিয়ন স্বাসহ্য উপকেন্দ্রঃ ১০৫
মোট বেসরকারী ক্লিনিকঃ ২৮
বন্দর ও অন্যান্যঃ
স্থলবন্দরঃ ২ টি (হিলি হাকিমপুর ও বিরল )
তুলা উন্নয়ন বোর্ডঃ ১ টি
ব্যাংকঃ ১৬৮ টি
এনজিও’র সংখ্যাঃ ৭৬ টি (তালিকাভূক্ত)
আবাসনঃ ৪০ টি
আশ্রয়নঃ ৫২ টি
আদর্শগ্রামঃ ২৯ টি
আন্ত: উপজেলা খেয়াঘাটঃ ২ টি
আদিবাসীঃ
দিনাজপুর জেলায় মোট ১২টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়ঃ (১) সাঁওতাল, (২) ওঁরাও, (৩) মুন্ডারী, (৪) মালপাহাড়ী, (৫) মুসহর, (৬) মাহলে, (৭) কোলহে, (৮) কামার, (৯) কোড়া, (১০) ভুঞ্জার, (১১) ভূইঞা, (১২) মালো। আদিবাসীর সংখ্যা ৬১,৭৪৪ জন, যা জেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪.৪২%।
ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানঃ
রাজবাড়ী
রাজবাড়ী বর্তমান দিনাজপুর শহরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ধ্বংসপ্রাপ্ত নিদর্শন মাত্র। দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাসাদটি এখন শুধুই পরিত্যক্ত ইটের সমাহার। মূল প্রাসাদ ভবনটি তিনটি প্রধান হলে বিন্যস্ত।
এগুলি আয়না মহল, রানী মহল ও ঠাকুরবাড়ী মহল।
চেহেলগাজী মসজিদ ও মাযার
চেহেলগাজী মসজিদ ও মাযার দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার চেহেলগাজী গ্রামে অবস্থিত। দিনাজপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিঃমিঃ উত্তরে পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে মসজিদ ও মাযারটির অবস্থান। শিলালিপি থেকে জানা যায়, ৮৬৫ হিজরির ১৬ সফর (১৪৬০ খিঃ ১ ডিসেমবর) মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। সুলতান রুকনুদ্দীন বারবক শাহ এর রাজত্বকালে (১৪৫৯-১৪৪৭ খ্রিঃ) তাঁর উজির ইকরার খানের নির্দেশে পূর্ণিয়া জেলার অন্তর্গত জোর ও বারুর (দিনাজপুর) পরগনার শাসনকর্তা (ফৌজদার ও জংদার) উলুঘ নুসরত খান এ মসজিদটি নির্মাণ করেন।
স্থানীয় জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, ৪০ জন গাজীকে (ধর্মযোদ্ধা) একত্রে এখানে সমাহিত করা হয়। এজন্য এ স্থানের নাম হয় চেহেলগাজী।
কান্তজিউ মন্দির
ইটের তৈরী অষ্টাদশ শতাব্দীর একটি মন্দির। দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১২ মাইল উত্তরে এবং দিনাজপুর-তেতুলিয়া মহাসড়কের প্রায় এক মাইল পশ্চিমে ঢেপা নদীর অপর পাড়ে এক শান্ত নিভৃতগ্রাম কান্তনগরে এ মন্দিরটি স্থাপিত। বাংলার স্থাপত্য সমূহের মধ্যে বিখ্যাত এ মন্দিরটির বিশিষ্টতার অন্যতম কারণ হচ্ছে পৌরাণিক কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশের সর্বৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন রয়েছে এ মন্দিরে। শিলালিপি থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের মহারাজ প্রাণনাথ ১৭২২ সালে এ মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং তাঁর স্ত্রী রুকমিনির আদেশে পিতার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য মহারাজের দত্তকপুত্র মহারাজ রামনাথ ১৭৫২ সালে মন্দিরটির নির্মাণ সম্পণ করেন।
ঘোড়াঘাট দূর্গ মসজিদ
ঘোড়াঘাট দুর্গ মসজিদ দিনাজপুর জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে করতোয়া নদীর ডান তীরে অবসিহত। দুর্গ এলাকার অভ্যন্তরে অনেকগুলি ধর্মীয় ও ঐতিহ্যিক ইমারত নির্মিত হয়েছি। শিলালিপি অনুসারে ঘোড়াঘাটের জনৈক জয়নাল আবেদীন ১৭৪০-৪১ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন।
মসজিদটির বর্তমান অবস্থা এমন যে, এর তিনটি গম্বুজই ভেঙে পড়েছে। মসজিদের অভ্যন্তর ভাগ বর্তমানে ধ্বংসস্তুপে পরিপূর্ণ। মসজিদের পূর্ব দেয়ালের বাইরের অংশে অকেগুলি অগভীর খোপ নকশা রয়েছে। এগুলিই পুরো ইমারতের গায়ে টিকে থাকা একমাত্র অলংকরণের নিদর্শন।
সীতাকোট বিহার
এটি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবসিহত একটি বৌদ্ধ বিহার।
বিহারটির উত্তর ও দক্ষিণ বাহুদ্বয় বহির্দিকে প্রক্ষিপ্ত ছিল। পূর্ব বাহুর উত্তরাংশে পেছনের দেয়াল ভেদ করে একটি সম্পূণক প্রবেশ পথ ছিল। ছাদ ঢালাইয়ের জন্য চুন, সুরকি এবং ভার বহনের জন্য কড়িকাঠের ব্যবহার দেখা যায়। সীতাকোট বিহার আঙ্গিনার মধ্যবর্তী স্থানে প্রধান মন্দির ছিল না। আকার আয়তনের দিক দিয়ে সীতাকোট বিহারের সঙ্গে বগুড়ায় অবস্থিত ভাসু বিহার এর অনেক মিল রয়েছে।
সুরা মসজিদ
দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিঃমিঃ দূরে এর অবস্থান। মসজিদটি ইট ও পাথরে নির্মিত। এর চারপাশে ছড়িয়ে আছে বেশ কিছু প্রস্তরফলক। প্রস্তরফলকে ছোট সোনা মসজিদে ব্যবহৃত নমুনার প্যানেল ও অন্যান্য ডিজাইন রয়েছে। তাছাড়া দেয়ালগুলির বহির্গাত্রের অলঙ্করনে শিকল ও ঘণ্টার ঐতিহ্যগত মোটিফ অঙ্কিত পোড়ামাটির অলঙ্করণ রয়েছে।
নয়াবাদ মসজিদ
নয়াবাদ মসজিদ দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত। নয়াবাদ জেলা সদর থেকে ২০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে এর অবস্থান। ১.১৫ বিঘা জমির উপর মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মসজিদের প্রবেশদ্বারের উপরে ফারসি ভাষায় রচিত লিপি থেকে জানা যায় য, সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম এর সময় ২ জৈষ্ঠ্য ১২০০ বাংলা সনে (১৭৯৩ খিঃ) মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে দুটি জানালা রয়েছে।
প্রবেশদ্বার ও জানালার খিলান বহুখাঁজযুক্ত(multi-cusped)। মসজিদের ভেতরে পশ্চিম দিকে রয়েছে তিনটি মিহরাব। মাঝের মিহরাবের উচ্চতা ২.৩০ মিটার এবং প্রস্ত ১.০৮ মিটার। দুপাশের মিহরাব দুটি অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের তিনটি অর্ধগোলাকৃতির গম্বুজ-এর মধ্যে মাঝেরটি অন্য দুটির তুলনায় কিছুটা বড়।
গম্বুজের অবস্থানে পর্যাপ্ত পোড়ামাটি ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের কার্নিশ এবং প্যারাপেট সমান্তরাল।
রামসাগর
দিনাজপুর শহরের কেন্দ্র থেকে ৮কি.মি. দক্ষিণে আউলিয়াপুর ইউনিয়নে অবস্থিত দিনাজপুরের মহারাজদের অন্যতম কীর্তি, ভ্রমণ বিলাসী ও দিনাজপুরে আগত দর্শনার্থীদের আকর্ষণ-আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দিঘীর নাম রামসাগর। চারদিকে সবুজ প্রান্তর, মধ্যখানে পাহাড়ের মত ধুসর ছোট ছোট মাটির টিলার পাড় দ্বারা বেষ্টিত গ্রামীণ উদাস প্রকৃতির মধ্যে এক খন্ড লাল গৈরিক ও স্ফীতিময় খিয়ার মাটির উপর এক অপরূপ মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এই সাগরোপম দীঘি অবস্থিত। পাড়ভূমিসহ দীঘির মোট আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার।
জলভাগের দৈর্ঘ্য ১০৩১ মিটার, প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ৯ মিটার। সর্বোচ্চ পাড়ের উচ্চতা প্রায় ১৩.৫০ মিটার। সেচ সুবিধা, প্রজাদের পানির কষ্ট দূরীকরণ এবং দূর্ভিক্ষপীড়িত প্রজাদের কাজের বিনিময়ে খাদ্যের সংস্থান হিসেবেই রাজা রামনাথের আমলে এ দীঘি খনন করা হয় এবং তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।
স্বপ্নপুরী
দিনাজপুর শহর থেকে ৫২ কি.মি. দক্ষিণে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১৫০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে নান্দনিক সৌন্দর্যের এক স্বপ্নিল বিনোদন জগত স্বপ্নপুরী।
স্বপ্নপুরীর প্রবেশমুখে স্থাপিত প্রস্তরনির্মিত ধবধবে সাদা ডানাবিশিষ্ট দুটি সুবিশাল পরী যেন মোহনীয় ভঙ্গীতে পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। স্বপ্নপুরী হচ্ছে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পশু পাখির অবিকল ভাষ্কর্য, কৃত্রিম পাহাড়, কৃত্রিম ঝর্ণা এবং ইট সিমেন্টের দ্বারা নির্মিত বাংলাদেশের এক সুবিশাল মানচিত্রের সমন্বয়ে তৈরী একটি কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, জীবন্ত পশুপাখীদের চিড়িয়াখানা, শিশুদের জন্য শিশুপার্ক, দোলনা, বাইস্কোপ ইত্যাদি। স্বপ্নপুরীর আরো আকর্ষণ হলো- সারি সারি সবুজ দেবদারু গাছের মনোলোভা সৌন্দর্য আর বিস্তীর্ণ ঝিলের তীরে ফুটন্ত গোলাপ বাগানের মাঝখানে স্থাপিত অপরূপ সুন্দর ’’নিশিপদ্ম‘‘। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য আরো রয়েছে বিশাল দীঘিতে স্পীডবোট ও ময়ূরপঙ্খী নাও, দুই ঘোড়া চালিত টম টম, হরেক রকম সুগন্ধ ও সৌন্দর্য এবং স্বচ্ছ পানির ফোয়ারা বিশিষ্ট কয়েকটি ফুল বাগান এবং বিশ্রামের জন্য আকর্ষণীয় রেষ্টহাউস ও ডাকবাংলোসহ বিনোদনের আরো অনেক উপকরণ।
তথ্যসূত্র : বই-দিনাজপুরের ইতিহাস, স্থানীয় পত্র-পত্রিকা এবং দিনাজপুর জেলার তথ্য বাতায়ন। http://www.dcdinajpur.gov.bd
ই-মেইল :
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।