আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাতিয়া কে জেলা চাই।।

বোকা একজন মানুষ। খুব সহজেই যে কাউকে বিশ্বাস করে ফেলি। ভালো মানুষ ছিলাম না কোন কালেই, তবে নিষ্ঠুর মানুষ হওয়ার চেষ্টারত........।

বাংলাদেশের একটি অবহেলিত জনপদ হাতিয়া। একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে হাতিয়াবাসির জীবন যাত্রার মান অনেক পিছিয়ে আছে।

হাতিয়াবাসির জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার দূরত্ব কমিয়ে না আনা ছাড়া বিকল্প কিছুই নেই। হাতিয়া কে জেলা চাই এমন দাবী উচ্চারিত হয়ে আসছে। কিন্তু বাস্তবায়নে জোরালো ভূমিকা নেই এলাকাবাসীর। গণপ্রতিনিধিরা যুক্তি সঙ্গত সমন্বয় সাধনে উৎসাহী হচ্ছেনা। প্রকারান্তরে অনেকে করে চলেছে বিরোধিতা।

যারা বিরোধিতা করে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন কোন যুক্তিতে বিরোধিতা করেন?ছোট জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী মেহেরপুরের আয়তন মাত্র ৭১৬.০৮ বর্গ কিলোমিটার,ঝালকাঠি জেলা ৭৩৫.০৯ বর্গ কিলোমিটার,শেরপুর জেলা ১৩৬৩.৭৬ বর্গ কিলোমিটার,ফেনী জেলা ৯২৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার,লক্ষ্মীপুর জেলা ১৪৪০.৩৯ বর্গ কিলোমিটার এবং নোয়াখালী জেলার আয়তন হাতিয়া ছাড়া ১৯০০(প্রায়) বর্গ কিলোমিটার। অন্যদিকে হাতিয়ার আয়তন ২৯০০ বর্গ কিলোমিটার প্রায়(যাহা ক্রমবর্ধমান)। মোট জন সংখ্যা ৭০০০০০(প্রায়) জন। ভূমি, ভূমির আকার আকৃতি এবং লোকসংখ্যা অনুযায়ী হাতিয়া কে জেলা গঠনের দাবী কতটুকু যৌক্তিক আপনারাই ভেবে দেখুন।
হিসেব নিকেশ যে যে ভাবেই করুন, যুক্তি ও বাস্তবতার নিরিখে হাতিয়া কে কেন্দ্র করে আমাদের এক ও অভিন্ন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

জেলা গঠনের প্রশ্নে হাতিয়াবাসী তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একবাক্যে নোয়াখালী থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। হাতিয়া জেলা সদর হলে তৎসংযুক্ত দ্বীপবাসিকে জেলা সদরের সুবিধা পেতে কষ্ট করতে হবে না। সময়ের দাবী ‘হাতিয়া কে জেলা চাই’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম আরও জোরাল করা জরুরী বলে আমি মনে করি। হাতিয়া উপজেলার সচেতন প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নিয়ে জেলার দাবিতে এগিয়ে আসা উচিৎ। উপরোল্লেখিত- বাংলাদেশে মেহেরপুরের মতো ৫/৬টি জেলা রয়েছে, যেগুলো জেলা গঠন ছিল জনসংখ্যা ও চাহিদার প্রয়োজনে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, ঢাকা জেলার সংযুক্ত নারায়নগঞ্জকে বিভক্ত করা হয়েছে সময়ের প্রয়োজনে। যার আয়তন মাত্র ৫৭৯.৫৭বর্গ কিলোমিটার। তাহলে হাতিয়া কেন জেলা হবেনা??

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.